সামিট কমিউনিকেশনসের চেয়ারম্যানসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে কর ফাঁকির মামলা দুদকের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ২৬ আগস্ট ২০২৫, ১৮:৪৩| আপডেট : ২৬ আগস্ট ২০২৫, ১৯:০২
অ- অ+

সামিট গ্রুপের প্রতিষ্ঠান সামিট কমিউনিকেশন লিমিটেডের বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার কর ফাঁকির অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এতে আসামি করা হয়েছে সামিট কমিউনিকেশনস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফরিদ খান, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সাবেক চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদসহ সাতজনকে।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- লেক্স কাউন্সিলের স্বত্বাধিকারী বিটিআরসির প্যানেল আইনজীবী খন্দকার রেজা--রাকিব, সাবেক কমিশনার (আইন) মো. আমিনুল হক বাবু, সাবেক কমিশনার (স্পেকট্রাম) শেখ রিয়াজ আহমেদ, সাবেক কমিশনার (অর্থ, হিসাব রাজস্ব) . মুশফিক মান্নান চৌধুরী সাবেক কমিশনার (সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস) মো. দেলোয়ার হোসাইন।

মঙ্গলবার দুদকের সহকারী পরিচালক মো. নাছরুল্লাহ হোসাইন বাদী হয়ে সংস্থাটির সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা- মামলাটি করেছেন বলে জানিয়েছেন দুদক মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।

দুদকের অভিযোগে বলা হয়েছে, বিটিআরসির কর্মকর্তা লেক্স কাউন্সিলের প্যানেল আইনজীবীর সহযোগিতায় সামিট কমিউনিকেশনস বেআইনিভাবে ১৪ কোটি ২০ লাখ ৮৮ হাজার ১৩৬টি নতুন অর্ডিনারি শেয়ার ইস্যু করে। যার মধ্যে কোটি ৪৪ লাখ ৮৮ হাজার ৯১১টি শেয়ার দেয়া হয় সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক গ্লোবাল এনারিংয়ে, যা মুহাম্মদ আজিজ খান তার পরিবারের মালিকানাধীন।

এছাড়া কোটি লাখ ৯৫ হাজার ১১৯টি শেয়ার দেওয়া হয় মরিশাসভিত্তিক প্রতিষ্ঠান সেকুওয়া ইনফ্রাটেক লিমিটেডকে। বাকি ৭১ লাখ হাজার ৪০৬টি শেয়ার দেওয়া হয় পূর্বের শেয়ারহোল্ডার মো. আরিফ আল ইসলামের অনুকূলে।

এই শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে কোম্পানির মূলধন প্রায় চারগুণ বাড়ার পাশাপাশি মোট শেয়ার সংখ্যা দশমিক ০৭ কোটি থেকে বেড়ে ১৯ দশমিক ২৮ কোটিতে পৌঁছে। ফলে মোহাম্মদ ফরিদ খানের মালিকানা ৯৫ শতাংশ থেকে কমে ২৫ শতাংশে নেমে আসে। অন্যদিকে, দুই বিদেশি প্রতিষ্ঠানের যৌথ মালিকানা দাঁড়ায় ৭০ শতাংশে।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০০১-এর ধারা ২৪ অনুযায়ী, শেয়ার হস্তান্তর বা মালিকানা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে, বিক্রিত শেয়ারের মূল্যের দশমিক শতাংশ রাজস্ব পরিশোধ করতে হয়। ২০২২ সালে একই কোম্পানির শেয়ার হস্তান্তরের ক্ষেত্রে সরকারি রাজস্ব আদায়ে ওই আইনের প্রয়োগ থাকলেও এক্ষেত্রে আইনজীবী খন্দকার রেজা--রাকিব সামিট কমিউনিকেশন থেকে অবৈধ সুবিধা নিয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ওই দশমিক শতাংশ মূল্য পরিশোধ সামিট কমিউনিকেশনসের জন্য প্রযোজ্য নয় মর্মে মতামত দেন।

দুদক বলছে, আইনজীবীর মতামতের ভিত্তিতে বিটিআরসির তৎকালীন চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট কমিশনাররা মিলে অবৈধ সুবিধা নিয়ে শেয়ারের অনুমোদন দেন, ফলে সরকার প্রায় ১০ কোটি ২৪ লাখ টাকা রাজস্ব হারায়।

অন্যদিকে, নোমান গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রায় ১৯ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে দুদক।

(ঢাকাটাইমস/২৬আগস্ট/এলএম)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
সিলেটের সাদা পাথর লুটের ঘটনায় সিআইডির অনুসন্ধান শুরু
ডাকসুর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ: প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সর্বমোট ৪৭১ জন প্রার্থী
‘রুমিন ফারহানা আপাকে সাইবার বুলিং করা হচ্ছে’
পিআর পদ্ধতি জনগণের কাছে অগ্রহণযোগ্য, নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র প্রতিহত হবে: আমিনুল হক
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা