কুমিল্লায় বিয়ে করতে গিয়ে বর বিপাকে, দিতে হলো ১৫ লাখ টাকা জরিমানা

কুমিল্লার লালমাই উপজেলার ছোট বিজরা গ্রামে সম্প্রতি বিয়ে করতে এসে কনের পরিবারের হাতে আটকা পড়লেন কাতারপ্রবাসী এক যুবক। পরে স্থানীয়দের সালিশে তার কাছ থেকে নগদ অর্থ, চেক, সোনা ও মোবাইলফোন রেখে মোট ১৫ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পেরুল উত্তর ইউনিয়নের ছোট হাড়গিলা গ্রামের বাসিন্দা শেখ রাসেল (২৬) নামের ওই প্রবাসীর বিয়ে ঠিক হয়েছিল ছোট বিজরা গ্রামের মাদ্রাসাছাত্রী ফারহানা আক্তার মুন্নীর (১৫) সঙ্গে। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলেও কনের বাড়ির গেটে হঠাৎ স্থানীয় এক ব্যক্তি দাবি করেন, বর আগেই একটি বিয়ে করেছে। এরপর কনের পরিবার বর ও তার স্বজনদের পাশের একটি ঘরে আটকে মারধর করে।
পরে স্থানীয় মুরব্বি ও ইউনিয়ন বিএনপির নেতাদের উপস্থিতিতে বরকে ১৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। কনের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, এ টাকা জরিমানা হিসেবে স্থানীয় সালিশের মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে।
বর শেখ রাসেল অভিযোগ করে বলেন, “আমি পরিকল্পিত প্রতারণার শিকার হয়েছি। আগে থেকেই আইনজীবীর মাধ্যমে সমঝোতা ছিল। কিন্তু কনের পরিবার আমাকে আটকে চাঁদাবাজির মতো অর্থ আদায় করেছে।”
রাসেলের ছোট ভাই মাহদী হাসান হৃদয় জানান, নগদ ২ লাখ টাকা দেওয়ার পাশাপাশি ৮ লাখ ও ৫ লাখ টাকার দুটি চেক, প্রায় চার ভরি সোনা, একটি আইফোন, একটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন ও ট্রলি ভর্তি পোশাক কনের পরিবার রেখে দিয়েছে। এমনকি তাদের কাছ থেকে ৫০ টাকা মূল্যের পাঁচটি খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষরও নেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় সালিশে সভাপতিত্বকারী বাকই উত্তর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাফেজ আনোয়ারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহীদুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তবে স্থানীয়রা বিষয়টিকে ‘মীমাংসা’ করেছে বলে জানায়। পরবর্তীতে বর ও তার স্বজনদের নিরাপদে নিজ বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/২৬ আগস্ট/আরজেড)

মন্তব্য করুন