মুরাদনগরে দানিক সমবায় সমিতিকে ঘিরে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

কুমিল্লার মুরাদনগরের ধামঘর ইউনিয়নের দানিক সমবায় সমিতিকে ঘিরে স্থানীয় দ্বন্দ্বের সঙ্গে সাবেক মন্ত্রী কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ ও বিএনপিকে কাল্পনিকভাবে জড়িয়ে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে সচেতন নাগরিকবৃন্দ।
শনিবার দুপুরে ধামঘরের স্থানীয় একটি স্থানে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, দানিক সমবায় সমিতির হিসাব-নিকাশ ও আর্থিক দ্বন্দ্ব নিয়ে সম্প্রতি কিছু গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। তবে এসব ঘটনায় বিএনপি বা কায়কোবাদকে জড়ানোর কোনো বিষয় নেই। বরং দীর্ঘদিন ধরে সমিতিটি আওয়ামী লীগ সমর্থিত ব্যক্তিরাই পরিচালনা করে আসছেন।
ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচার
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা অভিযোগ করেন, স্থানীয় নেশাগ্রস্ত যুবক রাজিব মিথ্যাভাবে সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদ ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল উদ্দিন ভুইয়াকে জড়িয়ে ভিডিও তৈরি করে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন। পরে ভিডিওটি ডিলিট করা হলেও এর মধ্য দিয়ে সম্মানিত জাতীয় নেতাকে নিয়ে ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচার চালানো হয়েছে।
বক্তাদের বক্তব্য
স্কুল শিক্ষক নেছার উদ্দিন বেলাল বলেন, “দানিক একটি সাধারণ সমিতি। দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগ নেতারাই এটি পরিচালনা করছেন। অথচ কায়কোবাদ দাদাকে নিয়ে ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।”
দানিকের সদস্য তসলীম উদ্দিন ইমাম বলেন, “সমিতি গঠনের পর থেকে বিএনপি, জামায়াত, চরমোনাইসহ বিভিন্ন দলের মানুষ এখানে ছিল। কিন্তু এখন আমাদের দাদা ভাইকে জড়িয়ে একটি চক্র মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে। অথচ তিনি আমাদের আর্থিক সমস্যার সমাধানেই পাশে দাঁড়িয়েছেন।”
উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল হাছান সিটন বলেন, “দাদা কায়কোবাদ দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে বিদেশে আছেন। সমিতির সঙ্গে তার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। অথচ তাকে নিয়ে মিথ্যাচার চলছে।”
উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. আল-আমিন বলেন, “একটি চক্র কায়কোবাদ দাদার জনপ্রিয়তা নষ্ট করার জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমরা এর সঠিক বিচার দাবি করছি।”
ধামঘর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক রুহুল আমিন সেন্টু বলেন, “দানিকের অর্থ ব্যবস্থাপনায় আওয়ামী লীগ নেতাদের সম্পৃক্ততা থাকলেও দায় চাপানো হচ্ছে কায়কোবাদ দাদার ওপর। এর সঠিক তদন্ত হওয়া জরুরি।”
ধামঘর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন খোকন বলেন, “এই সমিতির হিসাব-নিকাশ পরিচালনা পর্ষদের দায়িত্বে। দীর্ঘদিন ধরে এটি আওয়ামী লীগ কর্মীরাই চালাচ্ছেন। অথচ ষড়যন্ত্র করে বিএনপি নেতাদের নাম ঘোরানো হচ্ছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।”
সারসংক্ষেপ
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা স্পষ্টভাবে জানান, দানিক সমবায় সমিতির বর্তমান সমস্যার সঙ্গে বিএনপি বা কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ জড়িত নন। তাদের মতে, আওয়ামী লীগ সমর্থিত পরিচালনা পর্ষদের দুর্বল ব্যবস্থাপনাই বর্তমান আর্থিক সংকটের মূল কারণ।

মন্তব্য করুন