ডাকসুকে অতি হাইপ দেয়া বন্ধ করুন: জাহিদ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন (ডাকসু) হোক একদিনে, প্রতিবছরে একবার এবং ডাকসুকে অতি হাইপ দেওয়া বন্ধ করার জন্য নির্বাচন কমিশন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনসহ ডাকসুর সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনের প্রতি জোর দাবি জানান আসন্ন ডাকসু তে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য পদে মনোনয়ন নেওয়া সৈয়দ জাহিদ হাসান নামে এক ঢাবি শিক্ষার্থী।
আজ মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট)সকালে ডাকসুর সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে ঢাকাটাইমস-এর মাধ্যমে তিনি এ দাবি উত্থাপন করেন।
স্টুডেন্ট কাউন্সিল হিসেবে ডাকসু শিক্ষার্থীদের হোক। এমনকি ওয়েব সাইটে ঢুকে পছন্দের প্রার্থীকে একদিনের মধ্যে ভোট প্রদান করা যাবে সেরকম অবস্থা তৈরি করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
এছাড়াও এই ঢাবি শিক্ষার্থী ডাকসু কে সরকাররের বিপরীতে দাঁড় করানোর অভিযোগ তুলে বলেন, এটা একটা ট্র্যাপ। এই ট্র্যাপ যেকোনো সরকারের জন্য অস্বস্তির। রাষ্ট্রের ভেতরে রাষ্ট্র নিয়ে কোনো সরকারই সফল হইতে পারে না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি ডাকসুকে এভাবে ব্যাবহার না করার জন্য অনুরোধ করেন তিনি।
তিনি বলেন, পরীক্ষা-ক্লাসের মাঝে এত হাইপের ডাকসু তাইতো অচেনাই থেকে যায়। ডাকসুকে সরকারের বিপরীতে দাঁড় করানোর মানেটা আমি খুঁজে পাই না।
দেশের গনতন্ত্রের লিটমাস পেপার ডাকসু হতে পারে কিন্তু ডাকসু হইলে গনতান্ত্রিক সরকার চেক এন্ড ব্যালেন্সে থাকে এই রিটোরিক একটা আত্মঘাতী।
কারণ ২০১৮ সালের কোটা আন্দোলনের পর ডাকসু হয়। নুরু ভাইকে তৈরি করেছিল কোটা আন্দোলন ,ডাকসু নয়। বরং কোটা আন্দোলনের ইমেজ ডাকসুতে ইউজ করে নেতা হন তিনি।
অন্যদিকে ,আখতার ভাই পরিচিতি পান প্রশ্ন ফাঁসের বিরুদ্ধে অনশন করে এবং সেই ইমেজ তাকে ডাকসুর প্রতিনিধি হতে সাহায্য করে। খুব সার্প সিনথেসিস হইলো, যেকোনো গনতান্ত্রিক আন্দোলনের অটো নেতৃত্ব তৈরি হয়- নেসেসারিলি ডাকসুই সেটা করবে এমন রাজনীতি জিঁয়ে রেখেই ডাকসুকে পলিটিসাইজ করা হয়। ফলে পলিটিক্যাল লেসপেন্সারদের থেকে না ডাকসুর কিছু পাওয়া হয়, না শিক্ষার্থীদের। অধিকতর ফলাফল স্বরূপ সরকারের অস্বস্তিতে পরিণত হয়ে পরে ডাকসুকেই শিক্ষার্থীদের পাওয়া হয় না।
(ঢাকাটাইমস/২৬ আগস্ট/এএইচ)

মন্তব্য করুন