বুয়েট শিক্ষার্থীদের যমুনা অভিমুখে
আন্দোলন ঠেকাতে গিয়ে হাসপাতালে ৮ জন পুলিশ, ২ জন আশঙ্কাজনক: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত বুয়েট শিক্ষার্থীদের যমুনা ভবনের দিকে যাত্রা ঠেকাতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে তাদের ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটেছে। এতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) আট সদস্য আহত হয়েছেন। আহত পুলিশ সদস্যদের রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর।
বুধবার সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো বার্তা এ তথ্য জানানো হয়।
এদিকে একইদিন বিকালে রাজধানীর রমনা এলাকায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। শিক্ষার্থীরা তাদের তিন দফা দাবি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে যেতে চাইলে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনে পুলিশ প্রথমে তাদের বাঁধা দেয়। এসময় বাঁধা পেরিয়ে শিক্ষার্থীরা পানির ফোয়ার কাছাকাছি পৌঁছালে পুলিশ প্রথম লাঠিচার্জ পরে মুহুর্মুহু সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। একইসঙ্গে জলকামান দিয়ে শিক্ষার্থীদের দিকে পানি ছোঁড়ে।
এই ঘটনায় উভয়পক্ষের বহু হতাহত হয়। তবে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে এখনো এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
তারা হলেন—রমনা জোনের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম, অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) রেজোয়ানুল ইসলাম, উপপরিদর্শক (এসআই) তৌহিদুল ইসলাম, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ফরহাদ আলী, কনস্টেবল আদিব, আমিনুল ইসলাম ও শ্রাবণ। যাদের মধ্যে এসআই তৌহিদুল ইসলাম ও কনস্টেবল আদিবের অবস্থা গুরুতর।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বুধবার বিকালে বুয়েট ক্যাম্পাস থেকে যমুনা ভবনের দিকে যাত্রা শুরু করলে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তাদের গতিরোধ করে। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ সদস্যদের ধস্তাধস্তি হয়। এতে পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হন।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহ থেকে বুয়েট শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—ইঞ্জিনিয়ারিং ৯ম গ্রেড বা সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদে প্রবেশের জন্য সবাইকে নিয়োগ পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং ন্যূনতম বিএসসি ডিগ্রিধারী হতে হবে। কোটার মাধ্যমে কোনো পদোন্নতি নয়, এমনকি অন্য নামে সমমান পদ তৈরি করেও পদোন্নতি দেওয়া যাবে না।

মন্তব্য করুন