প্রকৌশল পেশায় বিএসসি ও ডিপ্লোমাধারীদের দাবির যৌক্তিকতা যাচাই কমিটি গঠন

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে প্রকৌশল পেশায় বিএসসি ডিগ্রিধারী ও ডিপ্লোমাধারীদের পেশাগত দাবিসমূহের যৌক্তিকতা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য কমিটি গঠন করেছে সরকার।
কমিটিতে সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয় ও গৃহায়ন এবং গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার (উপদেষ্টা, শিক্ষা মন্ত্রণালয়), পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের সভাপতি প্রকৌশলী মোহাম্মদ রেজাউল ইসলাম, ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সের সভাপতি প্রকৌশলী মো: কবির হোসেন, বোর্ড অব অ্যাক্রেডিটেশন ফর ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনিক্যাল এডুকেশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. প্রকৌশলী তানভির মঞ্জুর এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক।
কমিটি এক মাসের মধ্যে সরকারের নিকট প্রতিবেদন পেশ করবে এবং প্রয়োজনবোধে নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্ত (কো-অপ্ট) করতে পারবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা প্রদান করবে।
এর আগে গতকাল (মঙ্গলবার) বিকাল তিনটার দিকে তিন দফা দাবীতে শাহবাগ মোড়ে জড়ো হন বুয়েট শিক্ষার্থীরা। পরে বেসরকারি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকশ শিক্ষার্থী তাদের সঙ্গে যোগ দেন। এ সময় আশপাশের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা অবস্থানের পর তারা রাত ৮টায় শাহবাগ ছাড়েন। পরবর্তীতে বুধবার দুপুরে আবারও শাহবাগে জড়ো হয় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করলে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হন তারা। এক পর্যায়ে পুলিশের লাঠিচার্জ, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান ব্যবহারের পর ছাত্রভঙ্গ হয়ে যায় শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো
১. ইঞ্জিনিয়ারিং ৯ম গ্রেড বা সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদে প্রবেশের জন্য সবাইকে নিয়োগ পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং ন্যূনতম বিএসসি ডিগ্রিধারী হতে হবে। কোটার মাধ্যমে কোনো পদোন্নতি নয়, এমনকি অন্য নামে সমমান পদ তৈরি করেও পদোন্নতি দেওয়া যাবে না।
২. টেকনিক্যাল ১০ম গ্রেড বা উপসহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদের নিয়োগ পরীক্ষা ডিপ্লোমা ও বিএসসি ডিগ্রিধারী উভয়ের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে।
৩. ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি ডিগ্রি ব্যতীত প্রকৌশলী পদবি ব্যবহারকারীদের বিষয়ে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে। নন-অ্যাক্রিডেট বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সগুলোকে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আইইবি-বিএইটিই অ্যাক্রিডেশনের আওতায় আনতে হবে।(ঢাকাটাইমস/২৭আগস্ট/এলএম)

মন্তব্য করুন