বাবাকে হত্যা, মায়ের মাথাতেও দায়ের কোপ

শরীয়তপুর প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২০:২৬ | প্রকাশিত : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২০:১২

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় রহিম ব্যাপারী নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার ছেলে নাঈম ব্যাপারীর বিরুদ্ধে। তিনি মা পিয়ারা বেগমকেও কুপিয়ে আহত করেছেন। তিনি আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি।

রবিবার বিকাল সাড়ে চারটার দিকে ওই ঘটনার পর নাঈমকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা। আর পিয়ারা বেগমকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, নড়িয়ার আনাখণ্ড গ্রামের ক্ষুদ্র মাছ ব্যবসায়ী রহিম ব্যাপারীর পাঁচ সন্তান। তাদের মধ্যে নাঈম মেজো। ২৫ বছর বয়সী এই যুবক দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত। প্রায়ই তিনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন।

সকালে বাবা-মার কাছে টাকা চান নাঈম। বাবা মা টাকা দিতে অস্বীকার জানালে ক্ষুব্ধ হন এই যুবক। বিকালে বাড়ির উঠানে দাড়িয়ে থাকা অবস্থা পেছন থেকে দা দিয়ে বাবার মাথায় কোপ দেন তিনি। চিৎকার শুনে মা পিয়ারা বেগম ছুটে আসেন। এ সময় তাকেও মাথায় কোপানো হয়। আর বাড়ির উঠানেই মারা যান রহিম ব্যাপারী।

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে পিয়ারা বেগমকে। তিনি ব্যাথায় কাতরাচ্ছিলেন,আর অঝোর ধারায় কাঁদছিলেন। কাঁদতে কাঁদতে বলছিলেন, ‘নেশা করার টাকা চাইত,আমরা দিতাম না,এর আগেও মারধর করেছে। এভাবে কুপিয়ে মেরে ফেলবে বুঝতে পারিনি।’

আনাখণ্ড গ্রামের আবু সালাম ব্যাপারী বলেন, ‘চিৎকার শুনে আমরা ছুটে যাই। উঠানে রক্তাক্ত অবস্থায় রহিম চাচা ও চাচি পরে আছে। নাঈম তা হাতে দাড়িয়ে আছে। গ্রামবাসী নাঈমকে আটক করে পুলিশে দেয়।’

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পিয়ারা বেগমের মাথায় তিনটি কোপের আঘাত রয়েছে। আঘাতগুলো গুরুতর। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিতে পারলে ভালো হতো।’

নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল হক আকন্দ বলেন, ‘নাঈম নামে এক ছেলে তার বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। পুলিশ তাকে আটক করেছে। ছেলেটিকে মানসিক ভারসাম্যহীন মনে হচ্ছে। সে মাদক গ্রহণ করত কি না তা তদন্ত করা হচ্ছে।’

ঢাকাটাইমস/০৩ফেব্রুয়ারি/প্রতিবেদক/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :