চ্যালেঞ্জ নিয়েই তিনে ব্যাট করেন সাকিব
ব্যাটিং অর্ডারে তাঁকে পাঁচ নম্বর থেকে তিন নম্বরে তুলে আনা হয়েছিল। তার পরেই রানের মধ্যে বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডার। বিশ্বকাপের প্রথম তিন ম্যাচে দুইটি অর্ধশত রান ও একটি শতরান করেছেন তিনি।
কার্ডিফে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচে যদিও সাকিবের ১২১ রানের পরেও হার এড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডের কাছে বাংলাদেশ হারে ১০৬ রানে। শুরুতে ব্যাট করে ছয় উইকেটে ৩৮৬ রান করেছিল ইংল্যান্ড।
ম্যাচের পর সাংবাদিকরা সাকিবের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, ব্যাটিং অর্ডারে তিনি কীভাবে উপরে উঠে এলেন? উত্তরে হাসতে হাসতে ২০১টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলা সাকিব বলেন, ‘দলের প্রত্যেককেই বোঝাতে হয়েছে। কারণ, যদি কোনো ম্যাচে আমি রান না পেতাম তাহলে অনেকে ভাবতেন আমার পাঁচে ব্যাট করাই ঠিক।’
সঙ্গে যোগ করেন, ‘আসলে আমি বিষয়টিকে অন্য দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখেছি। দলের জন্য অন্য রকমের চ্যালেঞ্জ নিতে চেয়েছিলাম। এই মুহূর্তগুলোকে সত্যিই উপভোগ করছি।’
সাকিব আরও বলেন, ‘সঙ্গে এটাও বলতে চাই, বিশ্বকাপে ভাল পারফরম্যান্সের শুরু করেছি সবে। ব্যাটে ও বলে আরও ভাল করতে চাই। ব্যাটিং অর্ডার উপরে উঠে আসায় ভেবেছিলাম, ব্যাট হাতে আরও বেশি করে দলের কাজে লাগতে চাই। তার জন্য এটা একটা বড় সুযোগ।’
চার বছর আগে ২০১৫ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে হারিয়েই কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু শনিবার কার্ডিফে আর তার পুনরাবৃত্তি হয়নি। ম্যাচে ইংল্যান্ডের দুই পেসার জফরা আর্চার ও মার্ক উডের বিরুদ্ধে সাকিব ছাড়া সফল হননি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। যে প্রসঙ্গে সাকিব বলছেন, ‘ওদের বলের গতি মারাত্মক। সেটা সামলানো একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। তবে আমি বিষয়টা ভালোই উপভোগ করেছি।’
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পরবর্তী প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। ইংল্যান্ডের কাছে হার প্রসঙ্গে সাকিব বলছেন, ‘ম্যাচের ফলে সত্যিই হতাশ আমরা। বিশেষ করে বোলিং বিভাগের পারফরম্যান্স আশা অনুযায়ী হয়নি। দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে যেভাবে বোলিং করেছিলাম আমরা। সেই ছন্দে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বল করা যায়নি।’
(ঢাকাটাইমস/১০ জুন/এসইউএল)