চরভদ্রাসনে জমি-বাড়ি পদ্মায়
ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে সদর ইউনিয়নের বালিয়া ডাঙ্গী গ্রামে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। রবিবার ও সোমবার দুপুরে তীব্র ভাঙনে দুই একর ফসলি ও ভিটা জমি নদীতে বিলীন হয়েছে। ঝুঁকির মুখে রয়েছে বালিয়াডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি কমিউনিটি ক্লিনিক।
ভাঙনের শিকার ওই গ্রামের বাসিন্দা মনসুর মোল্যা বলেন, ‘গত বছর ভাঙনের পর আমার বাড়িই ছিল পদ্মারপাড়ে। কিন্তু এবার মনে হয়, আর রক্ষা হবে না। সন্তানাদি নিয়ে আশ্রয় নেবার মত আর কোন জায়গা নেই। যেভাবে ভাঙন শুরু হয়েছে, এরকম ভাঙলে রাতটুকুও পার করতে পারব না। তার আগেই আমার শেষ সম্বলটুকু কেড়ে নেবে পদ্মা।’
একই গ্রামের বাসিন্দা হেলাল বিশ্বাস বলেন, ‘রবিবার আমার প্রায় ২০ শতাংশ ফসলি জমি নদীতে চলে গেছে। বালিয়াডাঙ্গীর একটি স্কুল কমিউনিটি ক্লিনিকও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। সোমবারও বেড়িবাঁধের উপর নির্মিত এইচবিবি রাস্তার অনেকখানি জায়গা নদীতে বিলীন হয়েছে।’
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকোশলী সুলতান মাহমুদ বলেন, ‘চরভদ্রাসনের ভাঙনের ঝুঁকিতে থাকা এলাকাগুলো আমাদের পর্যবেক্ষণে রয়েছে। বালিয়াডাঙ্গীতে আমাদের লোক পাঠিয়ে অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
চরভদ্রাসন উপজেলা চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন জানান, ‘শুস্ক মৌসুমে পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করে না, যখন বন্যা বা নদীতে পানি বাড়ে তখন কাজ করতে আসে।’
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এতে তো ওই প্রতিষ্ঠানের কর্তা ব্যক্তিদের পকেটে অর্থ যায়, কিন্তু কাজের কাজ হয় কতটুকু। তার দাবি নদী ভাঙন রোধে কাজ করতে হবে অবশ্যই শুষ্ক মৌসুমে।’
(ঢাকাটাইমস/২২জুলাই/এলএ)