সাপ-মশার অভয়াশ্রম চবির ভূগর্ভস্থ ক্যান্টিন

নবাব আব্দুর রহিম, চবি
  প্রকাশিত : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৮:১০
অ- অ+

পরিত্যক্ত না হলেও দীর্ঘদিনের অব্যবহার অযত্ন আর অবহেলায় সাপখোপ আর মশার অভয়াশ্রমে পরিনত হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ভূগর্ভস্থ ক্যান্টিন। বিশাল আয়তনের কক্ষটি বছরের পর বছর পড়ে আছে পানিতে সয়লাব হয়ে আছে। ক্যান্টিনটি নিয়ে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে।

জানা যায়, ১৯৭০ সালে ক্যান্টিনটি নির্মাণ করা হয়েছিল। শুরুর দিকে এটি চালু থাকলেও কালক্রমে বন্ধ হয়ে যায় এটি। এর পাশেই ঝুপড়িতে ও চাকসুর ক্যান্টিনে সুলভে খাবার পাওয়ায় ওই ক্যান্টিন বিমুখ হয় শিক্ষার্থীরা। এরপর থেকে ক্যান্টিনটি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে।

চলতি বছর ক্যান্টিনটির ছাদের পশ্চিমাংশে ছোট আকারে আরেকটি ক্যান্টিন নির্মাণ করা হয়েছে। তবে সেটি উদ্বোধন করা হলেও এখনও চালু হয়নি।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সকলের চোখের সামনেই মশা আর সাপের উৎপাদন ছাড়া কোনও কাজেই লাগানো হচ্ছে না ক্যান্টিনটিকে। অভিযোগ উঠেছে, বারবার পানি সেচ করতে বলা হলেও শুনছে না প্রকৌশল বিভাগ। এভাবেই মশা আর সাপের অভয়াশ্রমে পরিণত হয়েছে এটি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কলা ও মানববিদ্যা অনুষদ ভবনের পশ্চিম পাশে নাট্যকলা বিভাগের সামনে ভূগর্ভস্থ এই কক্ষটি অত্যন্ত নোংরা পানিতে থই থই করছে। কক্ষটি বাইরে থেকে এতটাই অন্ধকার যে সামান্য ভিতরে পানির অবস্থান ছাড়া অন্যকিছু অনুভবও করা যায় না।

নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা জানায়, নোংরা পানির দুর্গন্ধ আর মশার উপদ্রব থেকে বাঁচতে বিভাগের চেয়ারম্যান বরাবর প্রায়ই আবেদন করে আসছেন তারা। এমনকি তাদের ক্লাসরুম সংকট হলেও পাশেই এতবড় জায়গা অব্যবহৃত পড়ে রয়েছে। অথচ কর্তৃপক্ষ সে বিষয়টিও আমলে নিচ্ছে না।

এদিকে ক্যান্টিনটি ব্যবহার উপযোগী করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তরে চিঠি দিয়ে আবেদন জানানো হলেও কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করছেন সংশ্লিষ্টরা। সর্বশেষ গেল ২১ আগস্ট কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সেকান্দর চৌধুরী চবির প্রধান প্রকৌশলী আবু সাইদ হোসেন বরাবর পানি সেচ করে কক্ষটি ব্যবহার উপযোগী করতে চিঠি দেন। কিন্তুঅজানা কারণে প্রকৌশল দপ্তরের কোনও হেলদোল নেই অভিযোগ।

ড. সেকান্দর চৌধুরী ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘আমরা উদ্যোগ নিয়েছি পানি সেচ করার। প্রকৌশল দপ্তরে চিঠিও দিয়েছি। কেন কাজ হচ্ছে না এটা প্রকৌশল দপ্তরই ভাল বলতে পারবে। ’

তিনি বলেন, ‘কক্ষটির পাশ দিয়ে একটি ছড়া বয়ে গেছে। তাছাড়া কাছেই রয়েছে ফ্যাকাল্টির ড্রেনের হাউজ, এটি কক্ষটি থেকে উপরে। আবার ছড়ার প্রবাহ আগে নিচে ছিল, সেটা এখন উপরে উঠে গেছে। ফলে বারবার সেচ করলেও পানি থেকে যায়। এটা পরিষ্কার করে হয়তো কাজে লাগাতে পারব না। কিন্তু মশা ও সাপের উপদ্রব কমানো যাবে।’

অন্যদিকে ক্যান্টিনটি সংস্কারে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করে প্রধান প্রকৌশলী আবু সাইদ হোসেন ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘আমরা পানি পরিষ্কারের জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছি। এটি ১৯৭০ সালের দিকে ক্যান্টিন হিসেবে নির্মিত হয়েছিল। প্রথম দিকে ব্যবহার করা গেছে। কিন্তু পরবর্তীতে আর সম্ভব হয়নি। এর কোন স্থায়ী সমাধানও নাই।’

ঢাকাটাইমস/১৭সেপ্টেম্বর/ডিএম

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
ড. ফয়জুল হককে বিএনপি থেকে বহিষ্কার
অতিরিক্ত সচিব আরিফুজ্জামানসহ ৩ জনকে ওএসডি
যশোরে পূর্ব শত্রুতার জেরে যুবক খুন 
স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের অর্ধ বার্ষিক বিজনেস রিভিউ মিটিং অনুষ্ঠিত
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা