শিক্ষার্থীদের মানসম্মত উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করবো

তানিয়া আক্তার
  প্রকাশিত : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৮:২৪
অ- অ+

শিক্ষার্থীদের মানসম্মত উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি (আইইউবিএটি)। সবুজের শ্যামলীমায় ঘেরা এই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়টি গার্ডেন ক্যাম্পাস নামেও পরিচিত। প্রতিষ্ঠানটির বয়স দুই যুগেরও বেশি। স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য হিসেবে আছেন অধ্যাপক ড. আবদুর রব। যিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএতে ৩৩ বছর অধ্যাপনা করেছেন। পরিচালক হিসেবেও ছিলেন। আইইউবিএটির পাঠদান নিয়ে কথা বলেছেন দৈনিক ঢাকা টাইমস-এর সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন তানিয়া আক্তার।

আইইউবিএটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরুটা এবং আপনার সম্পৃক্ততা সম্পর্কে বলুন।

আইইউবিএটি দেশের সর্বপ্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। দুই যুগেরও আগে ১৯৯১ সালে ড. এম আলিমউল্যা মিয়ান এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন। অর্থাৎ তিনিই ছিলেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারণার প্রবর্তক। আর তখন থেকেই আমি গুণী মানুষটির সঙ্গে ছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কাজেও সম্পৃক্ত ছিলাম। ২০১৭ সাল থেকে এ পদের দায়িত্বে আছি। এখন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হওয়ার অনুভূতিটা বেশ ভালো।

এই বিশ্ববিদ্যালয়টির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কী কী?

এক সময় শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষার জন্য দেশের বাইরে চলে যেত। ফলে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা হারাতাম আমরা। এদিকে দেশে এইচএসসিতে পাসের হার ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেলেও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আসন সংখ্যা সীমিত থাকায় অনেক শিক্ষার্থীর উচ্চশিক্ষার সুযোগ ছিল না। তাই বৈদেশিক মুদ্রা বাঁচানোর পাশাপাশি উচ্চশিক্ষার সুবিধা বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত ব্যবস্থা করে দিতেই বেসরকারি এই বিশ্ববিদ্যালয়টির এগিয়ে চলা। এছাড়া প্রতি গ্রাম থেকে কমপক্ষে একজন গ্রাজুয়েট তৈরির প্রকল্পও নিয়েছিলেন প্রতিষ্ঠাতা মিয়ান। এটাও আমাদের অন্যতম লক্ষ। অর্থাৎ আমাদের সার্বিক লক্ষ হচ্ছে উপযুক্ত শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও দিক-নির্দেশনার মাধ্যমে মানবসম্পদ উন্নয়ন ও জ্ঞান চর্চার মাধ্যমে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করা।

মানসম্মত উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করতে আপনাদের ভূমিকা কী?

উচ্চশিক্ষায় মানসম্মত পাঠদানে বিজ্ঞানভিত্তিক সময়োপযোগী পাঠদানের ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। এখানকার শ্রেণিকক্ষ রয়েছে প্রায় ৭০ টির মতো। প্রযুক্তির এই যুগে প্রতিটি শ্রেণিকক্ষ মাল্টিমিডিয়াসমৃদ্ধ এবং প্রতিটি ফ্লোরে রাখা হয়েছে ডিজিটাল নোটিশ বোর্ড। এছাড়াও পর্যবেক্ষণের স্বার্থে সশরীরেও মনিটরিং করা হয়। বিষয়ভিত্তিক আধুনিক গবেষণাগারও রয়েছে। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রছাত্রীদের জন্য রয়েছে বিশেষ ড্রয়িং ক্লাস। দক্ষ ও অভিজ্ঞ শিক্ষক দিয়ে সময়োপযোগী পাঠদান করা হয়। আবার চাকরি ক্ষেত্রে যেহেতু ইংরেজিতে দক্ষদের অগ্রাধিকার বেশি দেওয়া হয় সেই সুবাদে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ইংরেজিকে প্রথম ভাষা হিসেবে রাখা হয়েছে। এছাড়া সহজে চাকরি নিশ্চিত করতে প্রথম সেমিস্টারেই শিক্ষার্থীকে ক্যারিয়ার সম্পর্কে প্রয়োজনীয় শিক্ষা দেওয়া হয়।

উচ্চশিক্ষায় গবেষণা ও জ্ঞানচর্চার জন্য আপনাদের পদক্ষেপগুলো কী কী?

এখানে ৬টি অনুষদের অধীনে ৯টি বিষয়ে ডিগ্রি দেওয়া হয়। আইইউবিএটির প্রতিষ্ঠাতা এম আলিমউল্যা মিয়ান রিসার্চ সেন্টারের উদ্যোগে কৃষি, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি ব্যবসায় প্রশাসনসহ অন্যান্য বিভাগের শিক্ষকরা বিভিন্ন গবেষণায় নিয়োজিত আছেন। এসব গবেষণার ফলাফল নিয়ে রিসার্চ সেমিনারের আয়োজন করা হয় এবং প্রবন্ধ আকারে গবেষণা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এছাড়াও এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সরকারি অনুদানেও বিভিন্ন গবেষণা প্রকল্পে কাজ করে থাকেন।

গরিব ও অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের কী ধরনের সুবিধা দিচ্ছেন?

প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর ড. এম আলিমউল্যা মিয়ান বৃত্তির মাধ্যমে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীরা বিনা খরচে পড়ার সুযোগ পাচ্ছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। এছাড়াও এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে ১০০% পর্যন্ত মেধা বৃত্তি, মেয়েদের উচ্চশিক্ষায় উৎসাহিত করতে ১৫% স্পেশাল বৃত্তিসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৫৭টি বৃত্তি দেওয়া হয়। মোটকথা এখানে পড়াশোনা করার জন্য অধিকাংশ শিক্ষার্থীই আর্থিক সহযোগিতা পাচ্ছে।

শিক্ষার্থীবান্ধব প্রতিষ্ঠান হিসেবে এখানকার সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে বলুন।

আইইউবিএটি ঢাকায় অবস্থিত একমাত্র বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে আছে খেলার মাঠ, শহীদ মিনারসহ শিক্ষার্থীদের জন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা। শিক্ষার্থীদের জন্য নিজস্ব বাস রয়েছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পেছনের দিকে লেকের পাশ ঘেঁষেই রয়েছে ‘স্টাডি এরিনা।’ এখানে একসঙ্গে ৮০০ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করতে পারে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত। ‘স্টাডি এরিনা’র পাশে ক্যাফেটেরিয়ায় প্রতিদিন শত শত শিক্ষার্থী সকালের নাশতা, দুপুরের লাঞ্চ এবং বিকালের স্ন্যাকসসহ সব ধরনের খাবারের সুযোগ পাচ্ছে। এসবের পাশাপাশি ধর্মীয় মূল্যবোধ চর্চার জন্য আছে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ। নির্মাণশৈলী, কারুকার্য ও নান্দনিকতায় মসজিদটি অনন্য।

পাঠ্যবইয়ের বাইরে আনন্দমূলক শিক্ষা কার্যক্রমগুলো কী কী?

সবুজে ঘেরা মাঠে বছরজুড়েই ফুটবল, হ্যান্ডবল, ক্রিকেটসহ আন্তঃবিভাগ খেলা চলতে থাকে। এছাড়া সাংগঠনিক দক্ষতা বাড়াতে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ক্লাবের অধীনে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডেও অংশ নেয়।

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
৩৪তম বিসিএস অল ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন
চুয়াডাঙ্গা ও কক্সবাজারে সড়কে ঝরল পাঁচ প্রাণ
অবশেষে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেল তালেবান সরকার, দূত গ্রহণ করেছে রাশিয়া
ইরান ও ইউক্রেন নিয়ে ট্রাম্প-পুতিন এক ঘণ্টা ফোনালাপ
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা