কসবায় দুই ট্রেনের সংঘর্ষ

স্বামীর কুলখানি শেষে ফেরার পথে স্ত্রীরও মৃত্যু

সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১২ নভেম্বর ২০১৯, ২০:৩৮
অ- অ+

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে কাজ করার সময় দুর্ঘটনায় মারা যান মুসলিম মিয়া। তার কুলখানি শেষ করে পরিবারসহ চট্টগ্রামে ফেরছিলেন জাহেদা বেগম। পথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় দুই ট্রেনের সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন জাহেদা। ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে তার তিন সন্তান ইমন (১৭), মেয়ে সুমী (১৯), মীম (৮) ও মা সুরাইয়া খাতুন। বাবার মৃত্যুর পাঁচ দিনের মাথায় মাকেও হারিয়ে শোকাতুর সন্তানরা।

নিহত জাহেদা বেগমের ছেলে সুমন মুঠো ফোনে কান্নাজড়িত কণ্ঠে ঢাকাটাইমসকে বলেন, গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের কদমরসুলে জাহাজে কাজ করার সময় আমার বাবা নিহত হন। তার লাশ দাফন করতে গ্রামের বাড়িতে যাই। কুলখানি শেষ করে আবার ট্রেনে করে চট্টগ্রামে ফিরছিলাম। পথে দুই ট্রেনের সংঘর্ষে অন্যদের সঙ্গে আমার মাও মারা যায়। আহত হয়েছে আমার ভাই-বোন ও নানি। আমি অন্য বগিতে থাকায় বেঁচে গেছি।

নিহত জাহেদার বাড়ি শ্রীমঙ্গল উপজেলার গাজীপুর এলাকার রামনগরে হলেও তারা অনেক বছর ধরে সীতাকুণ্ডের কদমরসুলে বসবাস করছেন।

জাহেদার ননদ হাসিনা খাতুন জানান, মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার গাজীপুর এলাকার রামনগরের মুসলিম মিয়া পরিবার পরিজন নিয়ে কর্মসূত্রে চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে বসবাস করতেন। জাহাজকাটা শিল্পে কাজ করতেন তিনি।

এদিকে ট্রেন দুর্ঘটনায় আহতদের ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতালে) ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার রাত পৌনে তিনটার দিকে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী তূর্ণা নিশীথা আর সিলেট থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেসের সংঘর্ষে কয়েকটি বগি দুমড়ে-মুচড়ে অন্তত ১৬ জন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছেন।

ঢাকাটাইমস/১২নভেম্বর/ইএস

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
মতিঝিলে সেনা কল্যাণ ভবনে আগুন
জুলাই সনদ তৈরির প্রক্রিয়া হতে হবে স্বচ্ছ: প্রধান উপদেষ্টা
শহীদ জিয়া’র মাজার এলাকায় ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর পরিচ্ছন্নতা অভিযান
ভালুকায় পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা