১০০ দিন পার: এখনো অস্বাভাবিক কাশ্মীরের জনজীবন
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর ১০০ দিন পার হয়েছে। তবে এত দীর্ঘ সময় পরও সেখানে এখনো জনজীবন অস্বাভাবিক। অনেক নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। কয়েক লাখ সেনাও সেখানে শুরু থেকেই মোতায়েন রয়েছে।
শীর্ষ রাজনৈতিক নেতারা এই ১০০ দিন ধরেই আটক হয়ে আছেন। জারি রয়েছে ১৪৪ ধারাও। ৩৬ লক্ষ প্রিপেইড মোবাইল এখনও চালু হয়নি, নেই ইন্টারনেটও। তবে চালু হয়েছে ল্যান্ডলাইন ফোন আর পোস্ট পেইড মোবাইল ফোন। ইন্টারনেট চালুর দাবিতে মঙ্গলবারই শ্রীনগরে বিক্ষোভ করেছেন সেখানকার সাংবাদিকরা।
৫ আগস্টের সঙ্গে ১০০ দিন পরের কাশ্মীরের বড় তফাৎটা হল তখন যে জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যটা ছিল, সেটা এখন আর নেই। আনুষ্ঠানিক মানচিত্রও বদলে গেছে গোটা কাশ্মীরের। লাদাখ অঞ্চলকে আলাদা করে দিয়ে জম্মু কাশ্মীরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল বলে ঘোষণা করা হয়েছে। তাই প্রশাসন সবটাই দিল্লি থেকে নিয়ন্ত্রিত হয়।
শীর্ষ রাজনৈতিক নেতা নেত্রী- এমনকি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীরাও আটক হয়ে আছেন। একই সঙ্গে বহু কাশ্মীরীও সেখানকার জেলে এবং উত্তর প্রদেশের জেলে আটক রয়েছেন। কাশ্মীরের প্রধান আয়ের উৎস পর্যটন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে আছে। পর্যটনের ওপরে নির্ভরশীল হাজার হাজার মানুষের কোনো রোজগার নেই।
কাশ্মীরজুড়ে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। চারজনের বেশী একসঙ্গে চলাফেরার ওপরে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। দোকানপাট, বাজারঘাট সকালে ঘণ্টা তিনেকের জন্য খোলা হয়।
কাশ্মীর থেকে বিবিসির সাংবাদিক জানিয়েছেন, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ওই তিনঘণ্টার মধ্যেই কিনতে হয়। মঙ্গলবার থেকেই ট্রেন চালু হয়েছে শ্রীনগর আর বারামুলার মধ্যে। স্কুল খোলা আছে, তবে শুধু শিক্ষক শিক্ষিকারাই যান। ক্লাস টেন এবং টুয়েলভের যেহেতু বোর্ড পরীক্ষা আছে- তাদের পরীক্ষাগুলো হচ্ছে, অন্য ক্লাসের ছাত্রছাত্রীদের বাড়িতে অভিভাবকদের সামনে পরীক্ষা দিতে হচ্ছে।
এই নতুন রুটিনে মানুষ অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু মাঝে মাঝেই বিক্ষোভের মাধ্যমে এটা টের পাওয়া যায় যে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ এখনও কমেনি। সূত্র: বিবিসি
ঢাকা টাইমস/১৩নভেম্বর/একে