সাহিত্যিক মোবাশ্বের আলীর স্মরণসভা অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১৫ নভেম্বর ২০১৯, ২২:৫৮
অ- অ+

একুশে পদক ও বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত সাহিত্যিক অধ্যাপক মোবাশ্বের আলীর স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মোবাশ্বের আলীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সম্প্রতি রাজধানীর ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিক্সে এ স্মরণসভার আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন ভারতের ব্যাঙ্গালুরু এমটিজি গ্লোবালের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. ভোলানাথ দত্ত।

এ সময় বক্তারা অধ্যাপক মোবাশ্বের আলীর বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের উপর আলোকপাত করেন। ঐ আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিক্সের উদ্যোক্তা অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রেহানা পারভীন ও সারা তাসনীম প্রমুখ।

মোবাশ্বের আলী ১৯৩১ সালের ১ জানুয়ারি কুমিল্লা শহরের বাগিচাগাঁওয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন একাধারে একজন ভাষাসৈনিক, সাহিত্যিক, প্রবন্ধকার, সাহিত্য সমালোচক, শিক্ষাবিদ ও কথাশিল্পী, অনুবাদক ও গবেষক। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে প্রবেশিকা, ১৯৪৮ সালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক, ১৯৫১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক সম্মান এবং ১৯৫২ সালে স্নাতকোত্তর পাস করেন।

১৯৫৩ সালে তৎকালীন ময়মনসিংহ জেলার নেত্রকোনা কলেজে বাংলা বিভাগে অধ্যাপনার মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৫৫ সালে যশোর এম এম কলেজে (মাইকেল মধুসূদন কলেজ) বাংলা বিভাগে যোগদান করেন। ১৯৫৮ সালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের বাংলা বিভাগে যোগদান করে একটানা বিশ বছর চাকরি করেন। পরে তিনি এ কলেজের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হন। ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে উপাধ্যক্ষ হিসেবে খুলনা বিএল সরকারি কলেজে যোগদান করেন। ১৯৮১ সালে তিনি চট্টগ্রাম সরকারি মুহাম্মদ মহসীন কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন এবং ১৯৮৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন।

ছাত্রাবস্থা থেকে অধ্যাপনায় বিশ্বসাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চা অব্যাহত রাখেন। ‘সমকাল’-এ লেখা দিয়ে তার লেখক জীবন শুরু। সিকান্দর আবু জাফরের অনুরোধে তার গ্রিক সাহিত্য আলোচনা ও অনুবাদের সূত্রপাত। বিশ্বসাহিত্যে তার ছিলো অগাধ পান্ডিত্য। শেক্সপিয়ার, হোমার, সফোক্লিস, ভার্জিল, কালিদাস, তলস্তয়, চেখভ, গোর্কি, পাস্তারনাক, ওমর খৈয়াম, হাফিক কি শেলি – সবার বিষয়ে তার গবেষণা ও মূল্যায়ন ছিলো সূক্ষ্ম ও গভীর।

তিনি বাংলা ভাষাভাষি পাঠকের জন্য বিশ্বসাহিত্যের জানালা খুলে দিয়েছিলেন। ‘বিশ্বসাহিত্য’ একটি ক্লাসিক গ্রন্থ। এই গ্রন্থ তাকে অমরতা দান করেছে। শেষ জীবনে গবেষণা ও লেখালেখি করেই অতিবাহিত করেছেন। অত্যন্ত পারঙ্গমতার সঙ্গে তিনি বাংলা ভাষাকে সমৃদ্ধ করতে সচেষ্ট ছিলেন। ২০০৫ সালের ৯ নভেম্বর তিনি মারা যান। সূত্র: বাসস।

ঢাকাটাইমস/১৫নভেম্বর/ইএস

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
লেবাননে ১০ কোটি ডলারের বিমান রক্ষণাবেক্ষণ ও সরঞ্জাম বিক্রির অনুমোদন দিল যুক্তরাষ্ট্র
এনআরবিসি ব্যাংকে ‘ফরেন এক্সচেঞ্জ ও ফরেন ট্রেড’ বিষয়ে প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
মিটফোর্ডে প্রকাশ্যে ভাঙারি ব্যবসায়ীকে হত্যা: এখনো ঘটনার বিস্তারিত কারণ জানতে পারেনি র‍্যাব
কুমিল্লায় অজ্ঞাত যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা