৪ ডিসেম্বর মুক্ত হয় জামালপুরের কামালপুর

জামালপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ০৩ ডিসেম্বর ২০১৯, ২৩:০৩
অ- অ+

১৯৭১ সালের ৪ ডিসেম্বর পাকহানাদার মুক্ত হয় মহান মুক্তিযুদ্ধের ১১ নম্বর সেক্টরের জামালপুরের কামালপুর রণাঙ্গন। যুদ্ধে এক ক্যাপ্টেনসহ শহীদ হন ১৯৭ জন মুক্তিযোদ্ধা। কামালপুর মুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে সুচিত হয় জামালপুর, ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল তথা ঢাকা মুক্ত হওয়ার পথ।

মহান মুক্তিযুদ্ধের ১১ নম্বর সেক্টরের সেক্টর কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বীর সেনানী কর্নেল আবু তাহের বীর উত্তম। এই সেক্টরের সদর দপ্তর ছিল ভারতের মহেন্দ্রগঞ্জে। এই সেক্টরের অদূরেই ধানুয়া কামালপুর সীমান্তে ছিল পাকসেনাদের কংকিটের তৈরি বাংকারসহ দুর্ভেদ্য ও সুরক্ষিত শক্তিশালী ঘাটি।

পাকসেনাদের এই শক্তিশালী ঘাটির পতন ঘটানোর লক্ষ্যে কর্নেল আবু তাহেরের নেতৃতে ১২ জুন থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে হানাদার পাকসেনাদের ১১ দফা সম্মুখ যুদ্ধ হয়। এই যুদ্ধে শত্রু পক্ষের মেজরসহ অনেক পাকসেনা হতাহত হয়। এই যুদ্ধে পাকসেনাদের একটি মর্টার সেলের আঘাতে সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আবু তাহের গুরুতর আহত হন এবং ১টি পা হারান।

বীর মুক্তি সেনানীরা ২৪ নভেম্বর থেকে কামালপুর পাকসেনা ক্যাম্প অবরোধ করে টানা ১০দিন সম্মুখ যুদ্ধের পর ৪ ডিসেম্বর কামালপুরকে শত্রুমুক্ত করেন। এদিন কামালপুর ক্যাম্পের গ্যারিসন কমান্ডার আহসান মালিকসহ ১৬২ পাকসেনা মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আত্মসর্মপণ।

কামালপুর যুদ্ধে ক্যাপ্টেন সালাহ উদ্দিনসহ মোট ১৯৭ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। অপরদিকে অফিসারসহ ৪৯৭ জন পাকসেনা নিহত হয়।

ঢাকাটাইমস/০৩ডিসেম্বর/ইএস

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
গোপালগঞ্জে হামলার ঘটনা নিয়ে ফেসবুকে ট্রল, দিনাজপুরের এএসপি প্রত্যাহার
‘গোপালগঞ্জে ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়নি’
“চাঁদাবাজ যতই প্রভাবশালী হোক, পার পাবে না”
গোপালগঞ্জে বৃহস্পতিবারের এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা