পারভেজের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার ১৬৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী পারভেজ মোশাররফের বিরুদ্ধে দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার ১৬৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার ওই মামলায় পারভেজ মোশাররফকে মৃত্যুদণ্ড দেয় দেশটির তিন সদস্যের বেঞ্চের একটি বিশেষ আদালত।
গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত রায়ে বলা হয়, কোনো স্বৈরশাসক যতক্ষণ মানুষের ইচ্ছাকে পরাভূত করতে পারে ততক্ষণ ক্ষমতায় থাকে। রায়ে পারভেজ মোশাররফের ক্ষমতা গ্রহণ ঠেকাতে ব্যর্থতার জন্য তৎকালীন সেনা কর্মকর্তাদের কঠোর সমালোচনা করা হয়।
এছাড়া রায়ে আরো বলা হয়েছে, প্রসিকিউশন দল অনস্বীকার্য, অকাট্য এবং সন্দেহাতীত প্রমাণ উপস্থাপন করায় আদালত অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর অভিযুক্ত ব্যক্তি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পাওয়ার উপযুক্ত।
বিশেষ আদালতের পূর্ণাঙ্গ রায়ে তৎকালীন সেনা কমান্ডারদের সমালোচনা করে বলা হয়েছে, যদি এক মুহূর্তের জন্যই ধরে নেওয়া হয় যে, সামরিক বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কমান্ডাররা জড়িত (সংবিধান বাতিলের সঙ্গে) ছিল না তাহলে তারা পাকিস্তান ইসলামি প্রজাতন্ত্রের সংবিধানের সুরক্ষা দিতে কেন ব্যর্থ হলো। বলা হয়েছে, ইউনিফর্ম পরিহিত যেসব কমান্ডার তাকে পাহারা দিয়েছে তারাও সমানভাবে এতে জড়িত আর তারাও অভিযুক্ত ব্যক্তির মতোই কাজ করেছে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী পারভেজ মোশাররফ ১৯৯৯ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেন। তারপর একটানা ২০০৮ সাল পর্যন্ত তিনি দেশটির প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ২০০৭ সালের ৩ নভেম্বর জরুরি অবস্থা ঘোষণার মাধ্যমে সংবিধান বাতিলের ঘটনায় ২০১৩ সালে পারভেজ মোশাররফের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রেদ্রোহের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়।
২০১৩ সালে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা করা হয়। এছাড়া একই বছর তার ওপর বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
কিন্তু ২০১৬ সালের মার্চে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেই তিনি দুবাইয়ের উদ্দেশে পাকিস্তান ছাড়েন। বর্তমানে সেখানেই তিনি বসবাস করছেন।
(ঢাকাটাইমস/২০ডিসেম্বর/আরআর)

মন্তব্য করুন