হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তাদের আন্দোলন চলছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, দিনাজপুর
  প্রকাশিত : ১৯ জানুয়ারি ২০২০, ১৯:৫৪
অ- অ+

রিজেন্ট বোর্ডের সুপারিশ পাওয়ার পরও পদোন্নতি-পর্যায়োন্নয়ন নীতিমালা থেকে বঞ্চিত হওয়ায় দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তারা ফুঁসে উঠেছেন। রবিবারও মানববন্ধন, কলম বিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি করেছেন তারা। একমাস ধরে তাদের আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। এতে স্থবির হয়ে পড়েছে প্রশাসনিক কার্যক্রম।

অবিলম্বে দাবি পূরণ না হলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে যাবে বলেও হুমকি দিয়েছেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছেন ভিন্ন কথা।

দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পদোন্নতি/পর্যায়োন্নয়ন নীতিমালা সংক্রান্ত প্রবিধান বিষয়ে ২০১৮ সালে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। ওই বছরের ৯ জানুয়ারি রিজেন্ট বোর্ডের ৪১তম সভায় এই কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গঠিত কমিটি যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতারভিত্তিতে পদোন্নতি দেয়ার কথা জানিয়ে যথাসময়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদনও দিয়েছেন।

কমিটির সদস্য সচিব বিশ্বদ্যিালয়ের পরিচালক (অর্থ) অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন খান লিখন জানান, সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তারা পদোন্নতি/পর্যায়োন্নয়ন বিষয়ে প্রথম গঠিত কমিটির সদস্য সচিব ছিলেন তিনি। তারা নীতিমালার সুপারিশ দিয়েছেন। কিন্তু তা অনুমোদনের দায়িত্ব বিশ্বদ্যিালয়ের ভিসির। তিনি তা সন্তোষজনক নয় বলে আবারো নতুন কমিটি গঠন করেছেন। এই কমিটিতেও ড. শাহাদাৎ আছেন বলে জানান।

এ বিষয়ে সাধারণ শিক্ষকদের একাংশ হতাশ হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে তারা সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের ন্যায্য দাবি পূরণে কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

‘প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরাম’এর সহসভাপতি অধ্যাপক ড. এটিএম শরিফুল ইসলাম বলেন, বিশ্বদ্যিালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. আবুল কাসেম সবকিছুই বিভাজন করে রেখেছেন। তার পছন্দের অনেকের ক্ষেত্রে আইন আর নীতিমালা মানা হচ্ছে না। যা খুশি তা করছেন তিনি। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় রিজেন্ট বোর্ডের সুপারিশ প্রাপ্তির পরও সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তারা পদোন্নতি/পর্যায়োন্নয়ন নীতিমালা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এর একটা সুরাহা হওয়া প্রয়োজন। তা না হলে এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে শিক্ষাঙ্গণে। প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।

আন্দোলনরত হারিসুল ইসলাম পাভেজ, শাহীন পারভেজ, কানিজ পারভীন, মোতালেব হোসেন, রফিকুল ইসলামসহ অনেকের অভিযোগ, তাদের নিয়ে টাল-বাহানা শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে আরো তিনটি কমিটি গঠন হয়েছে। কিন্তু, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পদোন্নতি/পর্যায়োন্নয়নে টাল-বাহানা শুরু করায় আন্দোলনে নেমেছে সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। তারা অব্যাহত রেখেছে, মানববন্ধন, কলম বিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি। অবিলম্বে তাদের দাবি পূরণ না হলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে যাবে বলেও হুমকি দিয়েছেন।

বিশ্বদ্যিালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবুল কাসেম জানান, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সুপারিশ ছাড়া পদোন্নতি/পর্যায়োন্নয়ন সম্ভব নয়। অনুমতি পেলে সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের পদোন্নতি/পর্যায়োন্নয়ন দেয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের পদোন্নতি/পর্যায়োন্নয়ন বিষয়টি দ্রুত সমাধান করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

(ঢাকাটাইমস/১৯জানুয়ারি/কেএম/এলএ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
ড. ফয়জুল হককে বিএনপি থেকে বহিষ্কার
অতিরিক্ত সচিব আরিফুজ্জামানসহ ৩ জনকে ওএসডি
যশোরে পূর্ব শত্রুতার জেরে যুবক খুন 
স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের অর্ধ বার্ষিক বিজনেস রিভিউ মিটিং অনুষ্ঠিত
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা