পাবনায় দুই বোনের আকস্মিক মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক, পাবনা
  প্রকাশিত : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২০:৩০
অ- অ+

পাবনার ফরিদপুরে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে সাথী ও বিথী নামে দুই বোনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে সাথী নিজ বাড়িতে এবং বিথি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। দুই বোনের মৃত্যুর পর এলাকাবাসীর মাঝে দেখা দিয়েছে অজানা আতঙ্ক। সেই আতঙ্কে অসুস্থ হয়েছেন আরো কয়েকজন। তবে দুই বোনের মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট কারণ জানাতে পারেননি স্বজন ও চিকিৎসকরা। খাদ্যে বিষক্রিয়া অথবা অন্য কোনো কারণে তাদের মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা করছেন চিকিৎসক। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে রবিবার স্বাস্থ্য বিভাগের একটি মেডিকেল টিম এলাকা পরিদর্শন করেছে।

পাবনার ফরিদপুর উপজেলার হাদল ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের শহীদুল ইসলামের মেয়ে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সাথী খাতুন ও চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী বিথী খাতুন। গত বৃহস্পতিবার বিকালে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পরে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে তারা। মাঝে মধ্যেই বমি করতে থাকে। প্রথমে পল্লী চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা করানো হলেও অবস্থার উন্নতি হয়নি। এর মধ্যে গত শুক্রবার রাতে বড় বোন সাথী বাড়িতে থাকাবস্থায় মারা যায় এবং গুরুতর অসুস্থ ছোট বোন বিথীকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শনিবার সকালে মারা যায় বিথী।

সাথী ও বিথীর মা সুফিয়া খাতুন বলেন, মেয়ে দুটি আমাকে রাতে ডেকে বলল- ‘বমি করছি মা, ওঠো’। উঠে দেখি বমি করে মেয়ে দুটো অসুস্থ হয়ে পড়েছে। বড় মেয়ে মারা গেছে বাড়িতে, আর ছোট মেয়ে মারা গেছে হাসপাতালে। কী কারণে মারা গেছে আমি কিছুই বুঝছি না।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অসুস্থ দুই গৃহবধূ জানান, পেট ব্যথা, বমির ভাব ও ঘাড় অবশ হয়ে আসার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তারা।

তবে দুই বোনের আকস্মিক মৃত্যু সম্পর্কে সঠিক কোনো কারণ নিশ্চিত করে বলতে পারেননি চিকিৎসকরা। তারা বলছেন, কী কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আতঙ্কে অনেকে অসুস্থ হচ্ছেন। সবাইকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. লুলু ওয়াল মারজান বলেন, আমরা ফরিদপুর হাসপাতাল থেকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় মেডিকেল টিমের সদস্য হিসেবে এসেছি। যে দুজন মেয়ে মারা গেছে তাদের বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। পরে হয়ত আমরা মৃত্যুর কারণ জানাতে পারব। আর তাদের মৃত্যুর কারণে আশেপাশের মানুষ এখন আতঙ্কিত। আমরা তাদের দেখতে এসেছি। তাদের চিকিৎসা দিয়েছি, পরামর্শ দিয়েছি।

পাবনা জেনারেল হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. সালেহ্ মুহাম্মদ আলী বলেন, একজন পেটের ব্যথা নিয়ে এসেছেন। তিনি এখন ভালো আছেন। খাওয়া-দাওয়াও করছেন। তিনি এখন বাড়ি চলে যেতে পারছেন। আরেকজন আছেন। তিনি হঠাৎ করে জ্ঞান নাই এমন হয়ে এসেছিলেন সার্বিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আমরা তার কিছু সমস্যা পেয়েছি। প্রতিবেদন আসার পরে নিশ্চিত হয়ে রোগ শনাক্ত করতে পারব।

বিষয়টি জানার পর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশে ফরিদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ছয় সদস্যের একটি মেডিকেল টিম রবিবার ওই এলাকা পরিদর্শন করেছে।

(ঢাকাটাইমস/২ফেব্রুয়ারি/কেএম/এলএ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
ইসির ওয়েবসাইট থেকে সরানো হলো আ.লীগের ‘নৌকা প্রতীক’ 
দুদকের নতুন সচিব খালেদ রহীম
গোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রা ঘিরে পুলিশের গাড়িতে আগুন দিয়েছে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ
সিলেবাস সংস্কারে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও ইউনিসেফের সমঝোতা চুক্তি
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা