ভারতীয় চার নাগরিকের মালামাল উদ্ধার করে প্রশংসিত পুলিশ

ধর্মীয় তীর্থস্থান ভ্রমণে এসে ভারতীয় চার নাগরিকের খোয়া যাওয়া মালামাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার চুরির ঘটনার আট ঘণ্টা পর পুলিশ মালামাল উদ্ধার করে। এসব মালামালের মধ্যে রয়েছে ভারতীয় সাত হাজার রুপি, বাংলাদেশি সাড়ে তিন হাজার টাকা, চারজনের পাসপোর্ট এবং মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের চারটি টিকিট উদ্ধার করা হয়।
চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধারে নেতৃত্ব দেন ওয়ারী থানার পরিদর্শক (অপারেশনস) সুজিত কুমার সাহা।
তিনি ঢাকা টাইমসকে জানান, মঙ্গলবার দুপুরে ভারতীয় চার নাগরিক ওয়ারী থানায় এসে তাদের মালামাল খোয়া যাওয়া বিষয়টি জানান। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ওয়ারী থানার অভয় দাস লেনে থেকেই তাদের মূল্যবান সবকিছু খোয়া যায়। পরে রাত আটটার পরে সেগুলো উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, ৫ ফেব্রুয়ারি মাঘী পূর্ণিমার উৎসব উপলক্ষে ভারত থেকে চার নাগরিক মাদারীপুরের বাজিতপুর প্রণব মাঠে আসেন। মঙ্গলবার রাজধানীর বিভিন্ন মন্দির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখার জন্য মাদারীপুর থেকে ঢাকায় আসেন। সায়েদাবাদ নেমে ভারতে ফেরার ট্রেনের টিকিট কিনতে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে যান। সেখান থেকে সিএনজিতে স্বামীবাগ লোকনাথ ব্রহ্মচারীর মন্দিরের উদ্দেশে রওনা হন। এসময় খাওয়া-দাওয়ার জন্য চালককে একটি খাবারের দোকানের সামনে থামাতে বলেন। পরে চালক ওয়ারীর অভয় দাস লেনের একটি খাবারের দোকানে থামেন। চার পর্যটক অটোরিকশা থেকে নামেন, সঙ্গে চালককেও তাদের সঙ্গে নাস্তা করতে যাওয়ার অনুরোধ করেন।
এসময় সিএনজিচালক নাস্তা করবে না জানিয়ে তাদেরকে নাস্তা করতে পাঠান এবং বলেন তিনি অটোরিকশায় আছেন। এর কিছু সময় পর চারজন বাইরে এসে দেখেন চালক নেই। আশপাশে খোঁজাখুজি করে তাকে না পেয়ে বিষয়টি স্থানীয় থানা পুলিশকে জানান।
সুজিত কুমার সাহা বলেন, ‘তাৎক্ষণিক মৃত্যুঞ্জয় নামে এক সার্জেন্টের মাধ্যমে সিএনজির মালিকানাসংক্রান্ত কিছু তথ্য সংগ্রহ করি। এরপর ওয়ারলেসে ডিএমপির সব থানায় মেসেজটি পাঠিয়ে দিই। এদিকে সিএনজির রেজিস্টার্ড একটি ফোন নম্বর পাওয়া গেলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। আরেক মাধ্যমে জানা যায় অটোরিকশাটি ঠেঙ্গামারা সমাজকল্যাণ সংস্থা থেকে ঋণে কেনা। সেই সূত্র ধরে অটোরিকশার মালিকের তথ্য বের করা হয় এবং চালকের নাম হাবিব হাওলাদার বলে নিশ্চিত হওয়া যায়। পরে চালকের ধোলাইপাড়ের বাসা থেকে মালামাল উদ্ধার করা হয়।’
(ঢাকাটাইমস/১২ফেব্রুয়ারি/এসএস/জেবি)

মন্তব্য করুন