শিশুদের কৃমি দূর করতে করণীয়

স্বাস্থ্য ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ০৭ মার্চ ২০২০, ১৪:৩৫
অ- অ+

কৃমি এক ধরনের অন্ত্রের পরজীবী, যা শিশুদের অন্ত্রে বসবাস করে এবং বাচ্চাদের খাদ্য থেকে তাদের পুষ্টি অর্জন করে। এর ফলে বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পড়ে। কৃমির সংক্রমণ, হেলমিন্থ সংক্রমণ নামেও পরিচিত, এটি শিশুদের মধ্যে পেটে ব্যথার প্রধান কারণগুলোর মধ্যে একটি। তার সঙ্গে পায়ুদ্বারে ইরিটেশন, মাঝে মাঝে পেটে ব্যথা, সঙ্গে বমি। এ রকম সমস্যায় অনেকেই ভাবেন, পেটের গোলমাল থেকে শরীর খারাপ করছে। কিন্তু এই লক্ষণ কৃমির কারণে দেখা দিতে পারে। কৃমির এই সংক্রমণ খুব সাধারণ এবং সহজেই এর চিকিৎসা করা যেতে পারে।

কৃমির সমস্যা কেন হয়

শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের মতে, সাধারণত মলমূত্র, নখের ময়লা ইত্যাদির মাধ্যমেই কৃমি শিশুদের শরীরে প্রবেশ করে থাকে। পানির মাধ্যমেও কৃমির সংক্রমণ হতে পারে। অনেক শিশুই খেলতে খেলতে মুখে হাত দেয়, এমনকি খেলনাও মুখে পুরে ফেলে। আবার মাঠেঘাটে মাটি ঘাঁটে। এর মাধ্যমেও কিন্তু কৃমি শরীরে প্রবেশ করতে পারে। বাচ্চারা হামাগুড়ি দিতে শুরু করলে বা নতুন হাঁটতে শেখার সময় থেকেই কৃমির সংক্রমণ শুরু হয়। তাই শিশু মাটিতে থাকার সময়ে একটু নজরে রাখুন।

কী দেখে বুঝবেন

সাধারণত শিশুদের মধ্যে কৃমি সংক্রমণের কোনো উপসর্গ সেভাবে দেখা যায় না। কিন্তু তাও কিছু অস্বাভাবিকতা দেখা দিতে পারে। যেমন ঘন ঘন পেটে ব্যথা ও খিদে কম পাওয়া এর অন্যতম লক্ষণ। যদি দেখা যায় যে, সন্তান কিছু খেতে চাইছে না বা খেলেও তার পেটে ব্যথা করছে, তখন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। অনেক শিশু আবার অকারণেই থুতু ফেলতে থাকে বা থুতু ছিটায়, খামচে দেয়, কামড়ে দেয়। কৃমির উপদ্রব বাড়লেই কিন্তু এ ধরনের লক্ষণ দেখা যায়। অনেক সময়ে মলের মাধ্যমেও কৃমি বেরিয়ে আসে। তাই স্টুলের দিকেও নজর রাখতে হবে।

পরীক্ষাও করা যায়

কৃমি আছে কি না তা দেখার জন্য স্টুল পরীক্ষা করানো যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে একদিনে নয়, পরপর তিন দিন মল পরীক্ষা করাতে হবে। তাতে কৃমি বেরোলে নিশ্চিত হতে পারবেন। তবে অনেক সময় এই পরীক্ষাতেও কৃমি ধরা পড়ে না। তখন চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ব্যবস্থা নিন। প্রয়োজনে ওষুধ দিন।

নিরাময়

শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ হলো, শিশুর তিন বছর বয়স থেকেই ছয় মাস অন্তর কৃমির ওষুধ নিয়মিত খাওয়ানো যেতে পারে। সাধারণত বারো বছর বয়স হওয়া পর্যন্ত এই ওষুধ খাওয়ানো যায়। এ ছাড়া জরুরি হলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। কৃমির সংক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য শিশুকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখাও জরুরি।

যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন

সন্তানের খাবার, পানি, এমনকি ন্যাপি বদলানোর আগেও হাত ভালো করে সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। প্রয়োজনে হ্যান্ড স্যানিটাইজারও ব্যবহার করতে পারেন।

শিশুটি বাইরে থেকে খেলে বা ঘুরে এলে অবশ্যই ভালো করে সাবান দিয়ে তার হাত-পা ধুয়ে দিন।

শিশুর নখ পরিষ্কার রাখাও জরুরি। কিছু দিন অন্তর শিশুর নখ কেটে দিন। খেয়াল রাখুন, সে যেন নখ না খায়। নখের কোণে যে ময়লা জমে, তার থেকেও কিন্তু কৃমি প্রবেশ করতে পারে শরীরে।

ফল, আনাজপাতিও বাজার থেকে এনে জলে ভিজিয়ে রাখুন।

কৃমির সমস্যা স্বাভাবিক হলেও তা গোড়াতেই দমন করা ভালো। তা হলে শিশুটি অযথা কষ্ট পাবে না। তার জন্য পরিবারের সকলকেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

(ঢাকাটাইমস/৭ মার্চ/আরজেড)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
রেললাইনে ভিডিও করতে গিয়ে ফটোগ্রাফারের মর্মান্তিক মৃত্যু
‘সাময়িকভাবে’ ফ্লাইট বন্ধ করলো নভোএয়ার
সিরাজগঞ্জে নেশার টাকা না দেওয়ায় ছেলের মারধরে প্রাণ গেল বাবার, মা আহত
আফতাবনগরে পশুর হাট না বসানোর দাবিতে মানববন্ধন
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা