করোনার অব্যর্থ ওষুধ ভাল্লুকের পিত্তে!

প্রথম শনাক্ত হওয়ার পর গবেষক থেকে বিজ্ঞানী, চিকিৎসক থেকে ওষুধবিদ প্রায় সবারই ঘুম হারাম করেছে নভেল করোনাভাইরাস। তিন মাসেও প্রতিষেধক তৈরি করতে না পারা ভাইরাসটি ঠেকাতে বেগ পেতে হচ্ছে উন্নত ও অনুন্নত প্রায় সব দেশকেই।
করোনা প্রতিরোধে বিজ্ঞানী আর গবেষকদের অন্তহীন গবেষণার মধ্যেই ভাইরাসটির প্রতিষেধক নিয়ে চমকপ্রদ তথ্য হাজির করেছেন চীনের একদল গবেষক।
যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের চিকিৎসকরা ম্যালেরিয়া আর এইচআইভির ওষুধ প্রয়োগ করে বিকল্প পদ্ধতিতে করোনা আক্রান্তের চিকিৎসা চালানোর চেষ্টা করছেন সেখানে চীনের ভেষজ চিকিৎসা-ধারার গবেষক দলটি করেছেন অদ্ভুত দাবি।
তারা বলছেন, করোনাভাইরাসের চিকিৎসার 'অব্যর্থ' ওষুধ নাকি ভাল্লুকের পিত্ত। তাদের দাবি, ভাল্লুকের পিত্ত দিয়ে করোনা আক্রান্তদের সারিয়ে তোলা সম্ভব! এই পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে করোনা চিকিৎসার নাকি সরকারি ছাড়পত্রও পেয়েছেন তারা।
জানা যায়, চিকিৎসার ক্ষেত্রে ভাল্লুকের পিত্তর ব্যবহারের ইতিহাস প্রায় হাজার বছরের প্রাচীন। ভাল্লুকের শরীরের ক্যাথারচার বসিয়ে এই পিত্ত সংগ্রহ করা হয়। তারপর এই পিত্ত থেকেই বানানো হয় ওষুধ।
এদিকে চীনের এই পুরাতনি চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে বেশ হইচই পড়েছে চিকিৎসক-গবেষক মহলে।
একদল বিজ্ঞানীও বলছেন, ভাল্লুকের পিত্তে থাকা 'উর্সোডায়োল' নামের যৌগ মৃতপ্রায় কোষকেও কিছু ক্ষেত্রে সুস্থ করে তুলতে পারে।
তবে এটি করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় কতটা কার্যকর তা নিয়ে এখনও নিশ্চিত হতে পারেননি তারা।
এদিকে পরিবেশবাদীরা আশঙ্কা করছেন, চীনে করোনার চিকিৎসার ক্ষেত্রে ভাল্লুকের পিত্তর ব্যবহার সারাবিশ্বে পরোক্ষভাবে বন্যপ্রাণীর চোরা-শিকারের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। কারণ চীনে শতাধিক প্রজাতির বন্যপ্রাণীর মাংস খাওয়ার রীতি এমনিতেই তাদের বেআইনি ব্যবসার পথকে সুগম করেছে।
ইদানীং, করোনা আতঙ্কের জেরে সেই ব্যবসায় কিছুটা ভাটা পড়লেও চীনের এই ভেষজ চিকিৎসা পদ্ধতি বন্যপ্রাণীর চোরাশিকার এবং এর সঙ্গে জড়িত বেআইনি ব্যবসাকে ফের উসকে দিচ্ছে বলে দাবি করছেন সমালোকরা।
(ঢাকাটাইমস/০৭এপ্রিল/ডিএম)

মন্তব্য করুন