আলফাডাঙ্গায় ত্রাণ নিয়ে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধীর অভিযোগ

আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০১ মে ২০২০, ১৫:৫৬ | প্রকাশিত : ০১ মে ২০২০, ১৫:৩৪

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারের বিরুদ্ধে ৫৯ বছরের এক শারীরিক প্রতিবন্ধী বৃদ্ধকে ত্রাণ না দিয়ে গালিগালাজ করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই ব্যক্তি চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার ৫ নম্বর বানা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাদী হুমায়ুন কবীর, ওই ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য গোলাম হোসেন ও তার চাচাতো ভাই জাহাঙ্গীর মোল্যার বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদুর রহমানের নিকট এ অভিযোগ করছেন একই ইউনিয়নের উথলী গ্রামের বাসিন্দা তারা মিয়া।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সরকারি বিভিন্ন সুবিধা কার্ড পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যের কাছে বারবার গিয়েও সহযোগিতা পাননি। তারা ওই প্রতিবন্ধীকে কোনো সুবিধা দেবে না জানিয়ে অকথ্য গালিগালাজ করে তাড়িয়ে দেন। সর্বশেষ গত ২৮ এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ইউপি সদস্য গোলাম হোসেন তাকে মারপিট করবে বলে জনসম্মুখে ঘোষণা দেয় এবং মারার জন্য চেষ্টা করে।

তারা মিয়া এক বছর আগে ঢাকা থেকে বাড়ি এসেছেন। তিনি একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী। ফলে ঠিকমতো চলাফেরা ও কাজকর্ম করতে পারেন না। প্রতিবন্ধী হলেও তিনি সরকারি কোনো ভাতা পান না। তারা মিয়ার পরিবারে বৃদ্ধ বাবা, তিন মেয়েসহ ছয়জন সদস্যের বসবাস। তারা মিয়ার স্ত্রী সেলাইয়ের কাজ করে সংসার চালান। সম্প্রতি করোনাভাইরাসের কারণে সেই পথও বন্ধ হয়ে গেছে।

তারা মিয়া বলেন, আমি এবং আমার পরিবার এ পর্যন্ত সরকারি কোনো সহয়তা পাইনি। বারবার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মেম্বারের নিকট বিষয়টি বলার পরেও কাজ হয়নি। অবশেষে পেটের জ্বালায় গত বুধবার সরকারি হটলাইন ‘৩৩৩’ নাম্বারে ফোন দিলে ইউএনও ডেকে আমাকে খাদ্য সহয়তা করেন।

তিনি বলেন, ‘আমি চেয়ারম্যান ও মেম্বারের বিরুদ্ধে ইউএনও’র নিকট অভিযোগ করেছি বলে তারা আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে এবং বর্তমানে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’

ইউপি সদস্য গোলাম হোসেন বলেন, ‘তারা মিয়া ঢাকায় থাকেন, ভোটারও ঢাকার। তবুও আমি বলেছি সরকারি নিয়মের মধ্যে থাকলে সুবিধা অব্যশই দেয়া হবে। আর তার সঙ্গে আমি কোনো খারাপ ব্যবহার করিনি।’

বানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাদী হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘তারা মূলত ঢাকায় থাকেন। তাকে আমি গালিগালাজ করি নাই। এমনকি সে কোনো দিন বোর্ড অফিসেও আসে নাই।’

অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি তদন্তের জন্য উপজেলা মৎস কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছি এবং ওই ব্যক্তিকে বিভিন্ন খাদ্য সহয়তা দেয়া হয়েছে।’

(ঢাকাটাইমস/১মে/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :