এএনএইচ গ্রুপের এমডির বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন ও পিতৃত্ব অস্বীকারের অভিযোগ

এনএইচ গ্রুপের এমডি মোকাদ্দেস হানিফের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন ও সন্তানের পিতৃত্ব অস্বীকারের অভিযোগ তুলেছেন এক নারী। তিনি অভিযোগ করেন, সাবেক কর্পোরেট কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী মোকাদ্দেস হানিফ টলিন তার অসহায়ত্ব ও বৈবাহিক সংকটের সুযোগ নিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন এবং পরে সন্তানকে পিতৃপরিচয় দিতে অস্বীকৃতি জানান।
আজ রোববার (২৫ মে) দুপুরে রাজধানীর ইস্কাটনের একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন মবিনা জান্নাত নামের এক নারী।
মোকাদ্দেস হানিফ টলিন ধর্ষণ মামলায় জামিনে বেরিয়ে তাদের নানাভাবে মামলা তুলে নিতে চাপ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন ্ওই নারী।
মবিনা জান্নাত জানান, ২০১৭ সালে পারিবারিকভাবে তার বিয়ে হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে ২০২০ সালে তাদের মধ্যে ডিভোর্স হয়। এরপর চাকরির সুবাদে পরিচয় ঘটে এনএইচ গ্রুপের এমডি মোকাদ্দেস হানিফের সঙ্গে।
ওই নারীর অভিযোগ, তার ডিভোর্সের এই দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে মোকাদ্দেস হানিফ জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন এবং পরবর্তীতে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার একই কাজ করেন।
২০২২ সালের এপ্রিল মাসে মবিনা জান্নাত জানতে পারেন তিনি গর্ভবতী। কিন্তু হানিফ বিষয়টি গোপন রাখতে বলেন এবং সন্তানের দায় নিতে গড়িমসি করেন। এ অবস্থায় সন্তান জন্ম নিলে সামাজিক স্বীকৃতি দাবি জানালে হানিফ এড়িয়ে যান। সন্তানের স্বীকৃতি ও আইনি নিরাপত্তা পাওয়ার আশায় ডিএনএ টেস্টের উদ্যোগ নেন মবিনা।
মবিনা জান্নাত বলেন, ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়, মোকাদ্দেস হানিফই তার সন্তানের জৈবিক পিতা। তারপরও হানিফ সন্তানের পিতৃত্ব স্বীকার করতে রাজি হননি। বরং রাজনৈতিক যোগাযোগ ও ক্ষমতা ব্যবহার করে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ মবিনার।
মামলার পর মোকাদ্দেস হানিফকে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। মবিনা বলেন, কিন্তু এক সময়ের প্রভাবশালী ব্যারিস্টার কায়সার কামালের সহযোগিতায় গত ৫ মে জামিনে বেরিয়ে যান হানিফ। এরপর থেকে মবিনাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।
মবিনা বলেন, ‘আমি সন্তানের পিতৃপরিচয়ের জন্য লড়াই করছি। অথচ আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, প্রাণনাশের হুমকি ও সামাজিকভাবে হেয় করার চেষ্টা চলছে।’
মবিনা জান্নাত তার সন্তানকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য সহায়তা এবং আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে এএনএইচ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোকাদ্দেস হানিফ টলিনের সঙ্গে যোগাযোগা করা হলে তিনি স্বীকার করেন মবিনার সন্তানটি তার।
হানিফ বলেন, ‘এই সন্তান আমার। বিষয়টি পরবর্তীতে সুরাহ করব।’এই বলে তিনি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
(ঢাকাটাইমস/২৫মে/মোআ)

মন্তব্য করুন