অর্ধযুগ ধরে অর্ধেক সেতু

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৯ জুন ২০২০, ১৫:১৩ | প্রকাশিত : ১৯ জুন ২০২০, ১৩:২৯

সড়কের উভয় পাশেই রয়েছে সেতুর অংশ বিশেষ। শুধু মাঝখানের অংশটি নেই। মাঝের অংশ ছাড়াই সেতুটি পড়ে আছে দীর্ঘ ছয় বছর ধরে। কবে পুনঃনির্মাণ হবে তার কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারেননি কেউই। দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবহার অনুপোযোগী টাঙ্গাইলের গোপালপুরে এই সেতুটি সংস্কারের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের ডেকে এনে দেখানোর পরেও নেওয়া্ হয়নি কোনো পদক্ষেপ।

উপজেলার ঝাওয়াইল ইউনিয়নের পূর্ব ও পশ্চিম পাকুটিয়া গ্রাম। এর মাঝে ঝিনাই নদী। নদীর পশ্চিম পাড়ে কমিউনিটি ক্লিনিক ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। পূর্ব পাড়ে উচ্চবিদ্যালয় ও বাজার। উভয় পাশের পাকা সড়ক মিশেছে সেতুপাড়ে। এ সড়ক ধরে সেতু পার হয় ঝাওয়াইল ও হাদিরা ইউনিয়নের সাত গ্রামের মানুষ। কিন্তু ছয় বছর আগে ধসে পড়ে সেতুটি এখনও পুনঃনির্মাণ না করায় এসব এলাকার মানুষের যাতায়াত ও পণ্য পরিবহনে হচ্ছে ভোগান্তি।

উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যয়ে ২০০৪ সালে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। ২০১৪ সালের আগস্টে মাটি সরে গিয়ে সেতুটি মাঝখানের দু’টি পিলার আলগা হয়ে যায়। তখন বিপজ্জনক সেতুটির উপর দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।

ঝাওয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শরীফ হোসেন জানান, এলজিইডি দ্রুত সংস্কার না করায় ২০১৫ সালের মে মাসে মাঝখানের গার্ডারসহ সেতুটির ৫৪ ফিট নদীতে ভেঙ্গে পড়ে।

ওই গ্র্রামের স্কুল শিক্ষক আব্দুল লতিফ জানান, সেতুটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষকে এক বৃন্তে মিলিয়েছে। কিন্তু সেতু ভেঙ্গে যাবার পর খেয়া নৌকা পারাপারের একমাত্র ভরসা। তিনি দ্রুত ব্রিজটির পুনঃনির্মাণ দাবি করেন।

ঝাওয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম জানান, স্থানীয় সাংসদ, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীকে আমন্ত্রণ জানিয়ে এলাকার মানুষের দুর্ভোগের চিত্র দেখানো হয়েছে। এলজিইডি কারিগরী জরিপ করে গেছেন। কিন্তু ব্রিজ পুনঃনির্মাণের কোনো লক্ষণ নেই।

এলজিইডির উপসহকারী প্রকৌশলী ফরিদ হোসেন জানান, এলজিইডির ‘টাঙ্গাইল প্রকল্প’ এর আওতায় আরসিসি গার্ডার ব্রিজ করার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া সাপেক্ষে কাজ হবে।

ঢাকাটাইমস/১৯জুন/পিএল

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :