নিহত শিক্ষক মাহরিন চৌধুরী চিরনিদ্রায় শায়িত, ছিলেন জিয়াউর রহমানের ভাতিজি

উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত সাহসী শিক্ষক মাহরিন চৌধুরী (৪২) চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছেন নীলফামারীর জলঢাকার নিজ গ্রাম বগুলাগাড়ী চৌধুরীপাড়ায়, বাবা-মায়ের কবরের পাশে।
শিক্ষার্থীদের জীবন বাঁচাতে গিয়ে নিজে দগ্ধ হন মাহরিন। প্রায় ২০ জন শিক্ষার্থীকে আগুনের মধ্যে থেকে উদ্ধার করলেও নিজে বের হতে পারেননি সময়মতো। শতভাগ দগ্ধ অবস্থায় তাকে বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হলে সোমবার রাতে আইসিইউতে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
মাহরিন ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের ভাতিজি। বিএনপি নেতা আতিকুর রহমান রুমন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বাংলা মিডিয়াম শাখার কো-অর্ডিনেটর হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে মাইলস্টোনে কর্মরত ছিলেন তিনি। ব্যক্তিজীবনে দুই সন্তানের জননী মাহরিন স্বামী মনছুর হেলালের সঙ্গে রাজধানীতে বসবাস করতেন।
শেষ মুহূর্তে স্বামীর হাত ধরে বলেছিলেন, 'আমার বাচ্চাদের দেখো।' তিনি আরও বলেছিলেন, 'ওরাও তো আমার বাচ্চা—পুড়ে মরছে, আমি কীভাবে সহ্য করি!'
এদিকে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১ জনে দাঁড়িয়েছে। এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আইএসপিআর।
এর আগে সোমবার দুপুর ১টা ১৮ মিনিটের দিকে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর এফটি-৭ বিজিআই মডেলের একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। আছড়ে পড়ার পরপরই বিমানটিতে আগুন ধরে যায়।
আইএসপিআরের তথ্যমতে, বিমানটি দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়ন করেছিল এবং মাত্র ১২ মিনিট পর এটি দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মাইলস্টোন ক্যাম্পাসে বিধ্বস্ত হয়।

মন্তব্য করুন