কে এই সাহেদ?

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১৫ জুলাই ২০২০, ০৮:৫২
অ- অ+

অবশেষে গ্রেপ্তার হলেন রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ। বুধবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে সাতক্ষীরার দেবহাটা থানার সাকারবাজারের পাশে অবস্থিত লাবন্যবতি এলাকা থেকে অবৈধ অস্ত্রসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

করোনা টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট প্রদান, অর্থ আত্মসাতসহ প্রতারণার মামলায় আসামি হঠাৎ করেই আলোচনায় আসেন মো. সাহেদ। রিজেন্ট হাসপাতালে র্যা বের অভিযানের পর আস্তে আস্তে বেরিয়ে আসে সাহেদের নানা কুকীর্তির খবর।

মো. সাহেদের পুরো নাম মো. সাহেদ করিম। বাবার নাম সিরাজুল করিম। সম্প্রতি তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী তার ঠিকানা হরনাথ ঘোষ রোড, লালবাগ, ঢাকা-১২১১। গ্রামের বাড়ী সাতক্ষীরা জেলায়।

টেলিভিশন টকশোতে নিজেকে রাজনৈতিক বিশ্লেষক হিসেবে জাহির করতেন বহুমুখী প্রতারণায় অভিযুক্ত এই ব্যক্তি। তিনি আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সদস্য হিসেবে সব জায়গায় পরিচয় দিতেন। সেই পরিচয় দিয়ে মো. সাহেদ বিভিন্ন টেলিভিশনের টকশোতেও অংশ নিতেন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, এসএসসি পাস করলেও তারপর আর পড়াশোনা করেননি সাহেদ। তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তিনি দুই বছর জেলে ছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে ২০১১ সালে ধানমন্ডির ১৫ নম্বর রোডে শুরু করেন এমএলএম কোম্পানি। অভিযোগ আছে, বিডিএস ক্লিক ওয়ান নামের ওই কোম্পানির শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় ২টি মামলা, বরিশালে ১ মামলা, বিডিএস কুরিয়ার সার্ভিস এ চাকরির নামে মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে প্রতারণার কারণে উত্তরা থানায় ৮টি মামলাসহ রাজধানীতে ৩২টি মামলা রয়েছে।

এছাড়াও প্রতারণার টাকায় তিনি উত্তরা পশ্চিম থানার পাশে গড়ে তুলেছেন রিজেন্ট কলেজ ও ইউনির্ভাসিটি, আরকেসিএস মাইক্রোক্রেডিট ও কর্মসংস্থান সোসাইটি। এর একটিরও কোনো বৈধ লাইসেন্স নেই বলে অভিযোগ আছে। আর অনুমোদনহীন আরকেসিএস মাইক্রোক্রেডিট ও কর্মসংস্থান সোসাইটির ১২টি শাখা করে হাজার হাজার সদস্যদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ আছে সাহেদের বিরুদ্ধে। প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নিতে নিজের কার্যালয়ে একটি টর্চার সেল গড়ে তুলেছিলেন বলেও অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।

প্রসঙ্গত, গত ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরায় এবং পরদিন মিরপুর শাখায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র্যা বের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম। অভিযানে ভুয়া করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম ধরা পড়ে। পরে হাসপাতাল দুটো সিলগালা করে দেয় র্যা ব।

(ঢাকাটাইমস/১৫জুলাই/এইচএফ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
টঙ্গীতে মোবাইল ছিনতাই করতে গিয়ে গার্মেন্টস শ্রমিক মাহফুজকে হত্যা
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে Industry Academia Collaboration Summit-2025 শুরু
নির্বাচনি প্রতীক: নৌকা বাদ ও শাপলা তালিকাভুক্ত করার দাবি এনসিপি’র
কুষ্টিয়া পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের ফটকে ময়লা ফেলে কর্মবিরতি
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা