ডিসির বদান্যতা

চিত্রাপাড়ের সেই বৃদ্ধা এখন হাসপাতালে

নড়াইল প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২১:০৩
অ- অ+

অবশেষে ৮৫ বছরের বয়োবৃদ্ধ মায়া রানী কুণ্ডকে চিত্রা নদীরপাড় থেকে উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছেন জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা। এছাড়া মায়া রানীর সন্তানেরা মায়ের খোঁজ-খবর নিতে হাসপাতালে ছুটে এসেছেন। শনিবার দুপুরে নড়াইল সদর হাসপাতালে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা যায়।

এর আগে সন্তানদের কাছ থেকে বিতাড়িত হয়ে স্বামীহারা বয়োবৃদ্ধ মায়া রানী নড়াইল শহরের কুড়িগ্রাম এলাকায় চিত্রা নদীর পাড়ে এসএম সুলতান স্মৃতি সংগ্রহশালার পাশে দ্বিতলা নৌকার নিচে আশ্রয় নেন। এখানে প্রায় ১২ দিন কেটে যাওয়ার পর শুক্রবার স্থানীয় লোকজন সাংবাদিকদের জানান।

সংবাদকর্মীরা বিষয়টি নড়াইল জেলা প্রশাসককে জানালে তিনি ওই দিন (শুক্রবার) সন্ধ্যায় মায়া রানীকে হাসপাতালে ভর্তি করেন এবং তার (মায়া রানী) সন্তানদের সাথে কথা বলেন।

এদিকে শনিবার দুপুরে জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা বয়োবৃদ্ধ মায়া রানীকে হাসপাতালে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, কোনো সন্তানই এভাবে তার বাবা-মাকে বাইরে ফেলে রাখতে পারেন না। আমরা সেই বিষয়টি আইনগত ভাবে দেখব। মায়া রানীর মতো আর কোনো ঘটনা যেন না ঘটে, সেদিকে সবার লক্ষ্য রাখতে হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- নড়াইল সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মশিউর রহমান বাবু, হাসপাতালের সমাজসেবা কর্মকর্তা তমা রায়সহ অনেকে।

ডা. মশিউর রহমান বাবু জানান, মায়া রানীর বার্ধক্যজনিত সমস্যা ছাড়া তেমন কোনো সমস্যা নেই। তাই আগামী দু'দিন হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেয়া হবে।

অন্যদিকে জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপের পর নড়াইল শহরের কুড়িগ্রাম এলাকার বাসিন্দা মায়া রানীর বড় ছেলে দেব কুন্ডু (৫০) ও তার স্ত্রী শনিবার হাসপাতালে ছুটে আসেন। এ সময় তারা জেলা প্রশাসককে প্রতিশ্রুতি দেন, মাকে বাড়িতে ফিরিয়ে নেয়ার। মায়ের প্রতি আর কোনো অবহেলা করবেন না বলেও অঙ্গীকার করেন। তবে মায়া রানীর ছোট ছেলে উত্তম কুন্ডুর (৪০) এখনো দেখা মেলেনি। উত্তম নড়াইলের বাইরে থাকেন বলে জানা গেছে।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, কয়েক বছর ধরে দেব কুন্ডু তার মা মায়া রানীকে দেখাশোনা করছিলেন। এরপর প্রায় দুই বছর আগে মায়ের কাছ থেকে পাঁচ শতক বসতি জমি লিখে নেয়ার পর তার (মায়া রানী) সাথে বাজে ব্যবহার শুরু করেন। প্রায় দেড় বছর আগে থেকে মায়ের ভরণপোষন দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বড় ছেলে ও তার স্ত্রী মায়া রানী কুন্ডুকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। বৃদ্ধা মায়া রানী আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীসহ এ-বাড়ি ও-বাড়িতে দুবেলা, দুমুঠো খাবার খেয়ে কোনো রকম জীবনযাপন করছিলেন।

তবে গত ১২ দিন ধরে কারো বাড়িতে আশ্রয় না পেয়ে বরেণ্য চিত্রশিল্পী এসএম সুলতান কমপ্লেক্স সংলগ্ন চিত্রা নদীর পাড়ে রোদ-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে দ্বিতলা নৌকার নিচে আশ্রয় নেন তিনি।

(ঢাকাটাইমস/২৭সেপ্টেম্বর/এলএ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
লঙ্কানদের মাটিতে ইতিহাস গড়া জয় টাইগারদের
গোপালগঞ্জের সংঘর্ষ নিয়ে ভুয়া তথ্য ও ছবি ছড়াচ্ছে আ.লীগ: প্রেস উইং
গোপালগঞ্জে কড়াকড়ি কারফিউ চলছে, আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত বলবৎ
ঢাকাসহ দেশের ৭ জেলায় ঝড় ও বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা