মিন্নির খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ০৬ অক্টোবর ২০২০, ১৬:৩৮| আপডেট : ০৬ অক্টোবর ২০২০, ১৭:০৯
অ- অ+
ফাইল ছবি

দেশজুড়ে আলোচিত বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া তার স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকালে মিন্নির পক্ষে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় তার আইনজীবী মাক্কিয়া ফাতেমা এই আবেদন করেন।

এক ভিডিও বার্তায় মিন্নির পক্ষের আইনজীবী জেড আই খান পান্না বলেন, ‘আমরা আশা করি মিন্নির আপিল শুনানি তাড়াতাড়ি শুরু হবে। তিনি উচ্চ আদালত থেকে বেকসুর খালাস পাবেন।’

এর আগে মিন্নির স্বাক্ষর করা ওকালতনামা ও মামলার রায়ের সইমোহরকৃত কপি নিয়ে গত ৪ অক্টোবর মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন হাইকোর্টে আইনজীবী জেডআই খান পান্নার কক্ষে আসেন। ওই দিন সকালে মিন্নিসহ ছয় আসামির ডেথ রেফারেন্স নথি হাইকোর্টে পৌঁছায়।

নিয়ম অনুযায়ী, মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য (ডেথ রেফারেন্স) মামলার যাবতীয় কার্যক্রম উচ্চ আদালতে পাঠানো হয়। রায়ের কপি হাইকোর্টে আসার পর আসামিরা সাত দিনের মধ্যে আপিল আবেদন করতে পারবেন। সে অনুযায়ী নির্দিষ্ট দিনের মধ্যেই আপিল আবেদন করেন আইনজীবীরা।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড দেন বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান। অপর চার আসামিকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মো. রাকিবুল হাসান ওরফে রিফাত ফরাজী (২৩), আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বি আকন (২১), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), রেজোয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২২), মো. হাসান (১৯) ও আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি (১৯)। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- মো. মুসা (২২), রাফিউল ইসলাম রাব্বি (২০), মো. সাগর (১৯) ও কামরুল হাসান সায়মুন (২১)।

১০ আসামির মধ্যে মুসা পলাতক ও মিন্নি জামিনে রয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় বাকিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। গত ১ জানুয়ারি রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত। এরপর ৮ জানুয়ারি থেকে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেন আদালত। মোট ৭৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।

২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে শত শত লোকের উপস্থিতিতে স্ত্রীর সামনে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এর একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। ঘটনার পরদিন ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও পাঁচ-ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন রিফাতের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ। মিন্নিকে প্রথমে এই মামলার প্রধান সাক্ষী করা হলেও পরে পুলিশ এই হত্যাকাণ্ডে তার সম্পৃক্ততা পেয়ে তাকে আসামি করে।

(ঢাকাটাইমস/০৬অক্টোবর/জেবি)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
জরুরি অবস্থা ঘোষণায় লাগবে মন্ত্রিসভার অনুমোদন, সিদ্ধান্তে একমত রাজনৈতিক দলগুলো
শিল্প খাতের মহানায়ক, সাহসী উদ্যোক্তা নুরুল ইসলামের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী পালন
সংস্কার করে তারপরেই নির্বাচন দিতে হবে: নাহিদ ইসলাম
বনানীতে সড়ক অবরোধ সিএনজি অটোরিকশা চালকদের, তীব্র যানজটে দুর্ভোগ
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা