খালে বিষ ঢেলে ৫ লাখ টাকার মাছ নিধন

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে রাতের আঁধারে খালে বিষ ঢেলে ৫ লাখ টাকার দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন মাছ নিধন করেছে প্রতিপক্ষ। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে স্থানীয়রা।
শুক্রবার সকালে উপজেলার তাড়াশ সদর ইউনিয়নের বৃ-পাচান গ্রামের ঘটনাটি জানাজানি হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার তাড়াশ সদর ইউনিয়নের বৃ-পাচান গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে সজিব (৩০) ও ইমান আলীর ছেলে আজিজুল ইসলাম (৩৫) তাড়াশ-মহিষলুটি আঞ্চলিক সড়কের বৃ-পাচান গ্রামের বিভিন্ন জমির মালিকের কাছে থেকে খাল লিজ নিয়ে মাছ চাষ করে আসছিলেন। কিন্ত একই গ্রামের আবুল মন্ডলের ছেলে আফজাল একই স্থানে কিছু জায়গায় মাছ চাষ করছেন। আফজালের দুইপাশে সজিব ও আজিজুল ইসলাম মাছ চাষ করে আসছেন।
এর আগে একবার আফজাল হোসেন তাদের মারপিট করেন। ওই ঘটনায় তাড়াশ সদর ইউনিয়ন পরিষদে সালিশ বৈঠক হয়। এতে আফজাল আরো ক্ষিপ্ত হন। এরই জের ধরে রাতের কোনো এক সময় তিনি ওই খালে কীটনাশক ফেলে দেন বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ। ভোর থেকেই খালে মাছ মরে ভেসে উঠতে থাকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে খালের সব মাছ মরে ভেসে ওঠে।
ক্ষতিগ্রস্ত সজিব ও আজিজুল ইসলাম বলেন, ধারদেনা করে খাল লিজ নিয়ে মাছ চাষ করেছিলাম। মাছগুলো সময় মত বিক্রি করতে পারলে প্রায় ৫ লাখ টাকা পাওয়া যেত। কিন্তু তার আগেই কিটনাশক ঢেলে আমাদের সব শেষ করে দিয়েছে আফজাল হোসেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আফজাল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
তাড়াশ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. বাবুল শেখ জানান, খবর পেয়ে সকালে ওই খালে গিয়ে দেখি বিভিন্ন প্রজাতির মাছ মরে ভেসে উঠেছে। এর আগে হত ৪ নভেম্বর তাদের মারামারি বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের সালিশ করে দেয়া হয়। সেখানে সজিব ও আজিজুল ইসলামের খালের মাঝে সামান্য কিছু ঘের দেয়া আফজালের জলাশয় থাকায় সালিশে সিদ্ধান্ত হয় যেহেতু দুইপাশে সজিব ও আজিজুল ইসলামের জায়গা বেশি। তাহলে আফজালকে মাছ চাষে সব লিজের ও খরচের টাকা দেয়া হবে। তাকে ওই জায়গাটুকু ছেড়ে দেয়ার জন্য বলা হয়। কিন্ত তিনি তা অমান্য করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে আফজাল হোসেন কীটনাশক দিয়ে মাছ নিধন করেছেন।
এ ব্যাপারে তাড়াশ থানার ওসি ফজলে আশিক বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
(ঢাকাটাইমস/২০নভেম্বর/কেআর)

মন্তব্য করুন