খুতবার আগে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী বক্তব্য প্রচার করতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ২৩ নভেম্বর ২০২০, ১৯:০২
অ- অ+

জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিরোধ, নির্মূল ও নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধিতে এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

প্রজ্ঞাপনে, সব মসজিদের খতিব-ইমামরা জুমার নামাজের খুতবার পূর্বে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী বক্তব্য প্রচার নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।

সোমবার ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ প্রজ্ঞাপনে জারি করে।

এতে বলা হয়, ইসলামিক ফাউন্ডেশনে কর্মরত মুফতি, মুহাদ্দিস, মুফাসসিরসহ আলেম-ওলামাদের মাধ্যমে পবিত্র কোরআন ও হাদিসের আলোকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী বক্তব্য প্রস্তুত করে স্থানীয় পর্যায়ের সব মসজিদের খতিব-ইমামদের মাধ্যমে নিয়মিত প্রচার নিশ্চিত করতে হবে।

সব মসজিদের খতিব-ইমামরা জুমার নামাজের খুতবার পূর্বে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী বক্তব্য প্রচার নিশ্চিত করবেন।

পবিত্র কোরআন ও হাদিসের সঠিক ব্যাখ্যা সম্বলিত বক্তব্য অনলাইন তথা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রচারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়।

এছাড়াও জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান প্রধানসহ সব শ্রেণির জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সভা-সমাবেশ আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সব বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভাগ/জেলা/উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, ইসলাম মানবজাতির জন্য শান্তি, কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তির পথ। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) অজ্ঞতা-অন্ধকার ও ভয়-ভীতিপূর্ণ সমাজ থেকে সমস্ত ভয়, অস্থিরতা, নিরাপত্তাহীনতা ও সংঘাত দূর করে শান্তি, নিরাপত্তা এবং সব মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

ইসলামের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে কোন অশুভ শক্তি একেক সময় একেক নামে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে।

এতে আলেম সমাজসহ ধর্মপ্রাণ মানুষের ভাবমর্যাদা আঘাতপ্রাপ্ত হয়। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ।

সন্ত্রাসীদের কোনো ধর্ম বা সীমানা নেই উল্লেখ করে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সন্ত্রাসীদের কোনো ধর্ম নেই, সীমানা নেই। ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় বর্তমান সরকার সদা-তৎপর।

জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিরোধ, নির্মূল ও নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সামজিক সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করতে হবে।

(ঢাকাটাইমস/২৩নভেম্বর/এনআই/ইএস)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
জুলাই উইমেন্স ডে উপলক্ষে জনতা ব্যাংকের আলোচনা সভা
সিরাজগঞ্জে পৃথক স্থান থেকে দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার
জাতীয় পার্টি আর ভাঙবেন না, বাবাকে আর অপমান করবেন না: এরিক এরশাদ
মোহাম্মদপুরে পুলিশের বিশেষ অভিযান, পেশাদার মাদক কারবারিসহ ৩৫ জন গ্রেপ্তার
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা