বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর: দেশজুড়ে সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতিবাদ

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে সারাদেশে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছেন সরকারি কর্মকর্তারা।
শনিবার সকাল এগারোটার দিকে রাজধানীসহ দেশজুড়ে শুরু হয় এই কর্মসূচি। কোথাও মানববন্ধন, কোথাও সমাবেশ করেছেন সরকারি কর্মকর্তারা। স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বিচারকরাও মাঠে নেমেছেন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদ জানাতে।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মন্ত্রী পরিষদ সচিব খন্দকার আনেয়ারুল ইসলাম, পুলিশ মহাপরিদর্শক ড. বেনজির আহমদসহ সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্যাডারের কর্মকর্তারা প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন।
ঢাকার কর্মসূচিতে তুলনামূলক নবীন কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। বিভিন্ন ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আলাদা আলাদা ব্যানার নিয়ে তারা অনুষ্ঠানস্থলে হাজির হয়েছেন।
৩১তম বিসিএস ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল হাদী বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ অভিন্ন। বাংলাদেশের কোনো অবমাননা আমরা সহ্য করবো না। যারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর করেছে, যারা এদের মদদ দিয়েছে তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনতে হবে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। যাতে করে আর কেউ বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কথা বলার ধৃষ্ঠতা দেখাতে না পারে।
কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে সরকারি কর্মকর্তারা বলেন, জাতির পিতা ও বাংলাদেশ অভিন্ন। তাই কেউ বঙ্গবন্ধুকে অসম্মান করবে, তার ভাস্কর্য ভাঙচুর করবে তা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। কারণ জাতির পিতার প্রশ্নে কোনো আপস নেই।
এদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও র্যালি করেছেন চট্টগ্রামের ১০০ বিচারক।
সকাল সাড়ে ১০টায় নগরের দামপাড়া এলাকায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে একটি প্রতিবাদ র্যালি দামপাড়া থেকে জেলা শিল্পকলা একাডেমি পর্যন্ত প্রদক্ষিণ করে।
মানববন্ধন শেষে জেলা দায়রা জজ আদালত মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার প্রতিবাদে আজ সারাদেশ বিক্ষুব্ধ, বিচারকরাও তার অংশ। বিচারকরা বিচার করবে, একই সাথে প্রতিবাদও করবে। নাগরিক হিসেবে বিচারকেরও দায়িত্ব আছে প্রতিবাদ মিছিলে শামিল হওয়ার।
তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামের প্রায় ১০০ বিচারক আজকের মানববন্ধন ও র্যালিতে অংশ নিয়েছেন। তারা দেশবাসীকে জানাতে চাচ্ছেন বিচারকরা শুধু বিচার করেন না, প্রতিবাদও করতে জানেন। জাতির জনকের প্রশ্নে বিচারকদের সামনে আপস করার কোনো সুযোগ নেই। জাতির জনকের সম্মান অক্ষুণ্ন রাখা আমাদের দায়িত্ব।
বরগুনায় মানববন্ধন কর্মসূচিতে জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, জাতির পিতার প্রশ্নে কোনো আপস নেই। যারা তার ভাস্কর্য ভাঙচুর করেছে তাদের গ্রেপ্তার করা, এদের পেছনে মদতদাতাদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে।
(ঢাকাটাইমস/১২ডিসেম্বর/বিইউ/ইএস)

মন্তব্য করুন