পিইসি-জেএসসি পরীক্ষা স্থায়ীভাবে বাতিলের সুপারিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ২৪ জানুয়ারি ২০২১, ২১:০৩| আপডেট : ২৪ জানুয়ারি ২০২১, ২১:০৯
অ- অ+

অল্প বয়সীদের করোনা ঝুঁকি কম থাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দেয়ার পরার্মর্শ এসেছে আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবস উপলক্ষে শিক্ষাবিদ ও শিক্ষাবিষয়ক গবেষকদের নিয়ে এক আলোচনা সভায়।

একই সঙ্গে পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) এবং অষ্টম শ্রেণির জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষা স্থায়ীভাবে বাদ দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে সভায়।

রবিবার রাজধানীতে বাংলাদেশ ইউনেসকো জাতীয় কমিশন ভার্চ্যুয়ালি এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

এতে যুক্ত হয়ে ওই সুপারিশ করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন।

২০০৯ সালে জাতীয়ভাবে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা নেয়া শুরু হয়। প্রথমে শুধু সাধারণ ধারার শিক্ষায় এটি সীমাবদ্ধ ছিল। পরে মাদ্রাসার ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী (পঞ্চম শ্রেণির সমমান) পরীক্ষাও চালু করা হয়। ২০১০ সালে জেএসসি পরীক্ষা শুরু হয়। এসব পরীক্ষা নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা আছে।

বিশেষ করে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা শিশুদের ওপর অতিরিক্ত চাপের সৃষ্টি করায় এই পরীক্ষা বাদ দিতে বলছেন শিক্ষাবিদ, শিক্ষাবিষয়ক গবেষক ও অভিভাবকদের বিভিন্ন সংগঠন।

বিষয়টি সামনে রেখে ফরাসউদ্দিন বলেন, ‘একটি কথা বলতে চাই, আমার এই কথাটি সরকারি মহলে প্রিয় নয়, জানি। সেটা হলো পঞ্চম শ্রেণির ও অষ্টম শ্রেণির পাবলিক পরীক্ষা নিয়ে কিন্তু অভিযোগ আছে। আমার মনে হয় যারা দেশ চালাচ্ছেন, নীতি নির্ধারণ করছেন, তাদের সামনে গিয়ে যারা কথা বলেন, তারা সত্যি কথাটি হয়তোবা প্রকাশ করেন না। অভিভাবক ও ছাত্রছাত্রীরা এভাবে খুব অসহায় বোধ করেন। কিন্তু যারা প্রাইভেট পড়ায় ও নোট-গাইড প্রকাশের অভিপ্রায় আছে, তারা কিন্তু মহাখুশি। তাই দৃঢ়ভাবে সুপারিশ হবে, এই কোভিড-১৯-এর কারণে এবার এই দুই পরীক্ষা হয়নি। একে স্থায়ীভাবে বাদ দেয়া যায় কি না, সেই চিন্তা বোধ হয় করা দরকার।’

এর প্রেক্ষিতে আলোচনায় প্রধান অতিথি শিক্ষামন্ত্রী দীপু বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা ও জেএসসি পরীক্ষা নিয়ে নানা মত রয়েছে। বিশেষ করে প্রাথমিকের পরীক্ষাটি অধিকাংশ মানুষই বলছেন তারা এটি চান না। এগুলো নিয়ে আলাপ-আলোচনা নানা জায়গায় হচ্ছে। এটি নিয়ে এই মুহূর্তে কোনো সিদ্ধান্ত আমাদের কাছে নেই। তারপরও এগুলো নিয়ে আমরা ভেবে দেখছি।’

এ সময় শিক্ষামন্ত্রী করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুনরায় খোলার প্রস্তুতিসহ শিক্ষার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

আলোচনা সভায় কম বয়সীদের কোভিড-১৯ আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম হওয়ায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দেয়ার ব্যবস্থার পক্ষেও মত দেন ফরাসউদ্দিন। তিনি বলেন, দিনে দুটি পালায় ভাগ করে (সকালে একটি পালা এবং বিকেলে একটি পালা) ক্লাস নিতে। প্রতি ভাগ সপ্তাহে তিন দিন বিদ্যালয়ে আসবে।

এভাবে শিক্ষকদের অতিরিক্ত খাটুনি হবে তাই প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের শিক্ষকদের মূল বেতনের সমপরিমাণ অতিরিক্ত আর্থিক সুবিধা দেয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

ফরাসউদ্দিন বলেন, এভাবে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কাটছাঁট সিলেবাসে তিন মাস ক্লাস করতে পারলে মে মাসের শেষে এসএসসি এবং জুনের শেষে এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া যেতে পারে। তিনি উচ্চশিক্ষায় প্রায়োগিক শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনায় আরও বক্তব্য দেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব আমিনুল ইসলাম খান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব হাসিবুল আলম, ইউনেসকোর বাংলাদেশের প্রতিনিধি বিয়াট্রিস কালডুন প্রমুখ।

ঢাকাটাইমস/২৪জানুয়ারি/ইএস

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
A Monumental Work at Risk: Why Mobasher Ali, Chief editor of the History of Comilla District Must Be Preserved
Reimagining Management Education: The Role of Quantum Mechanics as a Metaphorical Lens for Complex Leadership
চরফ্যাশনে ১৪ কোটি টাকার অবৈধ জাল ও পলিথিন জব্দ
রক্তাস্বল্পতা দূর করে প্রাকৃতিক মহৌষধ ভেষজ আমড়া, ক্যানসার প্রতিরোধও সিদ্ধহস্ত
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা