সাপ্তাহিক রিটার্নে এগিয়ে বস্ত্র ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাত
পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত ২০টি খাতের মধ্যে সপ্তাহ জুড়ে রিটার্ন বেড়েছে ১০টি খাতের। অন্যদিকে রিটার্ন কমেছে ১০টি খাতের। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রিটার্ন বেড়েছে বস্ত্র খাতের কোম্পানিগুলোর। তারপরেই রয়েছে ব্যাংক খাত। এরপরে রয়েছে মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাত।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সপ্তাহ জুড়ে বস্ত্র খাতের রিটার্ন বেড়েছে ১০.৯০ শতাংশ। ব্যাংক খাতে রিটার্ন বেড়েছে চার শতাংশ। মিউচ্যুয়াল ফান্ড রিটার্ন বেড়েছে ২.৮০ শতাংশ।
এছাড়াও সপ্তাহটিতে চামড়া খাতের রিটার্ন বেড়েছে ২.১০ শতাংশ। ঔষধ এবং রসায়ন খাতের রিটার্ন বেড়েছে ১.৩০ শতাংশ। আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের রিটার্ন বেড়েছে ১.৩০ শতাংশ। খাদ্য এবং আনুষাঙ্গিক খাতের রিটার্ন বেড়েছে ১.১০ শতাংশ। পেপার অ্যান্ড প্রিন্টিং খাতের রিটার্ন বেড়েছে ০.৭০ শতাংশ। টেলিকমিনিউকেশন খাতের রিটার্ন বেড়েছে ০.৪০ শতাংশ এবং পাট খাতের রিটার্ন বেড়েছে ০.৩০ শতাংশ।
অন্যদিকে রিটার্ন কমা ১০ খাতের মধ্যে ভ্রমণ এবং সেবা খাতের রিটার্ন কমেছে ০.২০ শতাংশ। আইটি খাতের রিটার্ন কমেছে ০.৩০ শতাংশ। সিরামিক খাতের রিটার্ন কমেছে ১.০০ শতাংশ। সিমেন্ট খাতের রিটার্ন কমেছে ১.০০ শতাংশ। প্রকৌশল খাতের রিটার্ন কমেছে ১.১০ শতাংশ। বিদুৎ এবঙ জ্বালানি খাতের রিটার্ন কমেছে ১.১০ শতাংশ। বিবিধ খাতের রিটার্ন কমেছে ২.৪০ শতাংশ। সেবা ও আবাসন খাতের রিটার্ন কমেছে ২.৬০ শতাংশ। জীবন বিমা খাতের রিটার্ন কমেছে ৬.২০ শতাংশ এবং সাধারণ বিমা খাতের রিটার্ন কমেছে ৭.৭০ শতাংশ।
সাপ্তাহিক খাতের লেনদেন
বিদায়ী সপ্তাহে সবচেযে বেশি লেনদেন হয়েছে বস্ত্র খাতে। সপ্তাহটিতে এই খাতে লেনদেন হয়েছে মোট লেনদেনের ২০.৬০ শতাংশ। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে সাধারণ বিমা খাত। এই খাতটি লেনদেন করেছে মোট লেনদেনের ১৪.১০ শতাংশ। বিবিধ খাত তৃতীয় স্থান দখল করে আছে। এই খাতটিতে লেনদেন হয়েছে মোট লেনদেনের ১২ শতাংশ।
এছাড়াও, প্রকৌশল খাতে লেনদেন হয়েছে ১০.১০ শতাংশ, ব্যাংক খাতে লেনদেন হয়েছে ৮.৮০ শতাংশ, ঔষধ এবং রসায়ন খাতে লেনদেন হয়েছে ৮.৬০ শতাংশ, বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি খাতে লেনদেন হয়েছে ৫.১০ শতাংশ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতে লেনদেন হয়েছে চার শতাংশ, খাদ্য এবং আনুষাঙ্গিক খাতে লেনদেন হয়েছে ২.৪০ শতাংশ, জীবন বিমা খাতে লেনদেন হয়েছে ২.৩০ শতাংশ, মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে লেনদেন হয়েছে ২.৩০ শতাংশ, সিমেন্ট খাতে লেনদেন হয়েছে ১.৮০ শতাংশ, চামড়া খাতে লেনদেন হয়েছে ১.৭০ শতাংশ, টেলিকমিনিউকেশন খাতে লেনদেন হয়েছে ১.৫০ শতাংশ, আইটি খাতে লেনদেন হয়েছে ১.৩০ শতাংশ, সেবা ও আবাসন খাতে লেনদেন হয়েছে ১.৩০ শতাংশ, সিরামিক খাতে খাতে লেনদেন হয়েছে ১.১০ শতাংশ, ভ্যমণ খাতে লেনদেন হয়েছে ০.৭০ শতাংশ, পেপার অ্যান্ড প্রিন্টিং খাতে লেনদেন হয়েছে ০.৪০ শতাংশ এবং পাট খাতে লেনদেন হয়েছে ০.১০ শতাংশ।
এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে দেশের দুই পুঁজিবাজারে লেনদেনের সঙ্গে সবগুলো সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর। আলোচ্য সময়ে দেশের উভয় পুঁজিবাজারে কমেছে লেনদেনের পরিমান। সপ্তাহটিতে দেশের দুই পুঁজিবাজারে বেড়েছে বাজার মূলধন। সপ্তাহটিতে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ২.৮০ শতাংশ।
সপ্তাহিক পুঁজিবাজারে লেনদেন
বিদায়ী সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মোট লেনদেন হয়েছে নয় হাজার ৫২৪ কোটি ২৯ লাখ ১৮ হাজার ৮১৭ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ২৭৪ কোটি ৩৮ লাখ ৭৯ হাজার ৪৩৮ টাকা বা ২.৮০ শতাংশ কম হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল নয় হাজার ৭৯৮ কোটি ৬৭ লাখ ৯৮ হাজার ২৫৫ টাকার।
ডিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে গড় লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৯০৪ কোটি ৮৫ লাখ ৮৩ হাজার ৭৬৩ টাকার। আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছিল এক হাজার ৯৫৯ কোটি ৭৩ লাখ ৫৯ হাজার ৬৫১ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে গড় লেনদেন কমেছে ৫৪ কোটি ৮৭ লাখ ৭৫ হাজার ৮৮৮ টাকা বা ২.৮০ শতাংশ।
সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪০ পয়েন্ট বা ০.৬৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৯২ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১০ পয়েন্ট বা ০.৮৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়ে এক হাজার ৩০১ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক দুই পয়েন্ট বা ০.১১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ১৯৯ পয়েন্টে।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৭৯টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ২২৪টির, কমেছে ১৪০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১১টির কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৫৬০ কোটি ৮৭ লাখ ৬২ হাজার ৮৮৯ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৪৪৪ কোটি ৮৪ লাখ ০৮ হাজার ২৩২ টাকার।। সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ১১৬ কোটি টাকার বেশি।
সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৮৭ পয়েন্ট বা ০.৪৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৬৫৭ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ৪৬ পয়েন্ট বা ০.৪৩ শতাংশ বেড়ে অবস্থান করছে ১০ হাজার ৬২২ পয়েন্টে। সিএসই-৩০ সূচক দুই পয়েন্ট বা ০.০১ শতাংশ বেড়ে অবস্থান করছে ১৩ হাজার ১০৬ পয়েন্টে। সিএসই-৫০ সূচক চার পয়েন্ট বা ০.৩৪ শতাংশ বেড়ে অবস্থান করছে এক হাজার ২৮১ পয়েন্টে এবং সিএসআই আট পয়েন্ট বা ০.৭৬ শতাংশ বেড়ে অবস্থান করছে এক হাজার ৮৩ পয়েন্টে।
সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩৩৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৯২টির দর বেড়েছে, ১৩৫টির কমেছে এবং ১০টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
এছাড়াও, সপ্তাহ জুড়ে দশের দুই পুঁজিবাজারের মূলধন বেড়েছে তিন হাজার কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে ডিএসইর মূলধন বড়েছে দুই হাজার ৫০৩ কোটি ৯৩ লাখ ৭১ হাজার ২৮৪ টাকা। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ আট হাজার ১৩৪ কোটি ৮২ লাখ ৪৭ হাজার ১০১ টাকা। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৫ লাখ ১০ হাজার ৬৩৮ কোটি ৭৬ লাখ ১৮ হাজার ৩৮৫ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে বাজার মূলধন কমেছে দুই হাজার ৫০৩ কোটি ৯৩ লাখ ৭১ হাজার ২৮৪ টাকা।
জানা গেছে, সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে লেনদেন শুরুর আগে সিএসইতে বাজার মূলধন ছিল চার লাখ ৩৫ হাজার ৭৯ কোটি ৮৪ লাখ ২০ হাজার টাকা। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় চার লাখ ৩৫ হাজার ৬৬৯ কোটি ৮৮ লাখ ৫০ হাজার টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে বাজার মূলধন বেড়েছে ৫৯০ কোটি চার লাখ ৩০ হাজার টাকা।
(ঢাকাটাইমস/২৫জুন/এসআই)