মাদারীপুরে লকডাউন কার্যকর করতে মোড়ে মোড়ে বাঁশের বেড়া

মাদারীপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৬ জুন ২০২১, ১৯:৪৩

মাদারীপুরে লকডাউন কার্যকর করতে কিছুটা কঠোর অবস্থানে প্রশাসন। জেলায় চলমান লকডাউনের পঞ্চম দিনে গুরুত্বপূর্ণ ২০টি পয়েন্টি বাঁশের বেড়া দিয়ে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে সাধারণ মানুষ প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করেই ঘরের বাইরে আসছে। আগামী সোমবার আরো কঠোর অবস্থান নেয়া হবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ।

মাদারীপুর শহরের বেশ কয়েকটি সড়কে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, লকডাউনে আন্তঃজেলা ও দূর পাল্লার সব বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে রাস্তায় ট্রাক, ইজিবাইক, রিকশা, ভ্যান চলাচল করছে। আঞ্চলিক ও মহাসড়কে পুলিশের চেকপোস্ট থাকলেও তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে মাদারীপুর শহরের অসংখ্য মানুষ বিভিন্ন যানবাহনে করে শহরে ঢুকছে। শহরের বেশিরভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তবে হোটেল-রেস্তোরাঁ খোলা রয়েছে।

যারা বাইরে বের হচ্ছে তারা স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। বাইরে বের হওয়া বেশিরভাগ মানুষের মুখে মাস্ক নেই। ঢিলেঢালাভাবে লকডাউন মানা হচ্ছে। তবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে লকডাউন কঠোরভাবে বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুনের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে শহরের ভেতরের প্রায় ২০টি রাস্তায় বাঁশের বেড়া দিয়ে চলাচলের পথ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। অনেকেই বাঁশের বেড়ার নিচ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন।

মাদারীপুর জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, শহরের পুরান বাজার প্রধান সড়ক, চাঁনমারির মোড়, চরমুগরিয়ার ঢোকার রাস্তা, চরমগুরিয়ার বড় মার্কেটের মোড়, খাগদী থেকে ভদ্রখোলার রাস্তা, থানতলীর রাস্তা, নয় নাম্বার ব্রিজ থেকে পূর্ব খাগদীর রাস্তা, সুমন হোটেল এলাকায় ঢোকার রাস্তা, লেকপাড়ের দুই পার্শ্বের রাস্তা, লালুনার মোড়, কুলপদ্ধি থেকে পুরান বাজার যাওয়ার রাস্তা, কুলপদ্ধি থেকে ঝাউদি যাওয়ার রাস্তা, পুরানো ফেরি ঘাট যাওয়ার রাস্তা, মস্তফাপুর থেকে বাজারে যাওয়ার রাস্তা, মস্তফাপুর বড় ব্রিজ থেকে আমবাড়ী যাওয়ার রাস্তাসহ ২০টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বাঁশের বেড়া দেয়া হয়েছে। ফলে এসব স্থান দিয়ে যান চলাচলে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে।

মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, ‘যেসব রাস্তা দিয়ে ইজিবাইক, নসিমন, করিমন, ইঞ্জিতচালিত যানবাহন চলাচল করে সেসব স্থানে ব্যারিকেড দেয়া হয়েছে। যারা ব্যারিকেড ভেঙে বা উচিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে, তাদের বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। আগামী সোমবার থেকে জেলায় সর্বোচ্চ লকডাউন বাস্তবায়ন করা হবে।’

মাদারীপুরের সিভিল সার্জন ডা. সফিকুল ইসলাম জানান, জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ২১৩টি নমুনা পরীক্ষার মধ্যে ৫৪ জন শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষায় এর হার ২৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১৬ জন, কালকিনিতে তিনজন, রাজৈরে ২৩ জন ও শিবচর উপজেলায় ১২ জন আক্রান্ত হয়েছে। এই পর্যন্ত জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা দুই হাজার ৬৭৮ জন। মোট মারা গেছে ৩১ জন। বর্তমানে সদর হাসপাতালের আইসোলেশনের আছে ২ জন ও হোম আইসোলেশনে আছে ৩৩২ জন।

করোনা ভাইরাস সংক্রমণের হার মাদারীপুর জেলায় বৃদ্ধি পাওয়ায় মন্ত্রী পরিষদ থেকে গত ২২ জুন সকাল থেকে আগামী ৩০ জনু মধ্যরাত পর্যন্ত সর্বাত্মক লকডাউনের ঘোষাণা দেয়া হয়। পরে মাদারীপুর জেলা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটি থেকে বেশ কিছু বিধি-নিষেধ আরোপ করে একটি নির্দেশনা জারি করে।

(ঢাকাটাইমস/২৬জুন/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :