অ্যাস্ট্রাজেনেকা-স্পুটনিকের মিশ্র টিকায় সুরক্ষা বাড়ে বহুগুণ: গবেষণা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ৩০ জুলাই ২০২১, ২১:৪১| আপডেট : ৩০ জুলাই ২০২১, ২১:৪৮
অ- অ+

মহামারি করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষা পেতে একই ব্যক্তিকে ভিন্ন ভিন্ন কোম্পানির ভ্যাকসিন প্রয়োগ নিয়ে যখন বিশ্বের স্বাস্থ্য বিজ্ঞানী ও ভাইরোলজিস্টরা দ্বিধা-দ্বন্দ্বে আছেন তখন এ নিয়ে সুখবর দিচ্ছেন রাশিয়ান গবেষকরা।

দেশটির গবেষকরা বলছেন, কোভিড-১৯ রুখতে মিশ্র টিকায় গুরুতর ক্ষতি নেই। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়েও কারণ নেই দুশ্চিন্তার। বরং প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে মিশ্র টিকায়। এমনকি করোনার সব ধরনের প্রজাতিকে রুখতে সক্ষম এই মিশ্র টিকা, যেটি ‘ককটেল’ নামে পরিচিত।

রাশিয়ান ডায়রেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (আরডিআইএফ)-এর রিপোর্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে বলে শুক্রবার এক প্রতিবেদনে জানায় ইন্ডিয়া টুডে।

অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি টিকার সঙ্গে রাশিয়ার স্পুটনিক-ভি টিকার উপাদান মিশিয়ে পরীক্ষা করে এমনই ফল পাওয়া গেছে।

এক ব্যক্তিকে দু’ধরনের টিকা দেওয়ার রেওয়াজ ‘ভ্যকসিন ককটেল’ নামে পরিচিত। এই ককটেলের উপাদান হিউম্যান অ্যাডেনোভাইরাস সেরোটাইপ ২৬ এবং ৫। এই দুই উপাদান মানবদেহে সংক্রমণের জন্য দায়ী। এই দু’টিকে কাজে লাগিয়ে বিশ্বের প্রথম নথিভুক্ত করোনা টিকা স্পুটনিক-ভি টিকা তৈরি হয়েছে। মিশ্র টিকার কার্যকারিতা পরীক্ষা করতে স্পুটনিক-ভি টিকার প্রাথমিক উপাদান (স্পুটনিক লাইট) মেশানো হয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার সঙ্গে। তাতে কোনো মারাত্মক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি বলে দাবি গবেষকদের।

শুধু তাই নয়, একটি সংস্থার তৈরি দু’টি টিকা নিলে করোনার বিরুদ্ধে যে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে, স্পুটনিক ভি এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার মিশ্র টিকার কার্যকারিতা তার চেয়ে ৮০ গুণ বেশি বলে দাবি করা হয়েছে ওই রিপোর্টে।

গবেষকদের দাবি, করোনার সমস্ত নতুন প্রজাতির বিরুদ্ধে স্পুটনিক লাইট এমনিতেই কার্যকর। এই ককটেলও সব ধরনের প্রজাতিকে রুখতে সক্ষম।

কোভিডের বিরুদ্ধে মিশ্র টিকার কার্যকারিতা নিয়ে আরডিআইএফ-ই এর রিপোর্টই বিশ্বের মধ্যে সর্বপ্রথম। ফেব্রুয়ারি মাস থেকে আজেরবাইজানে স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে এই পরীক্ষা শুরু হয়। তার অন্তর্বর্তী রিপোর্টেই মিশ্র টিকাকে নিরাপদ বলা হয়েছে।

গবেষকরা জানিয়েছেন, যারা মিশ্র টিকা নিয়েছেন, তাদের শরীরে কোনোরকম সমস্যা দেখা দেয়নি। বরং শরীরে সংক্রমণ প্রতিরোধের ক্ষমতা তুলনামূলক বেশি পাওয়া গিয়েছে এবং এক ধরনের টিকার তুলনায় তা বেশি দীর্ঘস্থায়ীও।

আরডিআইএফ-এর অধিকর্তা কিরিল দিমিত্রিয়েভ বলেন, ‘যে ভাবে করোনার নতুন নতুন প্রজাতি উঠে আসছে, তাতে টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি মিশ্র টিকা নিয়ে যত বেশি উদ্যোগী হবে, অতিমারির বিরুদ্ধে লড়াই ততই সফল হবে। অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে হাত মিলিয়ে আমার এই প্রচেষ্টা সেই পথেই প্রথম পদক্ষেপ। আজেরবাইজানসহ অন্য দেশেও মিশ্র টিকা সাফল্য পাবে বলে আশাবাদী আমরা। সে ক্ষেত্রে টিকাকরণ কর্মসূচি আরও ফলপ্রসূ হবে এবং মানুষকে মারণ ভাইরাসের হাত থেকে বাচানো যাবে।’

জার্মানি-সহ ইউরোপের একাধিক দেশে ইতিমধ্যেই মিশ্র টিকার প্রয়োগ শুরু হয়েছে। ভারতে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস (এমস) মিশ্র টিকার সপক্ষে সওয়াল করলেও এখনও এ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ভারত বায়োটেকের তরফে কোভ্যাক্সিন এবং গবেষণার পর্যায়ে আটকে থাকা বিবিভি১৫৪-র মিশিয়ে পরীক্ষার অনুমোদন চাওয়া হয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছ থেকে।

(ঢাকাটাইমস/৩০জুলাই/ইএস)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
ভাঙনের মুখে চালিতাবুনিয়া, টেকসই বাঁধসহ তিন দাবিতে ঢাকায় এলাকাবাসীর মানববন্ধন
যাত্রাবাড়ী ও মুগদায় ৩ জনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড: ভোলার চাঁচড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিমকে দল থেকে বহিস্কার
জুলাই আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ ইমরানের চিকিৎসা ও অপারেশনের দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা