নির্বাচনকে সামনে রেখে হেয় করার অপচেষ্টা, দাবি ইউপি চেয়ারম্যানের

নিজস্ব প্রতিবেদক, পাবনা
  প্রকাশিত : ১৪ অক্টোবর ২০২১, ২২:৩৩
অ- অ+

আশ্রয়ণ প্রকল্পের নামে হতদরিদ্রদের কাছ থেকে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ নিয়ে প্রকাশিত সংবাদ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে নিজের ব্যাখ্যা দিয়েছেন পাবনার চাটমোহর উপজেলার ডিবিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নবীর উদ্দিন মোল্লা। সেখানে তিনি দাবি করেছেন, ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে কিছু ব্যক্তি তাকে হেয় করে ফায়দা লুটার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিবিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নবীর উদ্দিন মোল্লা বলেন, ডিবিগ্রাম ইউনিয়নবাসীর প্রত্যক্ষ ভোটে তিনি বারবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন এবং তার উপর অর্পিত দায়িত্ব ন্যায়-নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে যাচ্ছেন।

গত ১২ অক্টোবর তথাকথিত চাচাতভাইদের কথা উল্লেখ করে নবীর উদ্দিন মোল্লার বিরুদ্ধে আশ্রয়ণ প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে ইউএনওর কাছে। সেখানে যে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, দুই বছর আগে তার তথাকথিত দুই চাচাতভাই আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পাইয়ে দেবার কথা বলে টাকা নিয়েছে। বিষয়টি তিনি মোটেই জানেন না এবং এর আগে বিষয়টি ভুক্তভোগী কেউ তাকে জানায়নি।

নবীর উদ্দিন মোল্লা বলেন, ‘দুই বছর আগে টাকা দিলেন ভুক্তভোগীরা, অথচ এতদিনে চেয়ারম্যানকে একবারও জানানোর প্রয়োজন মনে করেনি কেউ। এতেই বোঝা যায় অভিযোগটি উদ্দেশ্য প্রণোদিত, ভিত্তিহীন। তিনি এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। মূলত আগামী ইউপি নির্বাচন নিয়ে কিছু অসাধু ব্যক্তি তাকে হেয় করে ফায়দা লুটতে চায় বলে দাবি করেন ইউপি চেয়ারম্যান।

ইউপি চেয়ারম্যানের ভাষ্য মতে, ধানবিলা গ্রামের মৃত আবুল কালামের ছেলে বাসিরুজ্জামান রাব্বি কিছুদিন আগে তার বাবার প্রথম স্ত্রী-কন্যার নাম বাদ দিয়ে পরিষদ থেকে ওয়ারিশ সনদ নিতে চান। কিন্তু তার বাবার প্রথম স্ত্রী-কন্যার নাম সংযুক্ত করে ওয়ারিশ সনদ দেবার কারণে ক্ষিপ্ত হয়।

বাসিরুজ্জামান রাব্বির উদ্দেশ্য ছিল তার মৃত বাবার পেনশনের টাকা তার বাবার প্রথম স্ত্রী কন্যাকে বাদ দিয়ে নিজেরা ভোগ দখল করবে। এ কারণে তিনি এ অপপ্রচারে নেমেছেন। যদি কেউ আশ্রয়ণ প্রকল্পের অর্থ আত্মসাত করে থাকেন, তদন্ত সাপেক্ষে তাদের যথাযথ বিচার দাবি করেন ইউপি চেয়ারম্যান নবীর উদ্দিন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নবীর উদ্দিন মোল্লা বলেন, যাদের কথা বলা হয়েছে রেজাউল ও আরজু তার দুঃসম্পর্কের চাচাতভাই, এই তথ্য ঠিক আছে। কিন্তু তারা টাকা নিয়েছেন কি না, কারা তাকে টাকা দিলো, এতদিন তাকে কেউ কিছুই জানানো হয়নি। হঠাৎ করেই নির্বাচনের আগে অভিযোগ তোলা হচ্ছে কেন, বিষয়টি পরিষ্কার।

এছাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের সঙ্গে ইউনিয়ন পরিষদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। প্রকল্পের সবকিছু নিয়ন্ত্রণ ও দেখভাল করেন ইউএনও সাহেব। যদি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তোলা হয় তাহলে সেটির দায়ভার ইউএনওর উপর বর্তায়। এখানে ইউনিয়ন পরিষদ বা চেয়ারম্যান-মেম্বারদের কিছুই করার সুযোগ নেই।

সংবাদ সম্মেলনে ১ নম্বর ইউপি সদস্য মোজাফফর হোসেনসহ গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

চেয়ারম্যান নবীর উদ্দিন মোল্লার চাচাতভাই পরিচয়ে রেজাউল ও আরজু আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর পাইয়ে দেবার কথা বলে হতদরিদ্র ব্যক্তিদের প্রতিজনের কাছ থেকে ২৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার বিচার চেয়ে প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগীরা গত মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

(ঢাকাটাইমস/১৪অক্টোবর/কেএম)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
ড. ফয়জুল হককে বিএনপি থেকে বহিষ্কার
অতিরিক্ত সচিব আরিফুজ্জামানসহ ৩ জনকে ওএসডি
যশোরে পূর্ব শত্রুতার জেরে যুবক খুন 
স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের অর্ধ বার্ষিক বিজনেস রিভিউ মিটিং অনুষ্ঠিত
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা