চরম খাদ্য সংকটে উত্তর কোরিয়া

চরম খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে উত্তর কোরিয়ায়। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের ব্যক্তিগত তদন্তকারী দল এই তথ্য প্রকাশ্যে এনেছে। তারা জানিয়েছেন, খাদ্য সংকটের ফলে জীবনধারণ ব্যবস্থাটাই পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। সবচেয়ে সমস্যায় মধ্যে পড়েছে শিশু ও বয়স্করা।
তদন্তে উঠে এসেছে করোনা ঠেকাতে সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল উত্তর কোরিয়া। যার ফলে চিকিৎসায় ক্ষেত্রে একটা বড় সমস্যা দেখা দিয়েছে। কাউকে সেদেশে ঢুকতে বা বেরতে দেওয়া হয়নি। সীমান্ত টপকাতে দেখলে গুলি করে মারার নির্দেশ দিয়েছিলেন কিম জং উন। আমদানি ছিল বন্ধ। আর তার জেরে এখন তীব্র খাদ্য সংকট চলছে সেদেশে।
তবে দেশে যে খাদ্য সংকট চলছে, তা স্বীকার করে নিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার প্রধান কিম জং উন। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের তদন্তে উঠে এসেছে রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে গত কয়েক মাস ধরে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া হতে শুরু করেছে। পাশাপাশি নিত্য প্রয়োজনীয় নয়, এমন জিনিসপত্রের দামও বাড়তে শুরু করেছে।
কিছুদিন আগেই জাতিসংঘের ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, উত্তর কোরিয়ায় জনসংখ্যার অনুপাতে ৮ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। দেশে এখন যা খাদ্য মজুত আছে, তাতে আর কিছুদিন হয়তো চলতে পারে।
রেডিও ফ্রি এশিয়া নামে এক বেতার মাধ্যম কিছুদিন আগে দাবি করেছিল পরিস্থিতি এতটাই উদ্বেগজনক যে উত্তর কোরিয়ার কৃষকদের প্রতিদিন ২ লিটার করে মূত্র দেওয়ার কথা বলা হয়েছে যাতে দেশে সার উৎপাদনের পরিমাণ বাড়ানো যায়। সারের উৎপাদন বাড়ালেই কৃষিতে আরও বেশি করে জোর দেওয়া যাবে। এর ফলে ফলনও বাড়বে।
এটা ঘটনা উত্তর কোরিয়াকে খাদ্য সরবরাহের ব্যাপারে চীনের ওপর অনেকটাই নির্ভর করতে হয়। অনেক পণ্য সামগ্রীই বাইরে থেকে আমদানি করতে হয়। স্থানীয় যা উৎপাদন হয়, তার বাইরে একটা বড় অংশের পণ্য সামগ্রী বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। কিন্তু দেশে নিউক্লিয়ার প্রকল্পের কারণে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা জারি থাকায় উত্তর কোরিয়াকে এখন নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
ঢাকাটাইমস/২৪অক্টোবর/একে

মন্তব্য করুন