সন্তানের সঙ্গে ভালো সময় কাটানোর উপায়

ফিচার ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০১ ডিসেম্বর ২০২১, ১৪:০০ | প্রকাশিত : ০১ ডিসেম্বর ২০২১, ১৩:৫৮

বিশ্বজুড়ে মহামারি পারিবারিক জীবন এলোমেলো করে দিয়েছে। দূর থেকে কাজ করা, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা এগুলো যে কারও জন্যই নতুন বিষয়, বিশেষ করে বাবা-মায়েদের জন্য। সন্তানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সময় দিতে বাবা-মায়ের। বিশেষ করে শৈশব থেকে কৈশোরে পা দেওয়ার পর সন্তানদের মধ্যে নানা রকমের পরিবর্তন ঘটে। শারীরিক, মানসিক পরিবর্তনের কারণে নানা অনুভূতি তাদের ভিতরে ঘুরপাক খায়, তখন পরিবারের মা-বাবার উচিত সন্তানকে বেশি সময় দেওয়া।

শিশুদের সঙ্গে বাবা-মায়ের ভাল সময় কাটানো প্রয়োজন। তাতে পারস্পরিক সম্পর্ক মজবুত হবে ও ছোটবেলার সুখের স্মৃতি থাকবে। কিন্তু, কীভাবে সন্তানদের সঙ্গে ভাল সময় কাটাবেন।

আপনার শিশুকে নির্দ্বিধায় কথা বলার সুযোগ দিন। তাদের খোলামেলা প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন এবং তারা ইতোমধ্যে কতটা জানে তা বোঝার চেষ্টা করুন।

সর্বদা সততার সঙ্গে তাদের প্রশ্নের উত্তর দিন। আপনার সন্তানের বয়স কত এবং তারা কতটা বুঝতে পারবে সে সম্পর্কে ভাবুন।

আপনার শিশু আতঙ্কিত বা বিভ্রান্ত থাকতে পারে। তারা কেমন অনুভব করছে তা প্রকাশ করার সুযোগ করে দিন এবং আপনি যে তাদের পাশে আছেন সেটা তাদেরকে নিশ্চিত করুন।

কতটুকু সময় দিলেন এটা বড় ব্যাপার না, লক্ষ্য রাখুন যেন তাদের সঙ্গে একটা মানসম্মত সময় কাটাতে পারেন। সন্তানের মনের অবস্থা জানার জন্য সময় দেওয়া প্রয়োজন।

রাতের খাবারটা সব সময় পরিবারের সবাই মিলে একসঙ্গে খাওয়ার চেষ্টা করুন। সবার সঙ্গে খাবারের টেবিলে সময় দিলে সম্পর্ক উন্নত হয়।

একসঙ্গে বসে ভালো সময় কাটানোর জন্য তাদের পছন্দের কিছু করুন। অনেক সময় তারা ভিডিও গেম খেলতে পছন্দ করে, তাদের পছন্দের ওপর গুরুত্ব দিয়ে তাদের সঙ্গে সময় দিন।

কৈশোরের প্রথম পর্যায়ে সন্তানদের মনের পরিবর্তন সঙ্গে সঙ্গে তাদের পছন্দের ধরন পাল্টাতে থাকে। এ সময় তারা অনেক কিছু শিখতে চায়। শেখার ক্ষেত্রে বাধা না দেওয়াই ভালো। বরং ভাষা শিক্ষা বা যন্ত্রসঙ্গীত শিক্ষা শিশুদের মেধা বিকাশে সাহায্য করে।

সন্তানদের জন্য কিছু সময় বের করে নিন। তারপর তাদের নিয়ে লং ড্রাইভে চলে যান। দেখবেন, সেই সময় যেন সঙ্গে মোবাইল না থাকে। তাদের চিন্তার বিকাশ ঘটার সুযোগ দিন।

সন্তানকে জড়িয়ে ধরুন। সে যে বিশেষ একজন...এই অনুভূতি দিন।

শিশুরা যদি চিন্তিত বা কোনও কারণে হতাশ থাকে, তাহলে আলিঙ্গনই সবথেকে কার্যকরী পথ হবে তাদের জন্য। সন্তানের পছন্দের খেলায় নিজেকে নিযুক্ত করুন।

আপনি যদি নিজেকে সন্তানের পছন্দের খেলায় নিযুক্ত করতে পারেন, তাহলে দেখবেন সন্তান আত্মবিশ্বাস পাচ্ছে। তাদের এই অনুভূতিটা দিন যে আপনি তার ভাল লাগাকে প্রশংসা করছেন।

সন্তানকে হোমওয়ার্ক বা স্কুলের প্রোজেক্ট করতে সাহায্য করুন।

সন্তানকে নিয়ে প্রকৃতির কোলে ঘুরে বেড়ান। এই সময়ে সন্তান আপনার সঙ্গে নিজের অনুভূতি শেয়ার করতে পারে।

প্রতিটি সন্তানের সঙ্গে কাটানোর জন্য আলাদা সময় ঠিক করে রাখুন। এটি মাত্র ২০ মিনিট বা তার বেশি সময়ও হতে পারে – তা পুরোপুরি আমাদের ওপর নির্ভর করে। এটি প্রতিদিন একই সময়ে হতে পারে, যাতে শিশু বা কিশোর-কিশোরীরা এর জন্য অপেক্ষায় থাকে।

(ঢাকাটাইমস/১ডিসেম্বর/আরজেড/এজেড)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

ফিচার এর সর্বশেষ

যে পাঁচ সমস্যায় আক্রান্তরা গুড় খাওয়ার আগে একবার ভাবুন, নইলে...

সাজেদুর রহমান শাফায়েতের স্বপ্ন পৃথিবী ঘুরে দেখা

খাওয়ার পরপরই চা পান উপকার না ক্ষতি? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা

জ্বরের মধ্যে যে পাঁচ খাবার খেলেই বিপদ! জানুন, সাবধান হোন

গরমে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে ডায়াবেটিস রোগীদের! সুস্থ থাকবেন যেভাবে

মুখে দুর্গন্ধের কারণে হা করতেও অস্বস্তি লাগে? সমাধান কী জানুন

লিভার ভালো রাখে লাউ! ওজন এবং উচ্চ রক্তচাপও থাকে নিয়ন্ত্রণে

কিডনি ভালো রাখে আমের পাতা! উচ্চ রক্তচাপও থাকে নিয়ন্ত্রণে

ইফতার ও সাহরিতে বাহারি আয়োজন ধানমন্ডির দ্য ফরেস্ট লাউঞ্জে

বারবার ফোটানো চা খেলেই মারাত্মক বিপদ! বাঁচতে হলে জানুন

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :