আধাঘণ্টার ব্যবধান
আধাঘণ্টার ব্যবধান
মোহাম্মদপুরে ফটোগ্রাফার, হাজারীবাগে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতে খুন

আধাঘণ্টার ব্যবধানে রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও জিগাতলা এলাকায় দুইজন খুন হয়েছেন।
শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে হাজারীবাগ জিগাতলা এলাকায় ধারলো অস্ত্রের আঘাতে সামিউর রহমান আলভি (২৩) নামে এক শিক্ষার্থী ও রাত ৮ টার দিকে মোহাম্মদপুর পুলপাড় দূর্গা মন্দিরের গলিতে আঘাতে নুর ইসলাম (২৬) নামে এক ফটোগ্রাফার খুন হন।
খুনের শিকার দুজনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালটির পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ফারুক।
জানা গেছে, বন্ধুদের সঙ্গে এদিন সন্ধ্যায় জিগাতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আড্ডা দিচ্ছিলেন সামিউর রহমান আলভি (২৩)। এ সময় ২০-২৫ জন ছেলে এসে অতর্কিতভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের ওপর হামলা করে। পরে অন্য বন্ধুরা দূরে সরে গেলে আলভিকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে যখম করে দুর্বৃত্তরা। পরে মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত আলভির বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলায়। বাবার নাম মশিউর রহমান। বর্তমানে তিনি হাজারীবাগ বিজিবি ৫ নম্বর প্রেম গলিতে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। আলভি ধানমন্ডি ডক্টর মালিকা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। পাশাপাশি গুলিস্তান একটি মার্কেটে কাজ করতেন তিনি। এক ভাই এক বোনের মধ্যে তিনি ছিল বড়।
এ ঘটনার আধাঘণ্টা পর মোহাম্মদপুরে দুর্বৃত্তের ধারাল অস্ত্রের মুখে পড়েন নুর ইসলাম (২৬)। তিনি পেশায় ফটোগ্রাফার ছিলেন। তার সঙ্গে থাকা দুটি ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
নিহতের বড় ভাই ওসমান গনি জানান, তাদের বাড়ি বরিশাল জেলার আগৈলঝড়া থানার সুজনকাঠি গ্রামে। বাবার নাম আবুল ফকির। বর্তমানে ধানমন্ডি শংকর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় থাকেন তারা। নুর ইসলাম ডে ইভেন্টের ফটোগ্রাফার ছিলেন। রাতে ফোন কলে তিনি খবর পান, তার ছোট ভাইকে মোহাম্মদপুর এলাকায় দুর্বৃত্তরা কুপিয়েছে। পরে তিনি ঢাকা মেডিকেলে এসে ভাইয়ের লাশ দেখতে পান।
তিনি বলেন, ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত আমি এখনো জানি না। তবে যতটুকু শুনেছি, নুর ইসলাম এবং তার বন্ধু ইমনকে নিয়ে রিকশায় করে মোহাম্মদপুর দূর্গা মন্দির গলি দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাদের পথরোধ করে তার ক্যামেরা এবং মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। বাধা দিলে নুর ইসলাম কুপিয়ে আহত করে। একপর্যায়ে তার সঙ্গে থাকা দুটি ক্যামেরা এবং মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়। এরপর তার বন্ধু এবং স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বাংলাদেশ মেডিকেলে নিয়ে যায়।
(ঢাকাটাইমস/১৭মে/এলএম/এমআর)

মন্তব্য করুন