চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পরও ধরে রাখুন কর্মচাঞ্চল্য

ফিচার ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ২৭ জানুয়ারি ২০২২, ১৫:৫০
অ- অ+

সারা জীবন ধরে আমরা কাজের মধ্যে থাকি। চাকরি করি, ব্যবসা করি বা কোনো না কোনোভাবে আয়-রোজগার করি। সময় কেটে যায়। বয়স বাড়ে। শক্তি কমে আসে। সময় আসে অবসর গ্রহণের। কর্মজীবন থেকে অবসর নিলে হঠাত্ করেই মানুষের মধ্যে এক সীমাহীন শূন্যতা এসে ভর করে। প্রতিদিনের চেনা রুটিনটা হয়ে যায় অচেনা। অভ্যাসের সহচর মানুষ হঠাৎ করেই দীর্ঘদিনের অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসতে গিয়ে হোঁচট খান।

তবে অবসর নেওয়ার পর অহেতুক ভাববেন না। আমাদের প্রত্যেকের জীবন অনিশ্চিত। তার সাথে বয়সের কোনো সম্পর্ক নেই। যে কোনো সময়ে আমাদের জীবন ক্যালেন্ডারের পাতা শেষ হয়ে যেতে পারে। তাই শারীরিক বয়স নিয়ে চিন্তা না করে সতেজ ও তরতাজা রাখতে চেষ্টা করুন। অবসরের এই সময়টিই ভাল করে কাটাতে পারলে, শরীর চাঙ্গা রাখা অত্যন্ত সহজ এবং স্বাভাবিক হয়ে যাবে। কী কী করবেন, জেনে নিন।

অবসর নেওয়ার পর অবশ্য কোনও রকম অজুহাত চলবে না। নিয়ম মেনে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। সময় ধরে খাওয়াদাওয়া করতে হবে। মদ্যপান অনেকটাই কমিয়ে ফেলতে হবে। পুষ্টিকর খাবার স্বাস্থ্য ধরে রাখতে পারে বহু দিন।

অবসর নেওয়া মানেই সারা দিনে শুয়ে-বসে সময় কাটাবেন না। যতটা পারবেন বিভিন্ন ধরনের কাজকর্মে নিজেকে যুক্ত রাখুন। সকালে উঠে অল্প হাঁটাহাটি, যোগাভ্যাস, ধ্যান, নিঃশ্বাসের ব্যায়াম করা অভ্যাস করে ফেলুন। বাগান করা, রান্না করা, ছোটখাটো দোকানবাজার, ব্যাংকের কাজ— এগুলো বন্ধ করে দেবেন না। বিকেলে বা রাতে খাওয়ার পরও খানিক হাঁটাহাটি করে নিতে পারেন। এতে খাবার তাড়াতাড়ি হজম হয়ে শরীর সুস্থ থাকবে অনেক দিন। বাড়িতে কোনও পোষ্য রয়েছে কি? না থাকলে এ বার সে বিষয়ে ভাবতে পারেন। পোষ্যের পিছনে দৌড়াদৌড়ি করেও শরীর ফিট থাকে সহজে।

মাথা খাটানো বন্ধ করে দিলেই বয়সজনিত নানা রকম সমস্যা আরও চেপে বসবে। ধাঁধা, সুদোকু, পাজ্‌ল, শব্দজব্দ করুন নিয়মিত। কোনও নতুন ভাষা শিখতে পারেন। নতুন কোনও শখ মিটিয়ে নিতে পারেন এই সুযোগে— যেমন নতুন ধরনের রান্না কিংবা কোনও বাদ্যযন্ত্র শেখা। কিংবা কবিতা বা গান লেখা, ছবি আঁকা। যা যা কাজ সারা জীবন সংসারের চাপে করা হয়নি, সেগুলি করে ফেলুন। তাতে মন ভাল থাকবে, আবার মস্তিষ্কও সজাগ থাকবে।

অবসর নেওয়া মানে বাকি জগতের থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়া একদমই নয়। তাই বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন, আড্ডা মারুন। একসঙ্গে বসে কোনও বিষয় আলোচনা করা, কোনও বই প়ড়া বা সিনেমা দেখার মতো কিছু কাজে নিজেদের ব্যস্ত রাখতে পারেন। পরিবারের ছোটদের সঙ্গে আড্ডা দিন। অনেক সময়ে বাড়ির খুদেরাও নানা রকম মজার নতুন জিনিস আমাদের শেখাতে পারে। বন্ধু বা প্রাক্তন সহকর্মীদের সঙ্গে কোথাও বেড়াতেও যেতে পারেন দল বেঁধে। এতে শরীর-মন ভাল থাকবে।

(ঢাকাটাইমস/২৭জানুয়ারি/আরজেড/এজেড)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
ফিরে দেখা ৪ জুলাই: সারাদেশে ছাত্র ধর্মঘটের ডাক, উত্তাল সব বিশ্ববিদ্যালয়
এবার স্থানীয় সরকার নির্বাচন থেকেও ইভিএম বাদ
আগামী কয়েক দিন ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা, পাউবো কর্মচারীদের কর্মস্থলে থাকার নির্দেশ
নির্বাচন ভবনে রোপণ করা গাছ থেকে সরানো হলো আউয়াল কমিশনের নামফলক
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা