চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কবরস্থানের নামে বরাদ্দের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

গাইবান্ধা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৮ এপ্রিল ২০২২, ১৭:৪২

গাইবান্ধা সদর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম সাবুর বিরুদ্ধে প্রকল্প গোপন করে কবরস্থানের নামে বরাদ্দ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অনুসন্ধানে মিলেছে এর সত্যতাও। ওই ইউনিয়নের খামার চান্দের ভিটা বাকি মেম্বরের বাড়ির পাশের কবরস্থানের নামে বরাদ্দ টিআর সাধারণ প্রকল্প গোপন করে এর অর্থ আত্মসাৎ করেছেন তিনি।

গাইবান্ধা সদর উপজেলার তেরটি ইউনিয়নে ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) সাধারণ এর ১ম পর্যায়ে ৩২টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। এসব প্রকল্পের বিপরীতে বরাদ্দের পরিমাণ ২৮ লাখ ৪৯ হাজার ৯০৩ টাকা। এর মধ্যে ৮নং বোয়ালী ইউনিয়নের ‘খামার চান্দের ভিটা বাকি মেম্বারের বাড়ির পার্শ্বে কবরস্থানে মাটি ভরাট ও প্রাচীর নির্মাণ’ প্রকল্পে বরাদ্দ দেওয়া হয় ১ লাখ ৯৭ হাজার টাকা। প্রকল্পটির চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম সাবু।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, এই প্রকল্পের বিপরীতে ১ লাখ ৯৭ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলেও সম্প্রতি প্রকল্প চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম সাবু প্রকল্প গোপন করে ওই কবরস্থানে ৭০ ট্রাক (কাকড়া) মাটি কাটেন। যার প্রতি ট্রাক মাটির মুল্য ৮০০ টাকা করে। সে হিসাবে চেয়ারম্যান ওই কবরস্থানে ৫৬ হজার টাকার মাটি কেটে দেন। অভিযোগ রয়েছে, ওই কবরস্থানের নামে সরকারিভাবে টিআর-এর অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হলেও তা জানানো হয়নি কবরস্থানের মালিক কর্তৃপক্ষকে।

কবরস্থান মালিকদের অভিযোগ, প্রকল্প গোপন করে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে কবরস্থানে মাটি ভরাটের কথা জানিয়ে সমুদয় টাকা আত্মসাৎ করেছেন চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম সাবু।

ওই কবরস্থানের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা রাজু মিয়া বলেন, এটি আমাদের পারিবারিক কবরস্থান। কিছুদিন আগে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম সাবু আমাদের কবরস্থানে ৭০ কাকড়া (ট্রাক) মাটি কিনে দিয়েছেন। প্রত্যেক ট্রাক মাটির মূল্য ৮০০ টাকা করে। এ ছাড়া তিনি এই কবরস্থানের জন্য আর কোনো টাকা বা জিনিসপত্র কিনে (ক্রয়) করে দেননি।

এ সময় তিনি আরো বলেন, আমরা আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে কবরস্থানের প্রাচীর নির্মাণ করছি। আমাদের কবরস্থানের নামে সরকারিভাবে কোন অর্থ বরাদ্দ হয়েছে তা আমরা জানি না, আমাদেরকে জানানোও হয়নি।

প্রকল্প গোপন করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ৮নং বোয়ালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ওই প্রকল্পের সভাপতি শহিদুল ইসলাম সাবু প্রতিবেদকের ওপর চড়াও হন। এসময় কবরস্থানের অর্থ আত্মসাত প্রশ্নের কোনও উত্তর দিতে পারেননি তিনি।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক অলিউর রহমান বলেন, সরকারি কোন অর্থ আত্মসাৎ করার সুযোগ নেই। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সাথে তদন্তে যদি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সুনির্দিষ্টভাবে প্রমাণিত হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধেও বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/৮এপ্রিল/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :