টেকনাফে পাহাড়ি মালি আমের বাম্পার ফলন

কক্সবাজার প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৩ এপ্রিল ২০২২, ১৪:৩৬

কক্সবাজারের টেকনাফে পাহাড়ি মালি আম (মাইল্লাম) এর বাম্পার ফলন হয়েছে। তাই বাজারেও অগ্রিম দেখা দিয়েছে। টেকনাফের স্থানীয়দের কাছে এই ফলটির নাম ‘মাইল্লাম’ স্থান ভেদে ‘মাইজ্জাম’ নামে পরিচিত। ফলটি খেতে খুব টক, পান খাওয়ার চূন মেখে খেলে টক চলে যায় তখন খেতে মিষ্টি।

উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের প্রয়াত অধ্যাপক মোহাম্মদ আলীর ছোট ছেলে তারেক মাহমুদ রনির বাগান থেকে পাহাড়ি মালি আম (মাইল্লাম) গুলো ক্রয় করেন ব্যবসায়ীরা। এরপর তারা বাজারে তুলেন এবং অধিক মুনাফার জন্য চট্টগ্রাম ও ঢাকায় পাঠাচ্ছেন বলে জানান।

বাগান মালিক তারেক মাহমুদ রনি জানান, আমার বাগানে সাড়ে ৩০০ মতো আম গাছ হয়েছে। তার মধ্যে ৪-৫টি বড় বড় পাহাড়ি মালি আম (মাইল্লাম) এর গাছ রয়েছে। এসব গাছে ফলন ভালো হয়েছে এই বছর। বছরের শুরুতে হ্নীলার ফল ব্যবসায়ী বাদশা মিয়াকে ৯৫ হাজার টাকার মালি আম (মাইল্লাম) বিক্রি করেছি। গত বছরও এক লাখ ২০ হাজার টাকা বিক্রি করেছিলাম। মিয়ানমার থেকে এই ফল গুলো এনে বিচি রোপণ করে ছিলাম। এই ফলগুলো টেকনাফে খুব জনপ্রিয় ফল।

হ্নীলা বাজারের ফল ব্যবসায়ী বাদশা মিয়া জানান, পাহাড়ি মালি আম (মাইল্লাম) আগে মিয়ানমার থেকে বিক্রি করার জন্য টেকনাফে নিয়ে আসতো ব্যবসায়ীরা। এখন টেকনাফে উপজেলায় এই ফলের ভালো ফলন হচ্ছে। তারেক মাহমুদ রনির বাগান থেকে প্রায় ১০ মণ পাহাড়ি মালি আম (মাইল্লাম) ক্রয় করেছি। এই ফলগুলো বিক্রির জন্য ঢাকা ও চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হবে। টেকনাফে খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ৩০০ টাকা দরে।

টেকনাফ উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শফিউল আলম জানান, টেকনাফ উপজেলায় এখন পাহাড়ি মালি আম (মাইল্লাম) এর ভালো ফলন হচ্ছে। পাহাড়ি ফলটির নাম স্থানীয়দের কাছে ‘মাইল্লাম’ স্থান ভেদে ‘মাইজ্জাম’ নামে পরিচিত। এই ফলগুলো আকারে ছোট ছোট, পাকা হলে হলুদ রংয়ের হয়ে যায়। খেতে খুব বেশি টক। এই পাহাড়ি মালি আম (মাইল্লাম) ফল ঢাকা-চট্টগ্রামের জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এখন। বাগান মালিক ও উদ্যোক্তাদের আগ্রহ করলে ফলন ভালো ও চাষে আগ্রহ বাড়াবে বলে অনেকে জানান।

(ঢাকাটাইমস/১৩এপ্রিল/এসএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :