ভাসছে ধান, ডুবছে স্বপ্ন

শায়লা পারভীন, তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ)
 | প্রকাশিত : ১০ মে ২০২২, ১২:১১

কয়েকদিনের বৃষ্টিতে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় ফসলের মাঠগুলোতে পানি জমে পাকা ধান নষ্ট হয়ে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে কৃষকের। বৃষ্টির পানিতে ডুবে যাওয়া ধান পচে চারা বের হচ্ছে কিছু জমিতে। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন উপজেলার কৃষকরা। ফসল রক্ষায় অতিরিক্ত অর্থ খরচ করেও এই বৃষ্টিতে মিলছে না শ্রমিক। ফলে ক্ষেতেই পচে যাচ্ছে ধান।

তবে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২২ হাজার ৩১৫ হেক্টর। কিন্ত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অর্জিত হয়েছে ২২ হাজার ৩৬০ হেক্টর।

সরেজমিনে, উপজেলার দেশীগ্রাম ইউনিয়নের গুড়পিপুল, আড়ংগাইল, মাধাইনগর ইউনিয়নের ভাদাস, সেরাজপু, মালশিন, গুড়মা, তাড়াশ পৌর এলাকার কোহিত, আসানবাড়ি, বারুহাস ইউনিয়নের বিনসাড়া, বস্তুলসহ বিভিন্ন গ্রামের ফসলি মাঠে বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে ধান। অনেক ক্ষেতে ধান পচে গিয়ে চারা বের হয়ে গেছে।

কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ বছর এক বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করতে সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। বর্তমানে শ্রমিক খরচ আরও প্রায় সাত হাজার টাকা বেড়ে নয় হাজারে ঠেঁকছে।

তাদের অভিযোগ অপরিকল্পিতভাবে ব্রিজ-কালভাটের, বন্ধ খাল-নালা বন্ধ করে দেওয়ার ফলে পানি নিস্কাশন হয় না। তাই বৃষ্টি হলে পানি নিস্কাশনের বাধাগ্রস্ত হয়। এতে করে ফসলি মাঠগুলো ডুবে কৃষকের সর্বনাশ হচ্ছে প্রতিবছর।

বারুহাস ইউনিয়নের বিনসাড়া গ্রামের শিক্ষক আজাদ সাহেব বলেন, কৃষকের পাকা ধান পানির নিচে হাবুডুবু খাচ্ছে, শ্রমিকের সাথে অর্ধেক ভাগেও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। অবিরাম বৃষ্টি, কৃষকদের সর্বনাশ, কিছু নেতার কপালে আসলো পৌষ মাস।

তিনি আরও জানান, পাবনা অঞ্চল থেকে কৃষি শ্রমিকেরা তাড়াশ উপজেলার বিভিন্ন গৃহস্থের বাড়ি থেকে ধান কাটতেন কিন্ত এবছর তারা অজ্ঞাত কারণে এখনও অধিকাংশ গৃহস্তের বাড়িতে আসেননি। তাই শ্রমিক সংকট দেখা দেয়ার কারণও এটি।

তাড়াশ পৌর সদরের কৃষি শ্রমিক মহির উদ্দিন বলেন, ‘হঠাৎ বৃষ্টি হওয়ায় মাঠের ধানগুলো পানিতে ডুবে গেছে। এখন প্রতি বিঘা জমিতে চার থেকে পাঁচজন শ্রমিক বেশি লাগবে। আগে যেখানে এক বিঘা জমিতে খরচ হতো তিন হাজার থেকে চার হাজার টাকা। সেখানে এখন অতিরিক্ত খরচসহ প্রায় সাত হাজার থেকে নয় হাজার টাকা। শুধু তাই কিছু এলাকায় অর্ধেক জমিওয়ালার অর্ধেক শ্রমিকের তবুও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। এখন তো বৃষ্টিতে ভিজে কাজ করার মতো শ্রমিকও পাওয়া যাচ্ছে না।

তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার লুনা বলেন, চলতি বোরো মৌসুমের শুরু থেকে কৃষি বিভাগের মাঠকর্মীসহ সকল স্তরের কর্মকর্তারা কৃষকদের নানা দিক নির্দেশনা দিয়ে কৃষকদের উৎসাহিত করেছেন। মাঠের শ্রমিক সংকটের কারণে ধান কাটা নিয়ে কৃষকরা একটু সমস্যায় পড়েছেন।

(ঢাকাটাইমস/১০মে/এসএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

দিনাজপুরে ভোট গণনার পর সংঘর্ষ, পুলিশের গুলিতে ইউপি সদস্য প্রার্থীর সমর্থক নিহত

বহিষ্কৃত প্রার্থীর পক্ষে প্রচারে অংশ নিলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে: সেলিম ভূইয়া

নোয়াখালীতে গরমে অসুস্থ এক শিক্ষক ও ১৪ শিক্ষার্থী

জয়পুরহাটে জামায়াত-শিবিরের ৬১ নেতাকর্মী কারাগারে

হিট স্ট্রোকে মাদারীপুরে ব্যবসায়ী ও কৃষকের মৃত্যু

সালথায় তীব্র গরমে অসুস্থ স্কুলের ১৩ শিক্ষক-শিক্ষার্থী 

আদালত চত্বর থেকে পালিয়ে যাওয়া আসামি ঢাকায় গ্রেপ্তার

শতকোটি ব্যয়ে রংপুরে হচ্ছে ৪৬০ বেডের ক্যানসার, কিডনি ও হৃদরোগ হাসপাতাল

তীব্র খরার পুড়ছে পাটক্ষেত, পাতালেও মিলছে না পানি! দিশেহারা কৃষক

চাঁদপুরে প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :