মাঙ্কিপক্স: সতর্ক অবস্থানে বাংলাদেশ সব বন্দরে সতর্কতা জারি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ২২ মে ২০২২, ১২:১৪| আপডেট : ২২ মে ২০২২, ১৩:১০
অ- অ+

ইউরোপ ও আমেরিকার অন্তত ১২ দেশে ছড়িয়ে পড়া বিরল রোগ মাঙ্কিপক্স নিয়ে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে বাংলাদেশ। এরইমধ্যে দেশের সবগুলো বন্দরে এ বিষয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর বন্দরে সতর্কতার জারির বিষয়টি জানিয়ে বলেছেন, নতুন কোনো রোগের তথ্য পাওয়া গেলে বন্দরগুলোতে সতর্কতা জারি করা স্বাস্থ্য বিভাগের একটা রুটিন ওয়ার্ক।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম জানিয়েছেন, দেশের সব বন্দরে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সন্দেহভাজন কেউ এলে যেন তাকে চিহ্নিত করা যায় এবং দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হয় সেজন্য এয়ারপোর্টে মেডিক্যাল অফিসারদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

জেলা পর্যায়ে সিভিল সার্জনদের কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে অধিদপ্তরের এই পরিচালক বলেন, ‘জেলা পর্যায়ে আমরা চিঠি দিয়েছি। তবে যেহেতু সব জায়গায় পোর্ট নেই সেজন্য সব জায়গায় এটা এখনো তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। তবে এয়ারপোর্ট দিয়েই যেহেতু আসতে পারে তাই এ ক্ষেত্রেই সবচেয়ে বেশি সতর্কতা রয়েছে।’

১৯৭০ সালে তৎকালীণ জায়ারে বর্তমানে কঙ্গোতে প্রথম মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়। এ রোগে প্রথম আক্রান্ত হয় ৯ বছর বয়সী এক শিশু। ১৯৭০ সালের পর থেকে আফ্রিকার ১১টি দেশে মাঙ্কিপক্স ছড়িয়ে পড়ে। আর ২০০৩ সালে আফ্রিকার বাইরে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম এই রোগ শনাক্ত হয়।

সম্প্রতি নতুনভাবে উত্তর আমেরিকা, ইউরোপের এক ডজনের বেশি দেশে মাঙ্কিপক্সের রোগী শনাক্ত হয়েছে। ইউরোপের যুক্তরাজ্য, স্পেন, পর্তুগাল, জার্মানি, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, ইতালি ও সুইডেন এবং যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া মাঙ্কিপক্সের রোগী পাওয়ার কথা জানিয়েছে। এই রোগ সমকামী পুরুষদের ক্ষেত্রে বেশি ছড়াচ্ছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

মাঙ্কিপক্সের প্রাথমিক উপসর্গ জ্বর, মাথাব্যথা, হাড়ের জোড়া ও মাংসপেশিতে ব্যথা। এছাড়া আক্রান্ত রোগী অবসাদেও ভুগতে পারে। জ্বর শুরু হওয়ার পর প্রথমে মুখে গুটি দেখা দেয় পরে তা হাত এবং পায়ের পাতাসহ দেহের অন্যান্য জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। আক্রান্ত রোগী ১৪ থেকে ২১ দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠেন।

বাংলাদেশের সতর্কতার বিষয়ে ডা. আহমেদুল কবীর বলেন, ‘এটা সংক্রামক রোগ যে কারণে আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি। প্রাথমিকভাবে মহাখালীর সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালকে প্রস্তুত করা হয়েছে। দেশের কোনো রোগী পাওয়া গেলে সেখানে আইসোসেশনে রাখা হবে।’

(ঢাকাটাইমস/২২মে/এমআই/এফএ/ডিএম)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
এনবিআরের আরও ৬ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বরখাস্ত
প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতে শিক্ষা উপদেষ্টার আশ্বাস
তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আরও একজন গ্রেপ্তার
বনানীতে পথশিশু ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত যুবক গ্রেপ্তার
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা