স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা, ফুচকা বিক্রেতাসহ ৩ জনকে খুঁজছে পুলিশ
রাজবাড়ীর সদর উপজেলার খানগঞ্জ ইউনিয়নের চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে ফুসকা বিক্রেতাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে রাজবাড়ী সদর থানায় ছাত্রীর মামা বাদী হয়ে মামলাটি করে।
মামলায় আসামিরা হলেন, রাজবাড়ী সদর উপজেলার খানগঞ্জ ইউনিয়নের ঘুঘুশাইল গ্রামের গিয়াসউদ্দিনের ছেলে আল্লেক মল্লিক (৪২), আয়েনউদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে মিন্টু বিশ্বাস (৩৫) ও সোরাপ মল্লিকের ছেলে আমিরুল মল্লিক (৩২)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ঘুঘুশাইল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে আল্লেক মল্লিক ফুচকা বিক্রি করে। আল্লেক মল্লিকসহ বাকি দুই আসামির বাড়ি বিদ্যালয়ের পাশে। এই তিন আসামি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অন্যান্য ছাত্রীদের স্কুলে যাওয়া আসার পথে উত্ত্যক্ত করে। তাদেরকে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে প্রতিনিয়ত অনৈতিক প্রস্তাবও দিয়ে থাকে।
গত ২২ জুন তারিখে তার শিশুটি স্কুলে যাওয়ার পথে আসামি আল্লেক মল্লিক তাকে ফুচকা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তার বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় তার ভাগ্নি চিৎকার দিতে গেলে তার মুখ চেপে ধরে। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে আসামির হাত সরে গেলে তার ভাগ্নি চিৎকার দেয়। লোকজনের ভয়ে আসামি আল্লেক তার ভাগ্নিকে ছেড়ে দেয়। তার ভাগ্নি বাড়ি গিয়ে কান্নাকাটি করলে তার কাছে কারণ জানতে চাইলে সে সবকিছু খুলে বলে।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, মামলার ২ নম্বর আসামি মিন্টু বিশ্বাস কয়েক মাস আগে তার বাক প্রতিবন্ধী একজনকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। আদালত থেকে জামিন নিয়ে বাইরে আছে। ৩ নম্বর আসামি আমিরুল কিছুদিন আগে তার ভাগ্নিকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে।
মামলার বাদী শিশুটির মামা বলেন, তার ভাগ্নির বাবা নেই। মায়ের অন্য আরেক জনের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে। এজন্য ছোট থেকেই আমাদের বাড়িতে থেকে লেখা পড়া করে। অনেক দিন ধরেই এই তিনজন তার ভাগ্নিকে নানা ভাবে ধর্ষণের চেষ্টা করে আসছে। এই তিন জনের বিচার চাই।
রাজবাড়ী সদর থানার ওসি শাহাদত হোসেন জানান, মামলাটি সোমবার রাতেই রেকর্ড করা হয়েছে। পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে। নিপীড়নের শিকার শিশুটির ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হবে।
(ঢাকাটাইমস/২৯জুন/এআর)