‘খাদ্যে বিষক্রিয়ায় বিশ্বব্যাপী বছরে মারা যায় সাড়ে ৪ লাখ মানুষ’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ৩০ জুন ২০২২, ১৭:১১| আপডেট : ৩০ জুন ২০২২, ১৭:১২
অ- অ+

পৃথিবীতে বছরে প্রায় সাড়ে চার লাখ মানুষ খাদ্যে বিষক্রিয়ায় মারা যান বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ‌্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। সেই সঙ্গে প্রতিদিন গড়ে প্রতি ১০ জনে একজন খাদ্যে বিষক্রিয়ার শিকার হচ্ছেন বলেও জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর শাহবাগে খাদ‌্য অধিদপ্তরে ‘নিরাপদ খাদ‌্য নিশ্চিতে গণমাধ‌্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক এক কর্মশাল‌ায় তিনি এ কথা বলেন।

আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘আজ থেকে ২৪০০ বছর আগে ফাদার মর্ডান মেডিসিন বলে আমরা যাকে চিহ্নিত করি হিপোক্রেটিসের একটা কথা আছে "লেট ইওর ফুড বি ইউর মেডিসিন", অর্থাৎ খাদ্যই তোমার ওষুধ, ওষুধই তোমার খাদ্য। আসলে খাদ্যতেই অসুখ। সঠিক খাদ্য যিনি খান তার হাসপাতালেও যাওয়ার দরকার হবে না, তার ওষুধ খাওয়ার কোনো প্রয়োজন নাই।’

এই শিক্ষাবিদ বলেন, খাদ্য সম্পর্কে বিজ্ঞান কী বলে? খাদ্য মানুষের জন্য কতটা পর্যন্ত নিরাপদ থাকবে? রেফ্রিজারেটরে রাখলেন এটা কি মাসের পর মাস পর্যন্ত রাখলে খাবার ঠিক থাকবে? খাবারের মান ঠিক থাকবে? এই বিষয়গুলোই হচ্ছে বিজ্ঞান।’

পৃথিবীতে খাদ্যে বিষক্রিয়া সবচেয়ে বড় সমস্যা উল্লেখ করে ঢাবির সাবেক উপাচার্য বলেন, প্রতিদিন প্রতি ১০ জনে একজন খাদ্যে বিষক্রিয়ার শিকার হচ্ছেন। পৃথিবীতে বছরে প্রায় সাড়ে চার লাখ মানুষ ফুড পয়জনিংয়ে মৃত্যুবরণ করেন। ফুড পয়জনিং যে কোনো পর্যায়ে যেতে পারে আমি নিজে তার স্বাক্ষ্য। হঠাৎ একদিন খাদ্যে বিষক্রিয়া নিয়ে আমার এমন একটা অবস্থা হলো যে হঠাৎ করে ব্লাড প্রেসার অনেক বেড়ে গেল।

খাদ‌্য অধিদপ্তরে কাজের কথা উল্লেখ করে আরেফিন সিদ্দিক বলেন, নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরের নানা বিষয়ে কাজ আছে। কিন্তু মোটা দাগের যে কাজগুলো মানুষ যে খাদ্য গ্রহণ করবে সেই খাদ্যটি যেন নিরাপদ হয়।

আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের ভাষণে বলেছিলেন, পৃথিবীর বহু শিশু অনাহারে রাত্রে ঘুমাতে যায়। ঘুমানোর আগে তাদের রাতের খাবার থাকে না। সকালে উঠেও তারা কাজে-কর্মে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। অনেকের পক্ষে স্কুলে যাওয়াও সম্ভব হয় না। সেই একটা সময় গেছে যখন আমরা খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে সবচেয়ে বেশি দুশ্চিন্তিত ছিলাম।

রাজধানীর গুলশান বনানীতে বড় বড় হোটেলগুলোতেও আজে বাজে খাদ্য সরবরাহ করা হচ্ছে জানিয়ে আরেফিন সিদ্দিক বলেন, তাদের জরিমানা করা হচ্ছে। এর দুইদিন পরে আবার আগের মতো কাজকর্ম চালাচ্ছে। এখন কী করছে তারা সেটাও তো একটা নিয়মিত মনিটরিংয়ের মধ্যে থাকার দরকার ছিল।

একটা সেইফ ফুড হেয়ারিং হাউজ থাকতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রতিদিন এখানে ওয়েবসাইটে কিছু আপডেট থাকবে এবং সারা দেশের গণমাধ্যম কর্মীরা এখান থেকে তাদের তথ্য পেতে পারবেন। এবং সত্যগুলো মানুষের সামনে তুলে ধরতে পারবেন। মানুষকে সতর্ক করতে পারবেন।

খাদ‌্য কতৃপক্ষের চেয়‌ারম‌্যান মো আব্দুল কাইউম সরকারের সভাপতিত্বে কর্মশাল‌ায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, বিটিভির মাটি ও মানুষের উপস্থাপক রেজাউল করিম সিদ্দিক। আরও বক্তব্য দেন কৃষি সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি গোলাম ইফতেখার মাহমুদসহ প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/৩০জুন/কেআর/কেএম)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
রাজনীতিতে অভিভাবক দল হিসেবে আমরা বারবার ধৈর্য ধরেছি: অধ্যক্ষ সেলিম ভুইয়া
এনবিআরের আরও ৬ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বরখাস্ত
প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতে শিক্ষা উপদেষ্টার আশ্বাস
তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আরও একজন গ্রেপ্তার
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা