টাকা দিলেই প্যাথেড্রিন ইনজেকশন, জরিমানার পর ফার্মেসি বন্ধ করল ভ্রাম্যমাণ আদালত

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৮ আগস্ট ২০২২, ১৭:১৬

টাকা দিলেই মিলতো ব্যথা উপশমকারী প্যাথেড্রিন ইনজেকশন। দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসাপত্র ছাড়াই অবৈধভাবে ইনজেকশন বিক্রি করে আসছিল চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল সড়কের কামাল সার্জিক্যাল নামে একটি প্রতিষ্ঠান। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বেশ কয়েকবার শতর্ক করলেও থেমে থাকেনি অবৈধ বিক্রি। এবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের জালে ধরা পড়ে জরিমানা গুণতে হয়েছে প্রতিষ্ঠানটিকে, এছড়া অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধও করে দেওয়া হয় এ ফার্মেসি।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীম ভুইয়া ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এ পদক্ষেপ নেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, কামাল সার্জিক্যাল চিকিৎসাপত্র ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে ব্যথা উপশমকারী প্যাথেড্রিন ইনজেকশন বিক্রি করে আসছিল। বুধবার রাতে ওই প্রতিষ্ঠানটি চিকিৎসাপত্র ছাড়াই অবৈধভাবে এ ইনজেকশন বিক্রি করলে বিষয়টি এলাকার সাধারণ মানুষের নজরে এলে হৈচৈ সৃষ্টি হয়। পরে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার কাউন্সিলর কামরুজ্জামান চাঁদ সেখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের একটি টিম পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় এবং অভিযুক্ত কামাল সার্জিক্যালের মালিক কামাল হোসনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

পরদিন বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলা পরিষদে ভ্রাম্যমাণ আদালতে অভিযোগ প্রমাণিত হয়। সেখানে অভিযুক্ত কামাল হোসেনকে ২০ হাজার টাকা জরিমানাসহ পরবর্তী নির্দেশ দেওয়া না পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কামাল সার্জিক্যালের মালিক কামাল হোসেন খুলনার খালিশপুর এলাকার প্রয়াত আব্দুর সামাদ হাওলাদারের ছেলে। তিনি চুয়াডাঙ্গা শহরের সিনেমা হল পাড়ায় বসবাস করেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি চিকিৎসাপত্র ছাড়াই অবৈধভাবে প্যাথেড্রিন ইনজেকশন বিক্রি করে আসছিলেন। এর আগেও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা তাকে শতর্ক করেছেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুবুর রহমান কাজল বলেন, কামাল সার্জিক্যালের মালিক দীর্ঘদিন ধরেই ওই কাজ করে আসছিলেন। বুধবার রাতে এলাকার সাধারণ জনগণ হাতেনাতে ধরলে আমরা সেখানে যাই এবং প্রতিষ্ঠান মালিককে আটক করে থানায় নিয়ে আসি।

ইউএনও শামীম ভুইয়া বলেন, চিকিৎসাপত্র ছাড়া প্যাথেড্রিন ইনজেকশন বিক্রি করা নিষেধ থাকার পরও কামাল সার্জিক্যাল দীর্ঘদিন ধরে সেই কাজটি করে আসছিল। এলাকাবাসির অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার রাতে কামাল সার্জিক্যালের মালিক কামাল হোসেনকে আটক করে পুলিশ। বিভিন্ন স্থানে খোঁজ খবর নিয়ে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হয়। সেই অপরাধে প্রতিষ্ঠান মালিককে জরিমানাসহ প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়।

(ঢাকাটাইমস/১৮আগস্ট/এসএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :