বেদে গোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করছেন অতিরিক্ত আইজিপি হাবিবুর রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২০ অক্টোবর ২০২২, ১১:৩৯ | প্রকাশিত : ২০ অক্টোবর ২০২২, ১১:২০

রাজধানীর উত্তরার কামারপাড়া বেদেপল্লী। প্রায় ১২০টি বেদে পরিবারের বসবাস এখানে। সবমিলিয়ে বেদে জনসংখ্যা ৩৫০ জনের মতো। এই বেদেপল্লীর সবার স্থায়ী ঠিকানা মুন্সীগঞ্জের লৌহজং থানা এলাকায়। তবে জীবন-জীবিকার তাগিদে বেশিরভাগ সময় তাদের উত্তরার কামারপাড়াতেই কাটাতে হয়। এই বেদে জনগোষ্ঠীর বেশিরভাগই এখন কষ্ট করে নিজেদের সন্তানদের লেখাপড়া করাচ্ছেন।

আবার কেউ কেউ নিজেদের নাতি-নাতনিকেও স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিয়েছেন। বেদে সম্প্রদায়ের এসব শিশু-কিশোরদের শিক্ষার দ্বার উন্মোচন করে তাদের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন সদ্য পদোন্নতি পাওয়া অতিরিক্ত আইজিপি হাবিবুর রহমান। মুন্সীগঞ্জে এই পুলিশ কর্মকর্তার প্রতিষ্ঠিত উত্তরণ শিক্ষালয়ে লেখাপড়ার সুযোগ পাচ্ছে বেদে জনগোষ্ঠীর শিশুরা। সেখান থেকে তারা পায় বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ। আরও পায় কম্পিউটার শেখার সুযোগ।

বেদে জনগোষ্ঠীকে সাড়ে চারশো বছরের গ্লানিময় জীবন থেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে ২০১৪ সাল থেকে কাজ করে যাচ্ছেন অতিরিক্ত আইজিপি হাবিবুর রহমান এবং তার প্রতিষ্ঠিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন উত্তরণ ফাউন্ডেশন। দীর্ঘ আট বছর গবেষণার পর গত বছর বেদে জনগোষ্ঠীর বিলুপ্তপ্রায় ভাষা ‘ঠার’ নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ ভাষার বই লিখে দেশে-বিদেশে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন অতিরিক্ত আইজিপি হাবিবুর রহমান।

কামারপাড়া বেদেপল্লীর বাসিন্দা মো. বাবুল মিয়া। লোহজং থানার খড়িয়া গ্রামে তার বাড়ি। তিনি সাপের ওষুধ বিক্রি করেন। সাত ছেলে এবং দুই মেয়ের বাবা তিনি। বড় ছেলেরা জাতি ব্যবসা করে, তবে ছোট ছেলেকে লেখাপড়া করাচ্ছেন। লোহজংয়ের স্থানীয় একটি কলেছে বিএ পড়ছেন তিনি। অতিরিক্ত আইজিপি হাবিবুর রহমানের সহযোগিতায় ছেলের একটা চাকরি হবে, এই আশায় রয়েছেন বাবুল মিয়া।

উত্তরার কামারপাড়ার এই বেদেপল্লী অদ্ভুত এক জায়গা। কর্মব্যস্ত দিন শেষে সন্ধ্যার পর সকল নারী-পুরুষ, শিশু, কিশোর-কিশোরীর আড্ডায় মুখরিত হয় বেদেপাড়ার ছোট ছোট ঝুপড়ি ঘরের আঙিনা। সারাদিন হাড়ভাঙা পরিশ্রমের পরেও তাদের মুখে লেগে থাকে হাসি। বেদে জনগোষ্ঠী ঐতিহ্যগতভাবে আমোদপ্রিয়। তারা অল্পতেই তুষ্ট থাকে। মানুষকে ভীষণ সম্মান করে কথা বলে। আন্তরিকতারও কোনো ঘাটতি নেই তাদের।

ইতোমধ্যে এই জনগোষ্ঠীর অনেক ছেলেমেয়ে সরকারি ও বেসরকারি চাকরিতে যোগদান করেছেন। অনেকে আবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়া থেকে শুরু করে মূলধারার রাজনীতিতেও প্রবেশ করেছেন। যুবকদের কেউ ঝুট মালের ব্যবসা করেন, কেউ করেন কসমেটিকসের ব্যবসা। বেদে শিশুরা নিজেদের মতো খেলাধুলা করে। নারীদের অধিকাংশ সাপ খেলা দেখানো ও শিঙা লাগানোর কাজে নিয়োজিত।

(ঢাকাটাইমস/২০অক্টোবর/এজে)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :