জুমার দিন দরুদ পাঠ আল্লাহর রহমত প্রাপ্তির বিশাল মাধ্যম

ইসলাম ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১১ নভেম্বর ২০২২, ০৮:০৬

সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর যিনি আদি-অন্ত, ব্যক্ত ও গুপ্ত এবং যিনি সর্ববিষয়ে সম্যক অবহিত। তিনি আদি, তাই তাঁর আগে কিছু নেই। তিনি অন্ত, তাই তার পরে কিছু নেই। তিনি ব্যক্ত, তাই তার উপরে কিছু নেই। তিনি গুপ্ত, তাই তাঁর পেছনে কিছু নেই। তিনি আপন কামালিয়াতের যাবতীয় গুণাবলী অনাদিসহ অনন্ত, অক্ষয়, অব্যয়, চিরন্তন সত্তা। আঁধার রাতে নিরেট পাথরের উপর কালো পিঁপড়ের পদচারণা এবং ক্ষুদ্র বালু-কণার সংখ্যা সম্পর্কেও তিনি সম্যক অবহিত। তিনি উন্নত, মহান ও মহিমান্বিত। তিনি মহা উন্নত। সব কিছু তিনি সৃষ্টি করেছেন নিখুঁত পরিকল্পনা অনুসারে।

আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয় তোমাদের প্রতিপালক সেই আল্লাহ, যিনি আসমান ও যমীন ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তিনি স্বীয় আরশের উপর উঠেছেন। তিনি দিবসকে রাত্রি দ্বারা আচ্ছাদিত করেন এমনভাবে যে, রাত্রি ও দিবস একে অন্যকে অনুসরণ করে চলে তড়িৎ গতিতে। সূর্য, চন্দ্র ও নক্ষত্ররাজি সবই তাঁর হুকুমের অনুগত। জেনে রেখো! সৃষ্টির একমাত্র কর্তা আর হুকুমের একমাত্র মালিক তিনিই, সারা জাহানের প্রতিপালক আল্লাহ বরকতময়’ (আল-আ‘রাফ, ৭/৫৪)।

মানব সৃষ্টি, তাদের জীবিকা প্রদান, তাদের পথ সুগম করে দেয়া এবং তাদেরকে বাকশক্তি দান করার পর তাদের প্রতি মহান আল্লাহর বিশেষ একটি নিয়ামত ও অনুগ্রহ হলো এই যে, তিনি তাদের নিকট প্রেরণ করেছেন তাঁর নবী-রাসূলগণকে এবং নাযিল করেছেন তার হালাল-হারাম, যাবতীয় সমাচার ও বিধি-বিধান এবং সৃষ্টির সূচনা ও পুনরুত্থান সহ কিয়ামত পর্যন্ত সংঘটিতব্য সব কিছুর বিশদ বিবরণ সম্বলিত কিতাবসমূহ।

সুতরাং ভাগ্যবান সে ব্যক্তি, যে সমাচারসমূহকে সত্য বলে মেনে নেয়, সাথে সাথে আদেশসমূহকে বশ্যতা ও নিষেধসমূহকে শ্রদ্ধার সঙ্গে মেনে নিয়ে স্থায়ী নিয়ামতরাজি লাভে ধন্য হলো এবং যাককুম, ফুটন্ত পানি ও যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি বিশিষ্ট জাহান্নামে মিথ্যাবাদীদের অবস্থান থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকল।

আমি মহান আল্লাহর বিপুল উত্তম ও বরকতময় প্রশংসা বর্ণনা করছি—যা ভরে দেবে আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীসমূহের প্রান্তরমালা কিয়ামত পর্যন্ত, অনন্তকাল ধরে। তার মাহাত্ম্য, ক্ষমতা ও মহান সত্তার জন্য যেমন শোভনীয়। আর সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, এক আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই, যার নেই কোন অংশীদার। নেই কোন সন্তান, জনক, অর্থ বা সঙ্গিনী। নেই তার কোন সমকক্ষ এবং নেই কোন মন্ত্রণাদাতা বা উপদেষ্টা।

আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ (সা) তাঁর বান্দা ও রাসূল, তার হাবীব ও খলীল। আরবের বিশিষ্ট লোকদের যিনি সেরা, নির্বাচিত সর্বশেষ নবী, তৃষ্ণা নিবারণকারী সর্ববৃহৎ হাউজের যিনি অধিপতি, কিয়ামতের দিন শ্ৰেষ্ঠ শাফাআতের যিনি একচ্ছত্র মালিক ও পতাকা বহনকারী, যাকে আল্লাহ তা’আলা অধিষ্ঠিত করবেন এমন এক প্রশংসিত স্থানে, যার আকাঙ্ক্ষা করবে সৃষ্টিকুল, এমনকি আল্লাহর খলীল ইবরাহীমসহ সকল নবী-রাসূল পর্যন্ত।

মহান আল্লাহ আপন কুদরতে এই নিখিল ধারা সৃষ্টি করেছেন। এর মধ্যে কিছু জিনিসকে কিছু জিনিসের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন। সাতটি দিবস সৃষ্টি করেছেন, এর মধ্যে জুমার দিনকে অন্যান্য দিনের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন।

জুমার ফজিলত ও গুরুত্বের তালিকায় উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, সপ্তাহের দিনগুলোর মধ্যে শুধুমাত্র জুমার নামেই কোরআনে কারিমে একটি সুরা নাজিল হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনগণ! জুমার দিনে যখন নামাজের জন্য আহ্বান করা হয় তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে ধাবিত হও এবং কেনাবেচা ত্যাগ কর, এ-ই তোমাদের জন্য শ্রেয় যদি তোমরা উপলব্ধি কর।’ সুরা জুমা, আয়াত : ৯।

দরুদ পাঠ জুমার দিনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আমল। অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ আমল এটি। কারণ, দরুদ পাঠ আল্লাহতায়ালার রহমত প্রাপ্তির এক বিশাল মাধ্যম, প্রশান্তি লাভের সহজ উপায়।

সুতরাং শুক্রবারে আমাদের যেসব করণীয় রয়েছে তারমধ্যে রাসূল সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি অধিক পরিমাণে দুরুদ পাঠ করা।

দরুদে ইব্রাহিমের বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ : আল্লা-হুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিঁউঅআলা আ-লি মুহাম্মাদ, কামা স্বাল্লাইতা আলা ইবরা-হীমা অ আলা আ-লি ইবরা-হীম, ইন্নাকাহামীদুম মাজীদ। আল্লা-হুম্মা বা-রিক আলা মুহাম্মাদিঁউঅ আলা আ-লি মুহাম্মাদ, কামা বা-রাকতা আলা ইবরা-হীমা অ আলা আ-লি ইবরা-হীম, ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ।

হে আল্লাহ! তুমি হজরত মুহাম্মদ ও তাঁর বংশধরের উপর রহমত বর্ষণ কর, যেমন তুমি হজরত ইব্রাহিম ও তাঁর বংশধরের উপর রহমত বর্ষণ করেছ। নিশ্চয় তুমি প্রশংসিত গৌরবান্বিত।

হে আল্লাহ! তুমি হজরত মুহাম্মদ ও তাঁর বংশধরের উপর বর্কত বর্ষণ কর, যেমন তুমি হজরত ইব্রাহিম ও তাঁর বংশধরের উপর বর্কত বর্ষণ করেছ। নিশ্চয় তুমি প্রশংসিত গৌরবান্বিত। (বুখারী, মিশকাত)

আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ নবীর উপর রহমত নাযিল করেন এবং ফেরেশতারা তাঁর জন্য রহমতের দোয়া করেন। সুতরাং হে মুমিনগণ! তোমরাও তাঁর প্রতি দরুদ পড় এবং অধিক পরিমাণে সালাম পাঠাও। (সূরা আহযাব: ৫৬)।

আউস বিন আউস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: তোমাদের দিন সমূহের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ দিন হল জুমার দিন। এই দিনে আদমকে সৃষ্টি করা হয়েছে, এই দিনে তাকে মৃত্যু দেওয়া হয়েছে, এই দিনে সিংগায় ফুঁ দেওয়া হবে এবং মহা বিপর্যয়ও (কিয়ামত) ঘটবে এই দিনেই। তাই এই দিনে তোমরা বেশি বেশি আমার উপর দরুদ পাঠ করবে; কেননা তোমাদের দরুদ আমার উপর পেশ করা হয় জুমার দিনে।

সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলে, হে আল্লাহর রাসূল, আপনি কবরে গলে শেষ হওয়ার পরেও কিভাবে আপনার উপর দরুদ পেশ করা হয়? তিনি বললেন, আল্লাহ তাআলা মাটির জন্য নবীদের দেহ ভক্ষণ করা হারাম করে দিয়েছেন। (আবু দাউদ,নাসাঈ,ইবনু মাজা প্রমুখের বরাতে সহীহ আত তারগীব ওয়াত তারহীব,মিশকাত আলবানী হা:নং১৩৬১)

মহানবী (সাঃ) বলেন, “যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দরুদ পাঠ করবে, আল্লাহ তার উপর ১০ বার রহমত বর্ষণ করবেন। (মুসলিম, মিশকাত ৯২১ নং)।

আব্দুল্লাহ ইবনে আমর আ’স (রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছেন, ‘যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দরুদ পাঠ করবে, আল্লাহ তার কারণে তার উপর দশটি রহমত (করুণা) অবতীর্ণ করবেন। (মুসলিম: ৩৮৪, তিরমিযী: ৩৬১৪, নাসায়ী ৬৭৮, আবূ দাউদ: ৫২৩, আহমাদ: ৬৫৩২)।

অন্য এক বর্ণনায় আছে, যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দরুদ পাঠ করবে, আল্লাহ তার ১০টি পাপ মোচন করবেন ও সে ১০টি মর্যাদায় উন্নীত হবে। (নাসাঈ, সুনান,হাকেম, মুস্তাদরাক ১/৫৫০

পবিত্র কোরআন মজিদে স্বয়ং মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা নবী (সা.) এর জন্য দরুদ পাঠের তথা আল্লাহর দরবারে তাঁর জন্য দোয়া করার আদেশ করেছেন।

এটা একদিকে যেমন আল্লাহর কাছে তাঁর রাসূলের মর্যাদার প্রমাণ অন্যদিকে মুমিন বান্দার রহমত ও বরকত লাভের অন্যতম উপায়। মহান আল্লাহকে পাওয়ার একমাত্র পথ খাতামুন্নাবিয়ীন হজরত মুহাম্মাদ (সা.) এর অনুসরণ।

আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আছ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি আল্লাহর রাসূল (সা.) কে বলতে শুনেছেন, ‘যে আমার উপর একবার দরুদ পড়বে, বিনিময়ে আল্লাহ তায়ালা তার উপর দশটি রহমত নাযিল করবেন। (সহীহ মুসলিম ১/১৬৬; জামে তিরমিযী ১/১০১)

অন্য হাদীসে আছে, হজরত আনাস (রা.) বলেন, রাসূলে কারিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে আমার উপর একবার দরুদ পড়বে আল্লাহ তার উপর দশটি রহমত নাযিল করবেন, তার দশটি গুনাহ ক্ষমা করা হবে এবং দশটি দরজা বুলন্দ হবে। (সুনানে নাসায়ী ১/১৪৫; মুসনাদে আহমদ ৩/১০২; মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ২/৪৩)

ফেরেশতারা মাগফিরাতের দোয়া করেন- হজরত আমের ইবনে রবীআহ (রা.) বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল (সা.) কে খুতবার মধ্যে বলতে শুনেছি, ‘আমার উপর দরূদ পাঠকারী যতক্ষণ দরূদ পড়ে ফেরেশতারা তার জন্য দোয়া করতে থাকে। সুতরাং বান্দার ইচ্ছা, সে দরুদ বেশি পড়বে না কম।’ (মুসনাদে আহমদ ৩/৪৪৫; মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ৬/৪০; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস : ৯০৭)

দরুদ পাঠকারীর জন্য শাফাআত অবধারিত- রুওয়াইফি ইবনে ছাবিত আলআনসারী (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি এ দরুদ পাঠ করবে তার জন্য আমার সুপারিশ অবধারিত হয়ে যাবে।’ (আলমুজামুল কাবীর, তবারানী ৫/৪৪৮১; মাজমাউয যাওয়াইদ ১০/২৫৪)

কিয়ামতের দিন নবীজীর সবচেয়ে নিকটবর্তী হবে- আবদুললাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘কিয়ামতের দিন ওই ব্যক্তি আমার সবচেয়ে নিকটবর্তী হবে, যে আমার উপর সবচেয়ে বেশি দরুদ পড়েছে।’ (জামে তিরমিযী ১/১১০)

রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন “যে (ব্যক্তি) আমার উপর এক বার দরূদ শরীফ পাঠ করে, আল্লাহ্ তাআলা তার উপর দশটি রহমত নাযিল করেন, আর যে আমার উপর দশবার দরূদ শরীফ পাঠ করে আল্লাহ্তা আলা তার প্রতি একশত রহমত নাযিল করেন। যে আমার উপর একশবার দরূদে পাক প্রেরণ করে, আল্লাহ্ তাআলা তার উভয় চোখের মধ্যখানে লিপিবদ্ধ করে দেন, এ বান্দা নিফাক ও দোযখের আগুণ থেকে মুক্ত। আর কিয়ামতের দিন তাকে শহীদদের সাথে রাখবেন।” [মুজামুল আওসাত, ৫ম খন্ড, ২৫২ পৃষ্ঠা, হাদিস নং ২৭৩৫]

রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন, “যে ব্যক্তি আমার উপর সারা দিনে পঞ্চাশ বার দরূদ শরীফ পড়ে, আমি কিয়ামতের দিন তার সাথে মুসাফাহা করব (অর্থাৎ- হাত মিলাব)।” [আল কুরবাতু ইলা রব্বিল আলামীন, লি ইবনে বশিকওয়াল,৯০ পৃষ্ঠা,হাদিস নং ৯০]

নূরে মুজাস্সাম, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন: “যে ব্যক্তি আমার উপর সারা দিনে এক হাজার বার দরূদে পাক পাঠ করে, সে যতক্ষণ না নিজের স্থান জান্নাতের মধ্যে দেখে নেবে,ততক্ষণ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করবে না।” [আত্তারগীব ফি ফাযায়িলিল আমাল লি ইবনে শাহিন,১৪ পৃষ্ঠা,হাদিস নং ১৯]

রহমতে আলম,নূরে মুজাস্সাম, রাসূলে আকরাম (সা.) ইরশাদ করেছেন: “যে (ব্যক্তি) আমার উপর জুমার দিন দরূদ শরীফ পড়বে আমি কিয়ামতের দিন তার জন্য সুপারিশ করব।” [জমউল জাওয়ামি লিস্ সূয়ুতী,৭ম খন্ড, ১৯৯ পৃষ্ঠা,হাদিস নং ২২৩৫২]

নূরে মুজাস্সাম রাসূলে আকরাম (সা.) ইরশাদ করেছেন “যে (ব্যক্তি) আমার উপর জুমার রাত ও জুমার দিনে একশ বার দরূদ শরীফ পাঠ করে, আল্লাহ্ তাআলা তার একশটি হাজত পূরণ করবেন। ৭০টি আখিরাতের আর ৩০টি দুনিয়ার।” [শুয়াবুল ঈমান,৩য় খন্ড,১১১ পৃষ্ঠা,হাদিস নং ৩০৩৫]

আল্লাহ পাকের প্রিয় মাহবুব,হযরত মুহাম্মদ ﷺ ইরশাদ করেন “ফরয হজ্ব আদায় করো, নিশ্চয় এটির সাওয়াব বিশটি যুদ্ধে (গাযওয়া) অংশগ্রহণ করার চেয়েও বেশি, আর আমার উপর এক বার দরূদ শরীফ পাঠ করা, এটার সমপরিমাণ সাওয়াব।” [ফিরদৌসুল আখবার,বিমাসুরিল খাত্তাব,১ম খন্ড, ৩৩৯ পৃষ্ঠা, হাদিস- ২৪৮৪]

সুলতানে দো-আলম,নূরে মুজাস্সাম (সা.) ইরশাদ করেন: “কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা’আলার আরশের ছায়া ব্যতীত আর কোন ছায়া থাকবে না।তিন ব্যক্তি (ঐ দিন) আল্লাহ তা‘আলার আরশের ছায়ায় থাকবে। আরজ করা হল: ইয়া রাসুলাল্লাহ তারা কারা হবে? তিঁনি ইরশাদ করলেন: ঐ ব্যক্তি যে আমার উম্মতের পেরেশানী দূর করে। আমার সুন্নাতকে জীবিতকারী। আমার উপর অধিক পরিমাণে দরূদ শরীফ পাঠকারী।” [আল বাদূরুস সাফিরাতু লিস্ সূয়ুতী,১৩১ পৃষ্ঠা, হাদিস- ৩৬৬]

জুমার দিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল সম্পর্কে হজরত আবু হুরাইরা (রা.) হতে বর্ণিত: রাসূল পাক (সা.) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন আসরের নামাজের পর না উঠে ওই স্থানে বসা অবস্থায় ৮০ বার নিম্নে উল্লেখিত দরুদ শরীফ পাঠ করবে, তার ৮০ বছরের গুনাহ মাফ হবে এবং ৮০ বছরের নফল ইবাদতের সওয়াব তার আমল নামায় লেখা হবে।

দোয়াটি হলো : ‘আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিনিন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি ওয়া আলা আলিহি ওয়াসাল্লিম তাসলিমা’ জুমার দিনের আরো কিছু আমলের মধ্যে রয়েছে, সূরা কাহাফ তিলাওয়াত করা: জুমার দিনে সূরা কাহ্ফ তিলাওয়াত করলে কিয়ামতের দিন আকাশতুল্য একটি নূর প্রকাশ পাবে। বেশি বেশি দরুদ শরীফ পাঠ করা এবং বেশি বেশি যিকির করা মুস্তাহাব।

(ঢাকাটাইমস/১১নভেম্বর/আরজেড)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ইসলাম বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :