ধর্ষণ মামলায় মাদরাসা শিক্ষকসহ তিনজন কারাগারে

বরিশালে ধর্ষণ মামলায় মাদরাসা শিক্ষকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

সোমবার দুপুরে জেলা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার জাকির হোসেন মজুমদার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গ্রেপ্তার তিনজন হলেন, বরিশাল নগরীর রূপাতলী উকিল বাড়ি সড়কের জামিয়া কাসিমিয়া মাদরাসার শিক্ষক আবিদ হাসান ওরফে রাজু, বাবুগঞ্জ উপজেলার গাঙ্গুলি বাড়ি মোড় এলাকার বাইতুল মামুর জামে মসজিদের ইমাম আবু সাইম হাওলাদার ও সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের ছাত্র হৃদয় ফকির।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, এয়ারপোর্ট থানার পাংশা এলাকার একটি মাদরাসা থেকে দাখিল পরীক্ষা দেন ভুক্তভোগী। তার সঙ্গে একই এলাকার মাহফুজুর রহমান সায়মনের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ের কথা ঠিক হয়। বিষয়টি সায়মনের বন্ধু আবিদ হাসান, সাইম ও হৃদয় ফকির জানতেন।

চলতি বছরের ২০ আগস্ট রাতে হৃদয় ফকির ওই ছাত্রীর মুঠোফোনে কল করে জানান, সায়মনের সঙ্গে বিয়ের কথা ঠিক হলেও সে অন্য নারীদের সঙ্গে মেলামেশা করেন। বিষয়টি প্রথমে বিশ্বাস করেনি সায়মনের হবু স্ত্রী। পরে অপর দুই বন্ধু বললে বিশ্বাস করেন। পরে সায়মনের বন্ধুরা জানায় ২৭ আগস্ট বরিশাল সিটি করপোরেশনের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের শের-ই-বাংলা সড়কে হৃদয় ফকিরের ভাড়া বাসায় সায়মন অন্য মেয়ে নিয়ে যাবে। হাতেনাতে ধরার জন্য ওই ছাত্রীকে হবু স্বামীর বন্ধুর বাসায় যাওয়ার জন্য বলে। কথামত ওই ছাত্রী সকাল ১০টার দিকে গেলে সেখানে আটকে তাকে তিনজন পালাক্রমে ধর্ষণ করে মোবাইলে ভিডিও করে রাখে।

এদিকে ধর্ষণের ঘটনার পর ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। এতে বাধ্য হয়ে কোথাও চিকিৎসা না নিয়ে বাড়ি ফিরে আসে। এরপর ধর্ষণের ভিডিওর কথা বলে ব্ল্যাকমেইল করে ওই ছাত্রীকে হবু স্বামীর বন্ধুরা বেশ কয়েকবার বাসায় নিয়ে দলবেঁধে ধর্ষণ করে। পরে ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে টাকা দাবি করলে তা দিতে অসামর্থ জানায় ছাত্রী। এক পর্যায়ে অভিযুক্তরা তাদের ধর্ষণের ভিডিও হবু বর সায়সমনের বাবাকে দেখায়।

এরপর বিষয়টি জানাজানি হলে হবু স্বামীর সহায়তায় রবিবার থানায় অভিযোগ দেন ওই ছাত্রী। এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে।

এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন জানান, ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর মামলা গ্রহণ করে রবিবার দিনগত রাতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/২৮নভেম্বর/এসএম)